নিজের জীবন দিয়ে শতাধিক যাত্রী বাঁচালেন এই ইন্দোনেশীয়
ছোট একটা কাজ অনেক সময় যে কাউকে নায়ক বানিয়ে দিতে পারে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার এই যুবক নিজের জীবন দিয়ে বাঁচিয়েছেন আরও শতাধিক ব্যক্তির জীবন। তাই মৃত্যুর পর তাকে এখন নায়ক হিসেবে প্রশংসা করা হচ্ছে।
ঘটনাটা শুক্রবারের। ইন্দোনেশিয়ায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে যখন সবাই পালাতে শুরু করে তখন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার ২১ বছর বয়সী অ্যান্থোনিয়াস গুনাওয়ান আগুং তার দায়িত্ব ঠিকই পালন করেন। মৃত্যুকে ভয় না করে তিনি একটি যাত্রীবাহী বিমানকে পালুর মুতিয়ারা এসআইএস এআই-জুফরি বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে উড্ডয়নে সাহায্য করেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাতিক এয়ারের একটি বিমান উড্ডয়ন না করা পর্যন্ত তিনি তার স্থান ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু এসময় তার ওই বিমানের ওঠা-নামার সঙ্গে জড়িত নয় এমন কর্মীরা সেখান থেকে চলে যায়।
এয়ারনাভ ইন্দোনেশিয়ার মুখপাত্র ইয়োহানেস হ্যারি সিরেইত বলেছেন, যখন ভূমিকম্প হচ্ছিল তখন তিনি বাতিক এয়ারের ওই বিমানটিকে উড্ডয়নের ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছিলেন। বিমানটি নিরাপদে উড্ডয়নের পরই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার কেবিন টাওয়ার ছাড়েন তিনি।
কিন্তু এরইমধ্যে ভূমিকম্প আরও শক্তিশালী হয় সঙ্গে সুনামি। তাই জীবন বাঁচাতে চারতলা টাওয়ারের ওপর থেকে লাফিয়ে পড়েন আগুং। ফলে তার পা ভেঙে যায় এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়ার আগেই তিনি মারা যান।
এয়ারনাভ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তার অসাধারণ উৎসর্গের জন্য আগুংয়ের র্যাঙ্ক দুই ধাপ উন্নতি করা হবে।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৮৩২ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
- বাংলাদেশে দিল্লির শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে: সুব্রামনিয়াম
- মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট গাইয়ুম জামিনে মুক্ত
এ/পি
মন্তব্য করুন