বন্দুকজনিত সহিংসতা রোধে সরব হচ্ছে মার্কিন তরুণরা
সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ হামলাই স্কুলে ঘটেছে। সর্বশেষ বুধবার ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে একটি স্কুলে বন্দুক হামলায় ১৭ জন নিহত হয়। এরপর ট্রাম্প প্রশাসন খুব একটা সরব না হলেও দেশটির তরুণরাই এখন বন্দুকজনিত সহিংসতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন। খবর স্কাই নিউজের।
তাদেরই একজন ডেভিড হগ। ১৭ বছর বয়সের এই তরুণ মারজরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলের ছাত্র। ওই স্কুলে যখন নিকোলাস ক্রুজ বন্দুক হামলা চালান ডেভিড তখন পরিবেশ বিজ্ঞান ক্লাসে ছিলেন।
তবে ওই হামলায় তিনি পালিয়ে বাঁচতে সক্ষম হন। তবে তার বন্ধুদের মধ্যে যারা আহত বা নিহত হয়েছেন তাদের জন্য মুখ খুলেছেন ডেভিড। তিনি বলেন, সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
আকুতি জানিয়ে ডেভিড বলেন, দয়া করে ব্যবস্থা নিন। আপনাদের উদ্দেশ্য ভালো কিন্তু হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচানোর জন্য সেগুলোর বাস্তবায়ন আরও জরুরি।
ডেভিড ও তার সমবয়সীদের অনেকেই এখন কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন চান।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, তরুণদের মধ্যে ৭৮ ভাগ মনে করেন বন্দুক কেনা খুব সহজ। আর ৫৯ ভাগ মনে করেন বন্দুক নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন করা হলে সহিংসতা কমে আসবে।
পার্কল্যান্ডে ওই হামলার পরই মিডিয়ায় একে একে উঠে আসতে থাকে নিকোলাস ক্রুজের বিভিন্ন ভাষ্য।
যেখানে নিকোলাসকে নিজের বন্দুক নিয়ে গর্ব করতে দেখা যায়। এমনকি ‘পেশাদার স্কুল সুটার’হতে চান বলেও জানিয়েছিলেন নিকোলাস।
তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে ১৮ বছর বয়সেই নিকোলাস কোনো ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক ছাড়া এআর-১৫ সেমি-অটোমেটিক রাইফেল কিনতে পারলো? আর প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা তাকে বিপজ্জনক হিসেবে বর্ণনা করার পরও সে কীভাবে এ রকম শক্তিশালী একটি অস্ত্র বৈধভাবে কিনতে পারলো?
এমন হাজারও প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পার্কল্যান্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে সেগুলোর উত্তর হয়তো সহসাই পাওয়া যাবে না।
এ/পি
মন্তব্য করুন