সুইং স্টেটগুলোতে এগিয়ে ট্রাম্প, জাতীয় পর্যায়ে কমলা
সময় যত গড়াচ্ছে, উত্তেজনার পারদ ততই চড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ স্টেটগুলো চষে বেড়াচ্ছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু মার্কিনীদেরই নয়, গোটা বিশ্বের রাজনীতি, নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ভাগ্য অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে এ নির্বাচনের ওপর। তাইতো বিশ্ববাসীর নজর এখন যুক্তরাজ্যের দিকে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্টের ৭৭ মিলিয়ন ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে শতাব্দীর সবচেয়ে বেশি ভোট কাস্টিং হবে এবারের মার্কিন নির্বাচনে। সেখানে ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটাও এবার হবে হাড্ডাহাড্ডি।
জনমত জরিপগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাত সুইং স্টেটের পাঁচটিতেই কমলার চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে জর্জিয়া, অ্যারিজোনা ও নর্থ ক্যারোলাইনায় এক থেকে তিন পয়েন্টে এগিয়ে আছেন তিনি। এগিয়ে আছেন পেনসিলভানিয়া এবং নেভাদায়ও। তবে সামান্য ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন মিশিগান ও উইসকনসিনে।
অন্যদিকে, জাতীয় পর্যায়ে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটদের কাণ্ডারি কমলা হ্যারিস। তবে, ব্যবধানটা খুবই সামান্য; মাত্র ১ শতাংশ। জরিপ বলছে, জাতীয় পর্যায়ে ৪৮ শতাংশ জনমত আছে কমলা হ্যারিসের পক্ষে। আর ট্রাম্পের পক্ষে জনতম রয়েছে ৪৭ শতাংশ।
অবশ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটই শেষ কথা নয়; এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা থাকে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ ভোটের। কলেজ শব্দটির অর্থ এখানে সেই ব্যক্তিদের বোঝানো হয় যারা একটি অঙ্গরাজ্যের ভোট দেওয়ার অধিকারী। ইলেকটোরাল কলেজ হচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল যাদের ইলেক্টরস বলা হয়। এরা এক কথায় নির্বাচকমণ্ডলী। প্রতি চার বছর পর পর এটি গঠন করা হয় এবং এরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টকে বাছাই করেন। কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বের অনুপাতে প্রতিটি স্টেটের ইলেক্টরসের সংখ্যা নির্ধারিত হয়; যা নির্ধারিত হয় স্টেটে সিনেটরের সংখ্যা (প্রত্যেক স্টেটে দুইজন) এবং প্রতিনিধি পরিষদে প্রতিনিধির (যা জনসংখ্যার অনুপাতে) যোগফল মিলে।
যুক্তরাস্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায় (৫৪টি)। আর সবচেয়ে কম রয়েছে নর্থ ডাকোটায় (৩টি)। সাধারণত রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে ইলেকটোরাল ভোট থাকে। যে রাজ্যে যত বেশি জনসংখ্যা ওই রাজ্যে তত বেশি ইলেকটোরাল ভোট।
রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট যিনি পান ইলেকটোরাল ভোটগুলো তিনি পান। এভাবে একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট হতে হলে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়।
সুইং স্টেটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে পেনসিলভানিয়ায় ১৯টি। এছাড়া জর্জিয়ায় ১৬, নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৬, মিশিগানে ১৫, উইসকনসিন ১০, নেভাদা ৬ ও অ্যারিজোনায় ১১টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।
আরটিভি/এসএইচএম
মন্তব্য করুন