তুরস্কের সংসদে দুই দলের হাতাহাতি
তুরস্কের জাতীয় সংসদে সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে তুমুল মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এক কারাবন্দি নেতাকে নিয়ে বিতর্কের জেরে সংসদে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয় তুরস্কের এক বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতাকে। এ নিয়ে শুক্রবার পার্লামেন্টে বিতর্ক শুরু হয়। এক সময় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আইনপ্রণেতারা।
সংসদ সদস্যদের মধ্যকার মারামারির ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিরোধী দলের ডেপুটি আহমেদ সিক কারাবন্দি এক নেতার পক্ষে কথা বলছিলেন। একই সঙ্গে ওই নেতাকে কারাগারে নেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করছিলেন। তবে বিষয়টি সহজে নিতে পারেননি ক্ষমতাসীন দল একেপি পার্টির সদস্যরা। ডায়াসে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেওয়ার সময়ই ওই নেতাকে মারতে উদ্যত হন তারা।
এ পর্যায়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরাও ছুটে আসলে দুই দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে তুমুল মারামারি বেধে যায়। এ সময় বেশ কয়েকজন রক্তাক্তও হয়েছেন। যেই রক্ত পড়ে সংসদ সদস্যদেরকেই মুছতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে সমাজকর্মী ওসমান কাভালাকে নিয়ে সরকার উৎখাতের অভিযোগ ওঠে বিরোধী নেতা আতালয়ের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালে তাকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে ওসমান কাভাল ও আতালয় উভয়ই কারাগারে আছেন। তাদের দুজনই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কারাগারে থাকার পরেও গত বছর এমপি নির্বাচিত হন তুরস্কের বিরোধী দল টিআইপির নেতা আতালয়। পরে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত হয়। তবে আদালত পরে তার সংসদ সদস্য পদ ফিরিতে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
তুরস্কের পার্লামেন্টে হাতাহাতির ঘটনা বিরল। গত জুন মাসে কথিত জঙ্গি যোগসূত্রের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে ডিইএম পার্টির মেয়রকে আটকের ঘটনা নিয়ে তার দলের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন একেপির আইনপ্রণেতাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন