ভারতে আট বাংলাদেশি গ্রেপ্তার, ৩ জনই গোপালগঞ্জের
অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আট বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের খরদহ থানার তিনটি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বাবলু শেখ, ফারুক শেখ ও আলি শেখের বাড়ি গোপালগঞ্জে। খরদহ থানার অন্তর্গত এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তারা। তবে বাকি পাঁচজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি ভারতীয় পুলিশ।
আরটিভি/এসএপি-টি
মন্তব্য করুন
অপছন্দের খাবার খেতে বাধ্য করতেন প্রেমিক, পাইলটের ‘আত্মহত্যা’
এয়ার ইন্ডিয়ার সৃষ্টি তুলি নামের এক পাইলট আত্মহত্যা করেছেন। তার প্রেমিককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, যুবক তাকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন। এমনকি, তরুণীকে নিরামিষ খাওয়া শুরু করতেও বাধ্য করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে থাকতেন মুম্বইতে। সেখানেই আদিত্য পণ্ডিতের সঙ্গে তার আলাপ হয়। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মোবাইলের চার্জারের তার গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই মৃতের পরিবারের এফআইআর উল্লেখ করে জানিয়েছে, তরুণীকে হেনস্থা করতেন যুবক। ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিক কাজ করতে বাধ্য করতেন তিনি। আমিষ খাবার ছেড়ে নিরামিষ খাবার খাওয়া প্রেমিকের কথাতেই শুরু করেছিলেন ওই তরুণী, অভিযোগ পরিবারের। তাদের বক্তব্য, প্রেমিকের কারণেই তরুণী মানসিক অবসাদে ভুগতেন, যার ফলে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তরুণীর প্রেমিক দিল্লিতে যাচ্ছিলেন। সে সময়ে তরুণী তাকে ফোন করেন। ফোনে তিনি প্রেমিককে জানান, তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুনে মাঝপথ থেকে মুম্বই ফেরেন যুবক। কিন্তু তিনি পৌঁছতে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। ফ্ল্যাটে গিয়ে তিনি দেখেন, তার প্রেমিকা আত্মহত্যা করেছেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। যুবককে আপাতত পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
বাংলাদেশে হিন্দুদের শত শত মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুর এবং নির্যাতনের খবর নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় যেভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কথা বলতে এসে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি।
৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার সংবাদ প্রকাশের ধরন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জসওয়াল বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্য সব সংখ্যালঘুর ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি মিডিয়ার অতিরঞ্জন হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা আবারও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সব ধরনের ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
এরপর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয় ইসকন প্রসঙ্গেও। রণধীর জসওয়ালের কাছে এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে ‘উগ্রবাদী সংগঠন’ আখ্যা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মত কী?
জবাবে তিনি বলেন, ইসকন বৈশ্বিকভাবে প্রখ্যাত সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। তাদের সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের ভালো রেকর্ড রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আবারও বলব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
এ ছাড়া বিতর্কিত হিন্দু পণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রসঙ্গে রণধীর জসওয়াল বলেন, আমরা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছি। আশা করি, তার বিরুদ্ধে যে আইনি প্রক্রিয়া চলছে, সেটি স্বচ্ছ এবং ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে হবে এবং তাদের যে আইনি অধিকার রয়েছে সেটি পুরোপুরিভাবে পাবে।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ভারতের সংসদে বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর
ভারতের সংসদ লোকসভায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত হামলার অভিযোগের বিষয়ে টানা দুই দিন আলোচনা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের সরকার এসব ঘটনার বিষয় গুরুতরভাবে বিবেচনায় নিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে দিল্লির উদ্বেগ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক দুর্গাপূজা উৎসবের সময় মন্দির ও পূজা মণ্ডপে হামলার খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। এই হামলার পর বাংলাদেশ সরকার শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন নিশ্চিতে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েনসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করেছিল।’
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের ওপর বর্তায়।’
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ইসকন বাংলাদেশের সাবেক পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও হিন্দুদের ওপর কথিত হামলা বৃদ্ধির অভিযোগ ঘিরে চলমান উত্তেজনার বৃহস্পতি ও শুক্রবার ভারতের সংসদে এই বিষয়ে আলোচনা হলো।
আরটিভি/এসএপি/এআর
বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না দেওয়ার ঘোষণা কলকাতার হাসপাতালের
বাংলাদেশি রোগীদের আর চিকিৎসা দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে কলকাতার একটি হাসপাতাল। তাদের অভিযোগ বাংলাদেশিরা ভারতীয় পতাকা অবমাননা করছে। যদিও একই অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশিদেরও। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ নামের কলকাতার একটি হিন্দু সংগঠন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায়ও আগুন দেয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর কলকাতার মানিকতলার হাসপাতালটির কর্মকর্তা জেএন রায় জানান, বাংলাদেশিরা ভারতীয় পতাকা অবমাননা করছেন, এ জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভারতীয় নিউজ সংস্থা পিটিআইকে হাসপাতালের আরেক কর্মকর্তা শুভ্রাংশু ভক্ত বলেন, আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের আর চিকিৎসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, তারা ভারতের প্রতি অসম্মান জানিয়েছে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভ এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে উল্লেখ করছে যে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের বাইরে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ নামে কলকাতার একটি হিন্দু সংগঠন সহিংস বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সীমানায় পৌঁছায়। তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেয় এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে হলেও ডেপুটি হাইকমিশনের সব সদস্যের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানায়। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার যেকোনো ধরনের সহিংস কার্যকলাপের নিন্দা করে। একইসঙ্গে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন এবং ভারতে বাংলাদেশের অন্যান্য কূটনৈতিক মিশনের পাশাপাশি কূটনীতিক এবং অ-কূটনৈতিক সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
এই কর্তকর্তা বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে, এজন্য তিনি অন্যান্য হাসপাতালকেও একই পন্থা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে ভারত বিরোধীতা বাড়ছে। আমরা আশা করছি অন্যান্য হাসপাতালগুলোও একই পদক্ষেপ নিবে।
আরটিভি/এএইচ
সন্ধ্যায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজাল’, রেড অ্যালার্ট জারি
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পুদুচেরিতে সন্ধ্যার মধ্যেই আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজাল’। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূলে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
আইএমডি বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ থেকে শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে গত ৬ ঘণ্টায় তা ক্রমে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এগিয়েছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যার মধ্যে উত্তর তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ু রাজ্যের পুদুচেরিতে আঘাত হানতে পারে। স্থলভাগে প্রবেশের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূলে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে চেন্নাই থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পুদুচেরী থেকে ১৮০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে সরবে। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।
ফিনজালের প্রভাবে গত ২৮ নভেম্বর থেকে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তামিলনাড়ু সরকার রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে এবং আইটি সংস্থাগুলোকে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আঘাত না হানলেও বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ফিনজালের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশের চার সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অরটিভি/এসএপি/এস
বিশ্বের ‘সর্ব বৃহৎ’ স্বর্ণের খনির সন্ধান পেল চীন
চীনের হুনান প্রদেশে একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে গবেষকদের ধারণা, খনিটিতে এক হাজার টন স্বর্ণ মজুত রয়েছে। বলা হচ্ছে, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণের খনি এটি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
হুনার প্রদেশের জিওলজিক্যাল ব্যুরোর বরাত দিয়ে সিএনএন বলেছে, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পিংজিয়াং কাউন্টিতে এই বৃহৎ সোর খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। খনিটিতে যে পরিমাণ স্বর্ণ মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তার আনুমানিক মূল্য ৬০০ বিলিয়ন ইউয়ান।
থ্রি-ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা গেছে, খনির তিন হাজার মিটার গভীরে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের মজুত রয়েছে। স্বর্ণের খনির এই আবিষ্কার চীনের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। দেশটির খনিশিল্প ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়বে।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সাউথ ডিপ খনিতে ৯৩০ টন স্বর্ণের মজুত সমৃদ্ধ খনি পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হওয়ার স্বর্ণের খনি। তবে চীনের এই খনিতে যদি ১ হাজার টন স্বর্ণের মজুত পাওয়া যায়, তাহলে এটিই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবিষ্কৃত স্বর্ণের খনি।
স্বর্ণের খনিটির খনন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ২ হাজার মিটার গভীরে ৪০টি গোল্ড ভেইনস বা স্বর্ণের আকরিক স্তরের সন্ধার পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৩০ টন স্বর্ণের মজুত রয়েছে এই স্তরে।
আরটিভি/এআর/এস
বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানালেন মমতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ (সোমবার) বিধানসভার শীতাকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে এই আহ্বান জানিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশে আমাদের পরিবার, সম্পত্তি ও প্রিয়জন আছে। কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে যে অবস্থানই গ্রহণ করুক না কেন, আমরা তা মেনে নিই। তবে আমরা বিশ্বের যেকোনো স্থানে ধর্মের ভিত্তিতে নৃশংসতার নিন্দা জানাই এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাই, প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করুন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ টেনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুটি জাতিসংঘে তুলতে পারে। সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর কথা বলতে পারে। যদি বাংলাদেশে ভারতীয়দের ওপর হামলা হয়, তবে আমরা তা সহ্য করতে পারি না। আমরা আমাদের লোকজনদের সেখান থেকে ফিরিয়ে (প্রত্যাবাসন) আনতে পারি।
আরটিভি/কেএইচ/এস