• ঢাকা শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১
logo

লন্ডনের পার্লি রাজা ও রানিরা

ডয়েচে ভেলে

  ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১
লন্ডনের পার্লি
ছবি : সংগৃহীত

লন্ডনে পার্লি রাজা ও রানিদের ঐতিহ্য ১৮৭৫ সাল থেকে। তারা লন্ডনের বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। ভালো কাজের জন্য তারা তহবিল সংগ্রহ করেন। তাদের মধ্যে উত্তরসূরি নির্বাচনেরও চল আছে। বছরে একটি দিন ফসল কাটার উৎসব হিসেবে পালন করেন পার্লিরা। সেদিন তারা পার্লি নকশার পোশাক পরে গান, নাচ করেন।

পার্লি রানি ক্যাটি বার্নস বলেন, অনেক মানুষ আছেন যারা জানেন না, পার্লিরা আছেন। তারা আমাদের এখানে দেখতে পান এবং আমাদের সম্পর্কে জানতে পেরে তারা খুব আনন্দিত হন।

লন্ডনের শ্রমিক শ্রেণির আইকন হলেন পার্লিরা। উনিশ শতকে নকশা করা স্যুট পরে তারা দরিদ্রদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন। আজও তারা স্থানীয় দাতব্য সংস্থার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। পার্লিরা লন্ডনের বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। রাজপরিবারের মতো তারাও উত্তরসূরি ঠিক করতে পারেন।

অনেকদিন ধরে অর্থ তোলার রেকর্ড আছে ক্লাইভ বেনেটের। তিনি পার্লি সংস্কৃতি খুব ভালোভাবে তুলে ধরেন। পুরনো লন্ডনের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারেন তিনি। ক্লাইভ বলেন, অনেকে বলেন এটা গোপন ভাষা। পুলিশ যদি আপনাকে ধরতে আসে তাহলে তাদের ফাঁকি দেওয়ার জন্য এটা বলা হয়। যেমন- কেইন অ্যান্ড এইবল, মানে হচ্ছে টেবিল, জ্যাক দ্য রিপারবলতে বোঝায় স্ট্রিপার। আর কাপ্পা অফ রোজি লি মানে হচ্ছে চা।

ফসল কাটার উৎসবে ফেরা যাক। পার্লিরা অর্থ সংগ্রহ করছেন। এভাবে তারা তহবিল সংগ্রহের আরো একটি সফল বছর পার করছেন। উৎসবের এক দর্শক বলেন, সবচেয়ে ভালো বিষয় হচ্ছে, তরুণরা ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তারা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে প্রস্তুত হচ্ছে। সেটা না হলে এসব পুরনো রীতি ও গান, এবং আজ আমরা যা শুনছি সব একদিন হারিয়ে যাবে। বিষয়টা লজ্জার হবে।

পার্লিদের সংখ্যা কমে গেছে। আগে লন্ডনে তাদের সংখ্যা কয়েকশ ছিল। এখন আছে কয়েক ডজন। পার্লি রাজা জন ডাওয়েল বলেন, লন্ডনের ছেলে হিসেবে এটা আমার ঐতিহ্যের একটি অংশ- ককনি বয়। লন্ডনের বাস, লন্ডনের ট্যাক্সি, লন্ডনের একজন পুলিশ কর্মকর্তার মতো আইকনিক একটা বিষয় হচ্ছে পার্লি রাজা ও রানি। আমাদের এই ঐতিহ্যটা ধরে রাখতে হবে। তা না হলে আমরা এটা হারিয়ে ফেলবো।

পার্লিদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের তরুণ সদস্যদের উপর। যেমন পার্লি রানি হতে এভি ওয়ালড্রেন দুই বছরের প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। সামাজিক মাধ্যমে তিনি তার প্রশিক্ষণের বিষয় তুলে ধরছেন। এভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোর আশা করছেন তিনি।

এভি বলেন, পার্লিরা বিলুপ্ত হলে আমার হৃদয় ভেঙে যাবে। আমার মনে হয় পার্লিরা এখন যেমন আছে সেভাবে এগিয়ে যাবে। তবে কিছু জিনিস আধুনিক করতে হবে। যেমন ইনস্টাগ্রাম ও সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় হতে হবে। সেই সঙ্গে পুরনো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।

পার্লি রাজা ও রানিরা পার্লি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক৷ তারা এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর।

আরটিভি/এএইচ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়