চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা: সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৩৩ বছর বয়সী সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) শিয়ালদহের একটি আদালত তাকে এই দণ্ড দেন। কলকাতা পুলিশের সাবেক নাগরিক স্বেচ্ছাসেবক সঞ্জয় রায়কে এদিন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আদালতে আনা হয়। খবর এনডিটিভির।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস সাজা ঘোষণা করার আগে সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য শোনেন।
১৬০ পৃষ্ঠার রায়ে সিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড এবং মৃত্যু ঘটানোর সঙ্গে সম্পর্কিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা অনুযায়ী রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার পরে, ভুক্তভোগীর বাবা আদালতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং বিচারককে বলেন, 'আপনি আমার বিশ্বাসের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছেন।'
শনিবার বিকেলে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে আদালতে আনা হয় সঞ্জয় রায়কে। সেখানে তিনি বারবার দাবি করেন, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, যদিও তার আইনজীবীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এর আগে, আরজি কর মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় নিম্ন আদালতে। সেই তালিকায় রয়েছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা, সিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা, কলকাতা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং নিহতের কয়েকজন সহপাঠী।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই দিন ভোরে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে কলকাতার সল্টলেকের পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকে গ্রেপ্তার করে।এই ধর্ষণ ও খুনের কথা প্রকাশ্যে এলে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। যা রাজ্য ছাপিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
আরটিভি/এআর
মন্তব্য করুন