লেবাননে নিহত বেড়ে ৩৫৬, মধ্যপ্রাচ্যে সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
লেবাননে স্মরণকালের ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনভর চলানো এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫৬ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এর মধ্যে ২৪ জন শিশু, ৩৯ জন নারী এবং দুইজন প্যারামেডিক সদস্য রয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আহত হয়েছে বারোশ জনেরও বেশি। এ ছাড়া হাজার হাজার পরিবার এ বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে হামলা পালটা হামলা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে দফায় দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।
ইসরাইল বলেছে, তারা লেবাননে প্রায় ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। গত বছরের ৮ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর প্রতিবেশী দেশে এটাই ইসরাইলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় হামলা।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষিতে ‘স্বল্পসংখ্যক’ অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন বাহিনীর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি।
পেন্টাগনের মুখপাত্র এয়ার ফোর্সের মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন, অতি সতর্কতা হিসেবে, আমরা এই অঞ্চলে আমাদের বাহিনীকে বড় করার জন্য অল্প সংখ্যক অতিরিক্ত মার্কিন সামরিক কর্মী পাঠাচ্ছি।
এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এল, যখন আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় এক বছরের সহিংসতার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আন্তঃসীমান্ত পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েল লেবাননে শত শত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার সেনা রয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মোতায়েন করা হয়েছে। যাতে তারা নিজস্ব বাহিনী ও ইসরায়েলকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাতেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৬০ জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে গাজার দেইর এল-বালাহ-তে এক মা ও তার ৪ সন্তান নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া স্কুল-আশ্রয় কেন্দ্রে দুটি আলাদা হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ১০ ফিলিস্তিনি।
মন্তব্য করুন