কাদায় হেঁটে চিঠি বিলি করেন তিনি
উত্তর সাগরে অবস্থিত জার্মানির পেলভর্ম দ্বীপে বাস করেন ক্নুড ক্নুডসেন। তিনি জার্মান ডাক বিভাগের একজন কর্মী। তবে অন্যদের চেয়ে আলাদা। কারণ, তাকে সাগর পাড়ি দিয়ে পায়ে হেঁটে পত্র বিলি করতে হয়। ৬৯ বছর বয়সি ক্নুডকে ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আবার পানি পর্যাপ্ত না কমলে কাজ করাও সম্ভব নয়।
ছোট দ্বীপ স্যুডেরুগ-এ চিঠি বিলি করেন ক্নুড। চলার পথটি কাদায় পরিপূর্ণ। প্রায় ১০ হাজার জাতের গাছ ও প্রাণীর আবাসস্থল হচ্ছে এই কাদা। এসব উদ্ভিদ ও প্রাণী ক্নুডের বেশ পছন্দ। তাই ২৫ বছর আগে তখনকার চিঠি বাহক অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর যখন এই চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছিল তখন খুশি মনেই সেটি শুরু করেছিলেন ক্নুড।
তিনি বলেন, এখানে কোনো গাড়ি নেই। তাই গাড়ির শব্দও নেই। তাই আপনি পাখির শব্দ শুনতে পারেন।
স্যুডেরুগ দ্বীপে মাত্র একটি বাড়ি আছে। ভেড়ার পাশাপাশি স্যুডেরুগে চারজন মানুষ বাস করেন- মা, বাবা ও তাদের দুই সন্তান। সপ্তাহে তিনদিন ক্নুডও পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠেন- অনেকটা পার্ট-টাইম দাদার মতো।
বাড়ির সদস্য নেলে ভ্রি বলেন, ক্নুড আমাদের কাছে পরিবারের মতন। যখনই আমরা কিছু করি, যেমন বাচ্চাদের জন্মদিন পালন করি, ক্নুডও সেখানে থাকেন। ক্রিসমাস ও অন্যান্য ছুটির সময়ও।
কয়েক দশক আগে স্যুডেরুগ রক্ষার জন্য যখন বাঁধ তৈরি করা হচ্ছিল তখন কাজ করেছিলেন ক্নুড। তখনই তিনি এই দ্বীপের প্রেমে পড়েছিলেন।
আরটিভি/এএইচ
মন্তব্য করুন