বর্ণনার ভিত্তিতে জাতিসংঘের প্রতিবেদন: মিয়ানমার
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন দিয়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ কিয়াও তিন্ত সোয়ে এই মন্তব্য করেছেন।
মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যখন আমরা ভারসাম্য তৈরির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি তখন বর্ণনার ভিত্তিতে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন অকাট্য সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে না হওয়ায় রাখাইন রাজ্যে সামাজিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হবে এবং উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে ব্যর্থতার দায় বাংলাদেশের ওপর চাপিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিন্ত সোয়ে। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির সঙ্গে মিল রেখে যাচাইকৃত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিতে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকেই আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ওই চুক্তি অনুসারে কোনও দেরি ছাড়াই যাচাইকৃত ব্যক্তি স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও সম্মানজনক অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে আমরা বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মিয়ানমারের এই শীর্ষ কূটনীতিক অভিযোগ করে বলেন, দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাস্তুচ্যুত একজন মানুষকেও ফেরত পাঠায়নি বাংলাদেশ।
অন্যদিকে মিয়ানমারের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) এখতিয়ার নিয়ে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আইসিসির সদস্য নই, তাই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য বিচারের এখতিয়ার নেই এই আদালতের।
এর আগে আগস্ট মাসে জাতিসংঘের একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন জানায়, গেলো বছর রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযানে ব্যাপকহারে হত্যা, গণধর্ষণ ‘গণহত্যার উদ্দেশ্য’ নিয়েই চালানো হয়েছে। আর এজন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রধানসহ আরও পাঁচ সেনা কর্মকর্তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আইসিসির বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত শুরু করার বিষয়ে একমত হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু হলে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
আরও পরুন :
এ/পি
মন্তব্য করুন