ট্রাম্পের জয়ে রাতারাতি বাড়ল ইলন মাস্কের সম্পদ
ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের সময় তার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিলেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রায় ১১৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের জয়ে মাস্কের সম্পদ রাতারাতি ১৫ বিলিয়ন ডলার বেড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় এক লাফে ১৫ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে ইলন মাস্কের সম্পদ। এর মধ্যে কেবল মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কোম্পানি টেসলার শেয়ারের দামই বেড়েছে ৪১১ মিলিয়ন ডলার। বুধবার টেসলার শেয়ারের মূল্য ১৪ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।
মাস্কের বেড়ে যাওয়া দিয়ে কী করতে পারেন, তারও একটি হিসেবে দিয়েছে সিএনএন। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মাস্ক এই ১৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বিশ্বের সব মানুষকে এক ডলার করে দিলেও যে অর্থ থাকবে তা দিয়ে বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের তিন বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তিও কিনে নিতে পারেন। এছাড়া টেসলার তৈরি ব্যয়বহুল সাইবারট্রাকও যদি কেনেন তবে প্রায় এক লাখ ৮২ হাজার সাইবারট্রাক কিনতে পারবেন। স্পোর্টসে বিনিয়োগ করতে চাইলে ডালাস কাউবয়েসের মতো দলকেও কিনে নিতে পারেন। তবে এজন্য বাড়তি ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিমাণ অর্থ দিতে হবে।
ধারণা করা হয়, ২৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক ইলন মাস্ক।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয়ে যে অপচয় হয়েছে, তার নিরীক্ষার দায়িত্ব দিতে চান ইলন মাস্ককে।
এর আগে গত ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী সমাবেশে হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান ট্রাম্প। ওই সময় গুলি তার কানে লাগে। ওই দিনই ট্রাম্পকে সমর্থন করার ঘোষণা দেন টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তা দেন ট্রাম্পের প্রচারশিবিরকে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনের রাতে মাস্ক ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো ক্লাবে কাটিয়েছেন। ট্রাম্পও বলেছেন, তিনি মাস্ককে তার প্রশাসনের ‘দক্ষতার সম্রাট’ বলে ডাকবেন।
ট্রাম্পের প্রচারশিবির মাস্ককে ‘এক প্রজন্মের শিল্পনেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে রয়টার্সকে বলেছে, দেশের ভঙ্গুর ফেডারেল আমলাতন্ত্র অবশ্যই মাস্কের ধারণা ও দক্ষতা থেকে উপকৃত হবে।
এদিকে মার্কিন পুঁজিপতি ও মাস্কের সমর্থক শেরভিন পিশেভার বলেন, সরকারি নিয়মনীতির কাটছাঁট মঙ্গলে স্পেসএক্সের পাড়ি জমানোর প্রচেষ্টা বেগবান করবে। মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রকে একটি স্টার্টআপের মতো কাজ করাতে চলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ইলন মাস্কের মতো সেরা উদ্যোক্তা আর নেই।
আরটিভি/এসএপি
মন্তব্য করুন