ভারতের দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে কয়েক হাজার কৃষকের পদযাত্রায় পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এতে আহত হয়েছে অনেক কৃষক।
উত্তরপ্রদেশের হরিদ্বার থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রাটি মঙ্গলবার সকালে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে পৌঁছায়। এখানে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকরা রাজধানীতে ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের আটকাতে পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি ও আনন্দবাজার।
কৃষিঋণ মওকুফ, বিদ্যুৎ ভর্তুকি, ৬০ বছরের বেশি কৃষকদের পেনশন ও জ্বালানি এবং স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ গুলিকে কার্যকর করার দাবিতে এই পদযাত্রার ঘোষণা দেয় ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন।
পরে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা। যে যেখানে আছে, সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে।
ইউনিয়নের সভাপতি নরেশ টিকাইত বলেছেন, আমাদের কেন আটকানো হল? আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিলাম। আমাদের সমস্যার কথা আমরা কি দিল্লিকে না জানিয়ে পাকিস্তান বা বাংলাদেশে গিয়ে জানাবো?
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কৃষকদের মিছিলে পুলিশের বাধা দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কৃষকদের অবশ্যই রাজধানীতে ঢুকতে দেয়া উচিত। কেন ঢুকতে দেয়া হবে না তাদের? এটা একদম অনুচিত কাজ হচ্ছে। আমাদের সরকার সবসময়ই কৃষকদের সঙ্গে আছে।
কংগ্রেস, জনতা দল (ইউনাইটেড), সমাজবাদী পার্টি, সিপিএম, রাষ্ট্রীয় লোকদলসহ প্রায় সব বিরোধী দলই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট বার্তায় মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জকে নিষ্ঠুর ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
এই পদযাত্রা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গতকাল সোমবার পূর্ব দিল্লির প্রীত বিহার, জগৎপুরী, শকরপুর, মধু বিহার, গাজিপুর, ময়ূর বিহার, মান্ডাওলি, পান্ডব নগর, কল্যাণপুরী এবং নিউ অশোকনগর থানার কিছু জায়গায় সাত দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ।
হরিদ্বারের কিষাণ ঘাট থেকে শুরু হওয়া ‘কিষাণ ক্রান্তি যাত্রা’ যেকোনও মুহূর্তে রাজধানীতে ঢুকে পড়তে পারে বলেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন :
কে/এমকে