যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলে নিহত বেড়ে ৫, পুড়ছে হলিউড হিলস
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। দাবানলে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ১ হাজারের বেশি স্থাপনা পুড়ে গেছে। ঘরছাড়া হয়েছে লাখো মানুষ। ইতোমধ্যে দাবানল হলিউড হিলসেও ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ দাবানল ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার বাসিন্দারাও নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যান।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এস তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, হলিউডের বেশির ভাগ অংশ ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। অনেক তারকা ওই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার কথা অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান।
মানুষ ব্যাগ ও স্যুটকেস নিয়ে নিরাপদ স্থানের সন্ধানে ছুটছে। আগুন ছড়িয়ে যেতে থাকায় বাসিন্দারা বিশৃঙ্খলভাবে সরে যাচ্ছেন। এতে আইকনিক হলিউড বুলেভার্ডসহ হলিউডের বিভিন্ন সড়ক যানজটে পুরোপুরি স্থবির হয়ে গেছে।
হাইকার এবং প্রকৃতিপ্রেমীদের পছন্দের জায়গা রানিয়ন ক্যানিয়নেও ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। ডলবি থিয়েটার, হলিউড বোল, আউটডোর অ্যাম্ফিথিয়েটার ও হলিউড ওয়াক অব ফেম দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান ক্রিস্টিন ক্রাউলি জানান, আগুন হলিউড হিলসে রানিয়ন ক্যানিয়নের কাছে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আরও অনেক মানুষকে সরে যেতে হয়েছে। হলিউড হিলসসহ লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির অন্তত ছয়টি জায়গা দাবানলের কবলে পড়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, ছয়টি জায়গার দাবানলের মধ্যে চারটি একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। লস অ্যাঞ্জেলেসের এই দাবানলকে ডাকা হচ্ছে ‘সানসেট ফায়ার’ নামে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ফায়ার সার্ভিস বিভাগ বলেছে, বুধবার দাবানলে হলিউড হিলসের ৫০ একর জায়গা পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কেউ স্থলভাগে থেকে, আবার কেউ হেলিকপ্টারে চড়ে ওপর থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে জোরেশোরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে ঐতিহাসিক এলাকা হলিউড হিলসের কিছু সড়ক খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছিলেন।
এ বিষয়ে লস অ্যাঞ্জেলস ফায়ার ডিপার্টমেন্টের (এলএএফডি) মার্গারেট স্টুয়ার্ট বলেন, ‘আমাদের সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। আমরা চাই না মানুষ আটকে থাকুক। আমরা চাই সবাই নিরাপদে বেরিয়ে আসুক।’
আরটিভি/এফএ/এস
মন্তব্য করুন