বিষ প্রয়োগে ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করে ইসরায়েল!
বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের নেতা ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করেছিল ইসরায়েল। এমনটাই দাবি করেছেন ইসরায়েলের অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও লেখক রনিন বার্গম্যান তার নতুন বইয়ে।
ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ‘রাইজ অ্যান্ড কিল ফাস্ট: দ্য সিক্রেট হিস্টোরি অব ইসরায়েল’স টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশন্স’ নামের বইটি লিখেছেন রনিন।
রনিন তার বইয়ে লিখেছেন, ইয়াসির আরাফাতকে রেডিয়েশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর ইয়াসির আরাফাতের হত্যাকাণ্ডের পর নতুন একটি প্যাটার্ন ও সমর্থন সৃষ্টি হয়। তবে আরাফাতের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল সে ব্যাপারে তথ্য থাকলেও তা প্রকাশ করেননি রনিন। এজন্য তিনি সেনাবাহিনীর সেন্সরশিপকে দায়ী করেছেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে বাস নদীতে পড়ে নিহত ৭
--------------------------------------------------------
তিনি লিখেছেন, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় আরাফাতকে হত্যার নির্দেশ দেন। ভূমধ্যসাগরে বিমান বিধ্বস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। অন্তত পাঁচবার তার নির্দেশে আরাফাতকে হত্যায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু শৃঙ্খলাবিরোধী জেনেও বিমানবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা নির্দেশটি পালন করেননি।
ইসরায়েল সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমোস গিলবোয়া রনিনকে জানান, তিনি ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাফায়েল এইটানকে এ অভিযান সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমোস বলেছিলেন, যাত্রীবাহী বিমানকে ভূপাতিত করার ঘটনায় আমরা জড়িত-এ কথা জানাজানি হলে আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ছয় শতাধিক পৃষ্ঠার ওই বইয়ে রনিন লিখেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধের পরিবর্তে গুপ্তহত্যা চালায়। এমনকি এ প্রক্রিয়ায় শত্রু রাষ্ট্র ইরানের প্রায় আধাডজন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে তেল আবিব।
গেলো ৭০ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে এই গুপ্তহত্যা মিশন চালাচ্ছে ইসরায়েল। বিভিন্ন দেশে নানা কৌশল ব্যবহার করে কমপক্ষে দুই হাজার তিনশটি হত্যা মিশন চালিয়েছে দেশটি। এসব হত্যা মিশন পরিচালনা করা হয় টুথপেস্টে বিষ মিশিয়ে, ফোন বিস্ফোরণ, সশস্ত্র ড্রোন ও গাড়ির অতিরিক্ত চাকায় পেতে রাখা দূর নিয়ন্ত্রিত বোমা ফাটিয়ে।
শত্রুরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ও জনপ্রিয় মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের হত্যার জন্য এগুলো নিয়মিত প্রয়োগ করে আসছে ইসরায়েল।
নাইন ইলেভেনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং পরে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইসরায়েলের অনেক কৌশল গ্রহণ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, রনিন বার্গম্যান ইসরায়েলের শীর্ষ পত্রিকা ইয়েদিওথ আহরোনথের জাতীয় নিরাপত্তা সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায়ও কন্ট্রিবিউট করেন।
আরও পড়ুন:
- কাবুলে মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে হামলায় জঙ্গিসহ নিহত ১৫
- থাইল্যান্ডে ই-সিগারেট বহনে পর্যটকদম্পতিকে জরিমানা
এ/পি
মন্তব্য করুন