যুক্তরাষ্ট্রে ২৫০ বছরের ইতিহাসে যেসব নারী নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন
১৭৭৬ থেকে ২০২৪। দেখতে দেখতে পার হয়েছে প্রায় ২৫০ বছর। তবে এই সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো নারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে যদি ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস নির্বাচিত হন, তবে ইতিহাস গড়বেন তিনি।
এর আগে, বিভিন্ন সময়ে মোট ২৪ জন নারী প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করেছেন। তারা কারা এবং কবে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়েছেন, তা নিয়েই আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন।
সালটা ১৮৭২। ভিক্টোরিয়া ক্লাফ্লিন উডহুল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ক্যাম্পেইন শুরু করেন। আর এর মাধ্যমে নারীরা ভোট দেওয়ার অধিকার পাওয়ার প্রায় ৫০ বছর পর একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মাঠে নামেন। তার ক্যাম্পেইন কৃষ্ণবর্ণের নারীদের নিয়ে কাজ করেছিল।
এরপর কেটে গেছে প্রায় ১০০ বছর। ১৯৬৪ সালে রিপাবলিকান সেনেটর মার্গারেট চেজ স্মিথ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মার্কিন ইতিহাসে তিনি রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী নারীদের একজন। আরেকটি তথ্য না জানালেই নয়। মার্কিন ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী হিসেবে চেম্বারস অব কংগ্রেস নির্বাচিত হন।
পরের গল্পটা ১৯৭২ সালের। এ বছরটি মার্কিন নারীদের জন্য ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ বছরে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে শার্লি অনিতা চিশোলম কংগ্রেসে নির্বাচিত হন। এ ছাড়া প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান হিসেবে প্যাটসি মিঙ্কও কংগ্রেসে জয়ী হন।
২০০০ সাল থেকে যেন গল্পটাই বদলে গেল। অন্তত একজন নারী প্রত্যেক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যাদের মধ্যে এলিজাবেথ ডোল, ক্যারল মসেলি ব্রাউন, হিলারি ক্লিনটন (একজন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মার্কিন সিনেটর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি), মিশেল বাচম্যান (যিনি ইউএস হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য হিসেবে কাজ করেছিলেন, রক্ষণশীল বিষয়গুলির সমর্থনের জন্য পরিচিত হয়ে ওঠেন), কার্লি ফিওরিনা (২০১০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন সিনেটের জন্য রিপাবলিকান মনোনীত ছিলেন), তুলসি গাব্বার্ড (কমপক্ষে ২০ বছর ডেমোক্রেট রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি), কার্স্টেন গিলিব্র্যান্ড (২০০৯ সালে নিউইয়র্ক থেকে মার্কিন সিনেটে ডেমোক্র্যাট হিসেবে নিযুক্ত হন এবং পরের বছর তিনি এই সংস্থায় নির্বাচিত হন), এলিজাবেথ ওয়ারেন (প্রাক্তন আইন অধ্যাপক যিনি ম্যাসাচুসেটস থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র সিনেটর হিসেবে ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন) ও নিকি হ্যালি (যিনি ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ ক্যারোলিনার ১১৬তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন) উল্লেখযোগ্য।
আর সবশেষ এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। লড়াইয়ে নেমে ডেমোক্র্যাট শিবিরকে উজ্জীবিত করেছেন তিনি। আভাস মিলছে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতারও।
এখন অপেক্ষা ৫ নভেম্বরের। দেখা যাক, প্রথম মার্কিন নারী প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি জয়ের হাসি হাসতে পারেন কি না! একইসঙ্গে গড়তে পারেন অনন্য রেকর্ডও।
আরটিভি/আইএম-টি
মন্তব্য করুন