জার্মান-ইরানি নারী নাহিদ টাঘাভি কারামুক্ত
ইরানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন নাহিদ টাঘাভি। আর পরিবার এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে এই তথ্য। ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রচারণা’ চালানোর অভিযোগে কারাবন্দী ছিলেন তিনি। নারী অধিকারকর্মী নাহিদ টাঘাভি চার বছরের বেশি সময় ইরানে আটক থাকার পর রোববার জার্মানিতে ফিরতে পেরেছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইরানে দেড় হাজার দিনেরও বেশি কারাবন্দী থেকেছেন টাঘাভি। নাহিদ টাঘাভির মেয়ে মারিয়াম ক্লারেন বিমানবন্দরে তার নিজের এবং তার মায়ের একটি ছবি অনলাইনে প্রকাশ করে লিখেছেন, নাহিদ এখন মুক্ত! ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে চার বছরের বেশি সময় রাজনৈতিক কারণে বন্দি থাকার পর আমার মা নাহিদ টাঘাভি মুক্ত হয়েছেন এবং জার্মানিতে ফিরে এসেছেন। ইরানে ভ্রমণের সময় ২০২০ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার হন টাঘাভি। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো এবং একটি অবৈধ গোষ্ঠীর সদস্যপদ থাকার অভিযোগে ২০২১ সালের আগস্টে তাকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইরানের আদালত। মায়ের মুক্তির জন্য জার্মানিতে অবস্থান করে প্রচারণা চালিয়েছেন মারিয়াম ক্লারেন।
তিনি বলেন, আমরা মা অবশেষ ঘরে ফিরেছেন। আমাদের এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বার্লিন থেকে তেহরান অবধি আপনাদের সংহতি ন্যায়বিচার পেতে সহায়তা করেছে। শুধু জার্মানিতেই তার মুক্তির দাবিতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছিলেন। এছাড়া বার্লিন, কোলনসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে। ক্লারেন অবশ্য বলছেন, তার মায়ের মতো আরো অনেকে এখনো বন্দি আছেন।
তিনি বলেন, আমার মায়ের মতো আরো অনেক অসহিংস রাজনৈতিক বন্দি ইরানের কারাগারে বন্দি আছেন। ইরানি কর্তৃপক্ষের দায়মুক্তির ইতি ঘটতে হবে। পেশায় স্থপতি টাঘাভি ১৯৮৩ সাল থেকে কোলনে বসবাস করছেন।
এদিকে, ইরানের কারাগারে গত সপ্তাহে এক সুইস বন্দির আত্মহত্যার পর সেদেশে থাকা নিজেদের নাগরিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্স। এছাড়া কিছুদিন আগে ইটালীয় সাংবাদিক চেচিলিয়া সালা ইরানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। টাঘাভির মতো সালাও তেহরানের কুখ্যাত এভিন প্রিজনে ছিলেন।
ইরানে কারাবন্দী অবস্থায় গত বছর জার্মান-ইরানি মার্কিন রেসিডেন্ট জাসশিদ শর্মাধের ভাগ্যে কী ঘটেছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইরানি কর্তৃপক্ষ প্রথমে জানিয়েছিল তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে জানায় যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। এই নিয়ে পশ্চিমারা কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।
আরটিভি/এএইচ
মন্তব্য করুন