ফেব্রুয়ারিতেই চীনা পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপের চিন্তা ট্রাম্পের
ক্ষমতায় বসতে না বসতেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি চীনের পণ্যেও বাড়তি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ভাবছি।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার চীন। চীনা পণ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। তারপরও চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ট্রাম্পের যুক্তি, চীন থেকে ব্যথানাশক ফেন্টানিলের রাসায়নিক উপাদান মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ করে। অতিমাত্রায় ফেন্টানিল সেবনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা যায়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদেও চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় দেশটির পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
এ ছাড়া, মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। ধারণা করা হচ্ছিল, দায়িত্বে বসে প্রথম দিনেই কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করবেন তিনি; কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমনটা হয়নি।
তবে, সোমবার ওভাল অফিসে বসেই কোন কোন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কে অন্যায্যতা আছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট মনে করেন, আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও সমালোচকরা বলছেন, এসব শুল্কের ভার শেষমেশ ভোক্তাদের ঘারেই বর্তাবে। এছাড়া দেশের বাইরে থেকে রাজস্ব আহরণে এক্সটার্নাল রেভিনিউ সার্ভিস নামের একটি বিভাগ স্থাপন করবেন ট্রাম্প।
এদিকে বাণিজ্য উত্তেজনার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে চীনও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করেই মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তার দেশ বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে ‘সমাধান খুঁজছে’ এবং আমদানি সম্প্রসারণে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরটিভি/এসএইচএম/এস
মন্তব্য করুন