যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের দেশ নয়!
ঐতিহাসিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের দেশ। কিন্তু দেশটির নাগরিকত্ব ও অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা কিন্তু এর উল্টোটাই বলছে। চলতি সপ্তাহ থেকে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অভিবাসীদের দেশ’ হিসেবে বর্ণনা করা বন্ধ করে দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (ইউএসসিআইএস) তাদের মিশনে এমনটাই লিখেছে। তবে এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
বৃহস্পতিবার নতুন এই মিশন বিবৃতির বিষয়টি সামনে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসী সংস্থার পরিচালক কর্মচারীদের উদ্দেশে যে চিঠি লিখেন সেখানেই এটি প্রকাশ পায়। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সামনের দিনগুলোতে আমাদের এগিয়ে যাওয়া পথনির্দেশিকা’।
এর আগে বুধবারও সংস্থাটির মিশন বিবৃতিতে লেখা ছিল:
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসী সংস্থা জাতি হিসেবে আমেরিকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করা, আমাদের গ্রাহকদের সঠিক ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, অভিবাসনের অনুমতি দেয়া ও নাগরিকত্ব সুবিধা, সচেতনতা বৃদ্ধি ও নাগরিকত্ব বোধ তৈরি এবং আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থার সমন্বয় নিশ্চিত করা।
তবে নতুন বিবৃতিতে বলা হয়েছে:
অভিবাসন সংস্থা দেশের বৈধ অভিবাসন ব্যবস্থা, অখণ্ডতা নিশ্চিতকরণ এবং আমেরিকানদের রক্ষা, মাতৃভূমির নিরাপত্তা ও আমাদের মূল্যবোধকে সম্মান জানিয়েছে দক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অভিবাসন সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেয়।
নতুন এই বিবৃতি তৈরিতে মূল ভূমিকা রেখেছেন সংস্থাটির পরিচালক এল. ফ্রান্সিস সিসনা। তিনি বলেছেন, এরমধ্য দিয়ে সংস্থাটির ভূমিকা ও কাদের জন্য আমরা কাজ করবো সেটি পরিষ্কার হলো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির অভিবাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। গেলো বছর ট্রাম্প অভিবাসন ব্যবস্থায় বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন। যার ফলে দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পরও অনেককে দেশ ছাড়তে হচ্ছে।
এদিকে অভিবাসন সংস্থার ওই বিবৃতির পর সিনেটে ডেমোক্রেটদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সিনেটর ডিক ডারবিন একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন মিশন বিবৃতিতে পরিবর্তন করতে পারেন। কিন্তু তারা আমাদের ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারবে না। আমরা তাদের আমাদের ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করতে দেব না। আর আমরা অভিবাসীদের দেশ হিসেবে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
আরও পড়ুন:
এ/ এমকে
মন্তব্য করুন