চীনে সবজি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৮
চীনে একটি সবজি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৮ জনের মৃত্যু এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় হেবেই প্রদেশের ঝাংজিয়াকু শহরের সবজি মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিসিটিভির বরা দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আগুন লাগার পর দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলেন। আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আগুন লাগার কারণ জানতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মার্কেটটি চালু করা হয়েছিল। মার্কেটটিতে বিভিন্ন ধরনের ফল ও সামুদ্রিক খাবার থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স পণ্যসামগ্রীও বিক্রি করা হয়।
আরটিভি/আরএ/এআর
মন্তব্য করুন
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আসাদের মৃত্যুর গুঞ্জন!
সিরিয়ায় ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) বিদ্রোহীরা রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে ঢুকে পড়ার মধ্যেই ব্যক্তিগত বিমানে করে দামেস্ক ছাড়েন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং তিনি নিহত হয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
সিরিয়ান সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাশার আল-আসাদের বিমান দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পর হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে। পরে বিমানটিকে আর রাডারে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাশার আল-আসাদের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। এটি আসাদকে বহনকারী বিমান বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে ভিডিওটির বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সিরিয়ার দুটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদম্যাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিমান দুর্ঘটনার মারা যাওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ দামেস্ক থেকে তাকে বহনকারী বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে অনেকটা আকস্মিকভাবে দিক পরিবর্তন করে। বিমানের এই দিক পরিবর্তন নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তিনি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হতেও পারেন।
বিশ্বজুড়ে বিমানের চলাচল পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার থেকে জানা গেছে, সিরিয়ার দামেস্ক ছেড়ে যাওয়া শেষ বিমানটি ছিল একটি ইলিউশিন-৭৬ প্লেন, যার ফ্লাইট নম্বর ছিল সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিমানটি আসাদকে বহন করছিল।
এটি বিদ্রোহীরা বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঠিক আগে উড্ডয়ন করে। বিমানটিটি প্রথমে পূর্বদিকে উড়ে যায় এবং পরে উত্তর দিকে মোড় নেয়, কিন্তু হোমসের ওপর দিয়ে চক্কর কাটার সময় এর সিগন্যাল হঠাৎ হারিয়ে যায়। এটি খুবই রহস্যজনক ব্যাপার হয়ে উঠেছে যে, হঠাৎ কেন বিমানটি আশ্চর্যজনক ইউটার্ন নিল এবং মানচিত্রের বাইরে অদৃশ্য হয়ে গেল!
আরটিভি/কেএইচ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের পতন, যা বললেন কাবা শরিফের ইমাম
বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) অপ্রতিরোধ্য হামলায় মাত্র ১২ দিনে পতন ঘটেছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ২৪ বছরের রাজত্ব। এবার এ বিষয়ে কথা বলেছেন মুসলিম বিশ্বের তীর্থস্থান কাবা শরিফের ইমাম শায়খ ইয়াসির আদ-দাওসারি।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সিরিয়ার জনগণকে মোবারকবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিশ্বের সব দেশের নিপীড়িত জনগণের জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন।
ফেসবুকে শায়খ ইয়াসির আদ-দাওসারি লেখেন, ‘হে আমাদের সিরিয়ান বন্ধুরা, আপনাদের অভিনন্দন। অভিনন্দন পৃথিবীর প্রত্যেক নিপীড়িত জনতার প্রতি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, যিনি প্রত্যেক মজলুমের অন্তর প্রশান্ত করেছেন।’
অপর একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সুপ্রভাত! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সিরীয় ভাইদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন। অভিনন্দন, প্রিয় সিরীয় ভাইয়েরা!’
সবশেষ পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘نَصۡرٌ مِّنَ اللّٰهِ وَ فَتۡحٌ قَرِیۡبٌ অর্থ: (আর তিনি তোমাদেরকে দান করবেন বাঞ্ছিত আরো একটি অনুগ্রহ) আল্লাহর সাহায্য ও আসন্ন বিজয়। তারপর বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা সিরীয় ভাইদেরকে এই জয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন। এর আগে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেছিলেন। তবে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের দমনে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেন তিনি। এরপর বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন। এতে করে দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
যদিও ২০১৫ সালে বাশার আল আসাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে রাশিয়া। সে বছর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় তারা। এরপর বিদ্রোহীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এবং ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ব্যস্ত থাকার সুযোগে বিদ্রোহীরা আবারও তৎপর হয়ে উঠে। এরই একপর্যায়ে সম্প্রতি বিদ্রোহীরা হামলা শুরু করে এবং এই হামলার মুখে নাটকীয়ভাবে দামেস্ক ছেড়ে পালালেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। রোববার দামেস্ক ‘মুক্ত’ করার ঘোষণা দিল বিদ্রোহীরা। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে কার্যত সিরিয়ায় দীর্ঘ ৫৪ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটল।
আরটিভি/এসএপি
আমরা বসে ললিপপ খাবো না: বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতা
কলকাতা-চট্টগ্রাম দখলের হুমকি-পাল্টা হুমকি ও বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা ফেরৎ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি নেতাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা বসে ললিপপ খাব না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিধানসভায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা ফেরৎ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা বলছেন বাংলা-বিহার-ওড়িষ্যা দখল করবেন, তারা ভাল থাকবেন। আপনার সেই ক্ষমতাও নেই, আর ভাববার কোনো কারণ নেই যে আমরা বসে ললিপপ খাব। আমরা যথেষ্ট সক্রিয় এবং যথেষ্ট ধৈর্যের পরীক্ষা দিই। আমরা সবাই সবাইকে রক্ষা করব।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে এবং তারাই ব্যবস্থা নেবে। আমরা কোনও পক্ষে নেই। আমরা সব পক্ষে। আজ বিদেশ সচিব (বাংলাদেশে) যাচ্ছেন। দেখা যাক কী হয়। আমাদের নীতি হল আমরা কূটনীতি মেনে চলব।
বাংলাদেশিদের তুলোধোনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, আমরা অখণ্ড ভারতবর্ষের নাগরিক, বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। তবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমের একাংশের সমালোচনা ও পরোক্ষভাবে বিজেপিকে নিশানা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকটা মিডিয়া যা করছে তা যথাযথ নয়। এটা উত্তরপ্রদেশ নয় যে আপনাদের ব্যান করব। কিন্তু অনুরোধ করছি স্বাভাবিক থাকুন। আর কিছু ফেক ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল করছে। তাদের বলতে চাই সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করবেন না।
এর আগে সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য শান্তি বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্য মিনাজ প্রধান বলেছিলেন ৪ দিনে কলকাতা দখল করে নেবো।
অন্যদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন চট্টগ্রাম দখলে নিলে (যদিও ভারত সেই দাবি করেনি) বাংলা-বিহার উড়িষ্যা ফেরত দিতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে বিকৃত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সরব হন মমতা।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী দেশ। আর সেখানে ৩৭ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। যে কোনও মাপকাঠিতে বাংলাদেশের থেকে অনেক গুণ এগিয়ে আছে ভারত।
আরটিভি/কেএইচ
আরাকান আর্মির দখলে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ২৭০ কিমি সীমান্ত
বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে লাগোয়া মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার এলাকা পুরোপুরি দখলের দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। রোববার (৮ ডিসেম্বর) মংডু শহর দখলের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ সীমান্ত এলাকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে গোষ্ঠীটি। খবর ইরাবতী নিউজের
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের এই সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মংডু শহর দখল করে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা জান্তার শেষ অবশিষ্ট সীমান্ত ঘাঁটি মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫ বেশ কয়েক মাস লড়াইয়ের পর রোববার সকালে দখল করেছে।
এর আগে, রোববার আরাকান আর্মি জানায়, ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এর সরকার এবং সহযোগী রোহিঙ্গা মিলিশিয়াদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।
রাখাইনের মিডিয়া সোমবার জানিয়েছে, মংডুর এই যুদ্ধের পরে প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ সরকারি সৈন্যদের পাশাপাশি সামরিক অপারেশন কমান্ড ১৫ এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনকে গ্রেপ্তার করেছে আরাকান আর্মি। মে মাসের শেষের দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করে তারা। আর সীমান্তবর্তী এই শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে ছয় মাস সময় লাগল গোষ্ঠীটির।
ইরাবতীর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আরাকান আর্মি এখন বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের তিনটি শহরেরই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করছে। এগুলো হচ্ছে—রাখাইন প্রদেশের মংডু ও বুথিডাং এবং চিন প্রদেশের পালেতোয়া। পালেতোয়ার সঙ্গে ভারতের সীমান্তও রয়েছে। আরাকান আর্মি এখন দক্ষিণ রাখাইনের গয়া, তাউনগুপ এবং আন শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়াই করছে।
আরটিভি/এমএ/এআর
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান তিনি।
সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক মিশনে সহিংস হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয় ও বাংলাদেশ নিয়ে ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক বক্তব্য-বিবৃতি সম্পর্কে ওয়াশিংটানের কী কোনও মন্তব্য আছে?
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করবে, সেটাই আমরা দেখতে চাই।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই দুদেশের সম্পর্ক হিমশীতল অবস্থায় পৌঁছেছে। সবশেষ ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটে।
আরটিভি/এসএপি/এআর
ভারতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ২০০ বছরের পুরনো মসজিদের একাংশ
বেআইনি দাবি করে ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রায় ২০০ বছরের পুরনো একটি মসজিদের একাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলায় অবস্থিত ১৮৫ বছর পুরোনো নূরী জামে মসজিদের একটি অংশ ভেঙে দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, মসজিদের এই অংশটি বান্দা-বাহরাইচ হাইওয়ের অংশে অবৈধভাবে করা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসন দাবি করেছে, মসজিদের ভেঙে ফেলা অংশটি বেআইনি ছিল। পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) দাবি করেছে, তারা গত ১৭ আগস্ট তাদের “অবৈধ নির্মাণের” কারণে মসজিদের কিছু অংশ সরানোর নোটিশ দিয়েছিল।
তারা আরও জানিয়েছে, সড়কের ওপর মসজিদের একাংশ পড়ায় মসজিদ কমটিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও সেই অংশ ভাঙেনি কমিটি। তাই নির্ধারিত সময়ের পর গণপূর্ত বিভাগ থেকে মসজিদটির ওই অংশ ভেঙে ফেলা হয়।
এমন এক সময় মসজিদটি ভেঙে দেওয়া হলো যখন মসজিদ কমিটি বিষয়টি সুরাহার জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। আদালত থেকে এই বিষয়ে কোনো আদেশ আসার আগেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, আদালতে আবেদন জমা পড়লেও শুনানির জন্য নথিভুক্ত হয়নি।
আরটিভি/এসএপি/এআর
বাংলাদেশ সফর নিয়ে ভারতের সংসদ সদস্যদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশ সফর নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ব্রিফ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে নয়াদিল্লিতে পার্লামেন্ট অ্যানেক্স ভবনে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি বলে পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা ও সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান শশী থারুর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের চমৎকার ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকালই পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। সফরের বিষয়ে তিনি আমাদের একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্রিফ করেছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো না। তবে ২১-২২ জন সংসদ সদস্য সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিবকে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন করেছেন। এ সময় তার কাছে অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পররাষ্ট্রসচিবও বিস্তারিত ও সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসের (আইএএনএস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া সংসদ সদস্যদের জানান, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব দেশটির সংসদ সদস্যদের বলেন, ঢাকা সফরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন প্রশাসন দিল্লির সঙ্গে স্বাক্ষরিত কোনও চুক্তি পর্যালোচনা করার কথা উল্লেখ করেনি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে আইএনএস জানায়, ব্রিফ্রিংয়ের সময় পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির কাছে ভারতের কয়েকজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা কোন মর্যাদায় দেশটিতে অবস্থান করছেন, সেই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ঢাকা সফরে আসেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটিই ছিল ভারতের কোনো কূটনীতিকের বাংলাদেশ সফর। সেদিন তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। মিশ্রি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরটিভি/কেএইচ