ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের প্রথম বিদেশ সফর ইরাকে
জুলাই মাসে দায়িত্ব নেওয়া ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রথম বিদেশ সফরে বুধবার ইরাক পৌঁছেছেন৷ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি৷ এভাবে তিনি ইরানের উপর থাকা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে চাইছেন৷
মঙ্গলবারও রাশিয়াকে মিসাইল দেওয়ায় ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা বিশ্ব৷
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ শিয়া আল-সুদানি বাগদাদ বিমানবন্দরে ইরানের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান৷ ইরাক এমন এক বিরল দেশ যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের ভালো সম্পর্ক রয়েছে৷ ২০০৩ সালে ইরাকের সুন্নি নেতা সাদ্দাম হুসেইনের শাসনামল অবসানের পর থেকে শিয়াপ্রধান দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে৷ বর্তমানে ইরাকের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক অংশীদার ইরান৷ বাগদাদের রাজনীতিতেও ইরানের ভালো প্রভাব রয়েছে৷ প্রতিবছর লাখ লাখ ইরানি ইরাকে শিয়াদের পবিত্র শহর নাজাফ ও কারবালা ভ্রমণ করেন৷ প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানও সেখানে যাবেন৷
দুই দেশের মধ্যে তেল সম্পর্কিত নয় এমন ব্যবসার পরিমাণ গত পাঁচ মাসে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছিল বলে ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে৷ ইরান প্রতিদিন ইরাকে কয়েক মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস রপ্তানি করে৷ ইরাকের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে এসব গ্যাস ব্যবহৃত হয়৷ গতবছর সেপ্টেম্বরে দুই দেশের মধ্যে প্রথম রেল যোগাযোগ স্থাপনের কাজ শুরু হয়৷
ইরাকে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার সেনা আছে৷ সিরিয়ায় আছে প্রায় ৯০০ সেনা৷ এসব সেনা ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়তে তৈরি আন্তর্জাতিক জোটের অংশ৷ গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ঐ অঞ্চলে থাকা ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছিল৷ জবাবে যুক্তরাষ্ট্রও ঐ দুই দেশে হামলা করেছে৷
রোববার ইরাকের প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাবেত আল-আব্বাসি জানান, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সেনারা ইরাক থেকে চলে যেতে পারে৷
আরটিভি/এএইচ
মন্তব্য করুন