অসলোর সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মোহাম্মদ
ইউরোপের দেশ নরওয়েতে ১১ বছর ধরে ছেলেদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মোহাম্মদ। দেশটির রাজধানী অসলোতে ১১ বছর ধরে ছেলেদের নামের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মোহাম্মদ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
২০০৮ থেকে অসলোতে বিভিন্ন ধরনের বানান লিখে মোহাম্মদ নাম সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে।
নরওয়ের রাজধানীতে প্রতিযোগিতায় অস্কার, আকসেল এবং জ্যাকব এ ধরনের শীর্ষ নাম টপকে মোহাম্মদ নাম প্রথম হয়েছে। এছাড়া লুকাস, ফিলিপ ও অলিভারকে দেশব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ছেলেদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
অসলো একটি ক্রমবর্ধমান মুসলমান সম্প্রদায়ের বসতি যেখানে প্রায় ১০ শতাংশ জনসংখ্যা ইসলামের অনুসারী।
পাকিস্তানি, সোমালি, ইরাকি ও মরক্কোন অসলোতে একটি বৃহত্তম মুসলিম সম্প্রদায় তৈরি করেছে।
এ
মন্তব্য করুন
কে হবেন রতন টাটার ৩৮০০ কোটির সাম্রাজ্যের উত্তরসূরি?
ভারতের শিল্পপতি রতন টাটা মারা গেছেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে ৮৬ বছর বয়সে ৩৮০০ কোটির সম্পত্তি রেখে মারা গেছেন তিনি। তার উত্তরসূরি কে হবেন প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
ভারতের ধনকুবের রতন টাটা মুম্বাইতে জন্ম নেন ১৯৩৭ সালে। বুধবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘ জীবনকালে শিল্পপতি হিসেবে একের পর এক নজির গড়েছেন। তার ঝুলিতে রয়েছে ‘পদ্মভূষণ’ এবং ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মাননা। তথ্য বলছে, তিনি রেখে গেছেন ৩৮০০ কোটি রুপির সম্পত্তি।
বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টাটা ট্রাস্টের প্রাথমিক জনহিতকর অঙ্গসংস্থান স্যার দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট এবং স্যার রতন টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটার নিয়োগকে সমর্থন করেছিলেন রতন টাটা। এ ট্রাস্টগুলো টাটা পরিবারের দাতব্য কাজে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। টাটা পরিবারের তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে গ্রুপের পাঁচটি প্রধান জনহিতকর সংস্থায় বোর্ডের পদে রয়েছে।
লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটা হলেন রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার সন্তান। নোয়েল টাটা হলেন রতনের বাবা নেভাল টাটা এবং সৎ মা সিমোনের সন্তান।
মায়া টাটা
৩৪ বছর বয়সি মায়া টাটা গ্রুপে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছেন। বেইজ বিজনেস স্কুল এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মায়া টাটা অপরচুনিটিজ ফান্ড এবং টাটা ডিজিটালের প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। টাটা নিউ অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন মায়া।
নেভিল টাটা
মায়া টাটা ছাড়াও আরও একজনের নাম শোনা যাচ্ছে। ৩২ বছর বয়সি নেভিল টাটা পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। টয়োটা কির্লোস্কর গ্রুপ পরিবারের মানসী কির্লোস্করের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নেভিল। ট্রেন্ট লিমিটেডের অধীনে শীর্ষস্থানীয় হাইপারমার্কেট চেইন স্টার বাজারের প্রধান তিনি।
লিয়া টাটা
বয়সের দিক থেকে ৩৯ বছরের লিয়া টাটা সবার থেকে বড়। তিনি টাটা গ্রুপের হাসপিটালিটি সেক্টরে কাজ করেন। স্পেনের আইইতে পড়াশোনা করা লিয়া তাজ হোটেল রিসোর্টগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বর্তমানে ইন্ডিয়ান হোটেল কোম্পানির কার্যকলাপ তিনি পরিচালনা করেন।
রতন টাটার চলে যাওয়া এক যুগের অবসান ঘটিয়েছে, কিন্তু এখন সকলের নজর তার উত্তরাধিকারীর দিকে। টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ কে পরিচালনা করবেন—নোয়েল, নেভিল, লিয়া, না মায়া? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চলছে জল্পনা, এবং খুব শিগগিরই আমরা জানতে পারব এই ঐতিহাসিক সাম্রাজ্যের পরবর্তী কর্ণধার কে হতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রতন টাটা। বাবা নভল টাটার জন্ম গুজরাটের সুরাটে। পরে টাটা পরিবার তাকে দত্তক নেয়। রতন টাটার মা সুনি টাটা আবার সরাসরি জামশেদজি টাটার পরিবারের অংশ। রতন টাটার পিতামহ হরমসজি টাটা জন্মসূত্রেই ওই পরিবারের সদস্য। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। রতন টাটার নিজের এক ভাইও রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎ ভাই নোয়েল টাটা। নভল টাটা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সিমোন টাটাকে। নোয়েল তাদেরই সন্তান।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলতেন না রতন টাটা। তবে বেশ কবছর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে খানিকটা মন খুলে কথা বলেছিলেন তিনি। রতন টাটা বলেছিলেন, প্রেম করলেও বিয়ে করার সাহস আর পাননি। কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে পিছু হটেছেন। প্রথম প্রেমিকা ছিলেন এক মার্কিন তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রে তখন কাজ করতেন তিনি। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও তার সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে পারেননি। দ্রুত ভারতে ফিরে আসার কারণে সে সম্পর্ক পূর্ণতা পায়নি।
২০১১ সালে একটি সাক্ষাৎকারে রতন টাটা বলেছিলেন, তার জীবনে চার বার বিয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা কারণে পিছিয়ে আসতে হয় তাকে। একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি রতন টাটা। তাই শেষদিন পর্যন্ত কুমার থেকে গেলেন। ছোটবেলা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে বলে অনেকের ধারণা।
আরটিভি/একে/এআর
মৃত্যুর আগে শেষ পোস্টে যা বলেছিলেন রতন টাটা
ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি ও টাটা সন্সের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস রতন টাটা মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বুধবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
এদিকে মৃত্যুর মাত্র দুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে সেটিই ছিল তার সর্বশেষ পোস্ট। ওই পোস্টে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
মূলত নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর অনুগামীদের জন্য ওই পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মৃত্যুকালে রতন টাটার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। এজন্য নিয়মিত চেকআপেও থাকতে হতো তাকে। জানা গিয়েছিল, হেলথ চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন রতন টাটা।
কিন্তু বুধবার বিকেলে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করে, রতন টাটা শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, হঠাৎ রক্তচাপ নেমে যাওয়ায় কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শেষে বুধবার রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে, গত সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ খবর ছড়ায় রতন টাটা হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু এর কিছু পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, সেটা ভুল খবর। তিনি ঠিক আছেন।
মাত্র দুই দিন আগে গত সোমবার ভারতীয় এই শিল্পপতি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তার অনুগামীদের জন্য বার্তা দিয়ে তার স্বাস্থ্যকে ঘিরে ছড়িয়ে থাকা গুজবগুলোকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আমার কথা চিন্তা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
রতন টাটা তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছিলেন, আমি আমার স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রচারিত সাম্প্রতিক গুজব সম্পর্কে অবগত এবং সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই দাবিগুলো ভিত্তিহীন। আমি বর্তমানে আমার বয়স এবং সম্পর্কিত চিকিৎসা অবস্থার কারণে মেডিকেল চেক-আপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি ভালো আছি...।
৮৬ বছর বয়সী ভারতীয় এই শিল্পপতি তার শেষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছিলেন, আমি জনসাধারণ এবং মিডিয়াকে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রতন টাটা। বাবা নভল টাটার জন্ম গুজরাটের সুরাটে। পরে টাটা পরিবার তাকে দত্তক নেয়। রতন টাটার মা সুনি টাটা আবার সরাসরি জামশেদজি টাটার পরিবারের অংশ। রতন টাটার পিতামহ হরমসজি টাটা জন্মসূত্রেই ওই পরিবারের সদস্য। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। রতন টাটার নিজের এক ভাইও রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎ ভাই নোয়েল টাটা। নভল টাটা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সিমোন টাটাকে। নোয়েল তাদেরই সন্তান।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলতেন না রতন টাটা। তবে বেশ কবছর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে খানিকটা মন খুলে কথা বলেছিলেন তিনি। রতন টাটা বলেছিলেন, প্রেম করলেও বিয়ে করার সাহস আর পাননি। কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে পিছু হটেছেন। প্রথম প্রেমিকা ছিলেন এক মার্কিন তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রে তখন কাজ করতেন তিনি। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও তার সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে পারেননি। দ্রুত ভারতে ফিরে আসার কারণে সে সম্পর্ক পূর্ণতা পায়নি।
২০১১ সালে একটি সাক্ষাৎকারে রতন টাটা বলেছিলেন, তার জীবনে চার বার বিয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা কারণে পিছিয়ে আসতে হয় তাকে। একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি রতন টাটা। তাই শেষদিন পর্যন্ত কুমার থেকে গেলেন। ছোটবেলা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে বলে অনেকের ধারণা।
আরটিভি/একে/এআর
বাবা সিদ্দিকি হত্যার দায় স্বীকার, নেপথ্যে সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা!
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন নিজেদের মুম্বাইয়ের লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে এই হত্যার দায়ও স্বীকার করে নিয়েছে গ্যাংটি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এসসিপি) নেতা এবং মহারাষ্ট্রের তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকি।
পুলিশের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকার নির্মল নগরে কোলগেট মাঠের কাছে ছেলে জিশান সিদ্দিকের অফিস থেকে বের হন বাবা সিদ্দিকি। গাড়িতে উঠতে যাবেন এমন সময়ে তাকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করে একদল সন্ত্রাসী। এর মধ্যে চারটি গুলি লাগে তার গায়ে। হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করার পর দ্রুত বাবা সিদ্দিকিকে স্থানীয় লীলাবতী হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এদিকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য পুলিশের চারটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করার সঙ্গে তিন ব্যক্তি জড়িত। এরই মধ্যে হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। তৃতীয় ব্যক্তি পালিয়ে গেছেন। গ্রেপ্তার দুজনের নাম গুরমেল সিং (২০) এবং ধরমরাজ কাশ্যপ (২০)।
এরই মধ্যে রোববার (১৩ অক্টোবর) লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং সদস্যের একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দাউদ ইব্রাহিমের মতো আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের সঙ্গে যোগযোগ রাখার কারণে বাবা সিদ্দিককে টার্গেট করা হয়েছে।
পোস্টে লিখা হয়েছে, ‘ওম, জয় শ্রী রাম, জয় ভারত। আমি জীবনের সারমর্ম বুঝি এবং সম্পদ এবং শরীরকে ধূলিকণা মনে করি। আমি কেবল কর্তব্যকে সম্মান জানিয়ে যা সঠিক তা করেছি। সালমান খান, আমরা এই যুদ্ধ চাইনি। কিন্তু আপনার কারণেই ভাইকে প্রাণ দিতে হলো। আজ বাবা সিদ্দিকির ভদ্রতার মুখোশ বন্ধ হয়ে গেছে। এক সময় তিনি দাউদের সঙ্গে (মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম) এর অধীনে ছিলেন। তার মৃত্যুর কারণ বলিউড, রাজনীতি এবং সম্পত্তির লেনদেনে দাউদ এবং অনুজ থাপনের সঙ্গে সম্পর্ক।’
পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘কারও সঙ্গে আমাদের কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে সালমান খান বা দাউদ গ্যাংকে যারা সাহায্য করবে, তাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি কেউ আমাদের কোনও ভাইকে হত্যা করে, আমরা জবাব দেব। আমরা কখনই প্রথম হামলা করি না। জয় শ্রী রাম, জয় ভারত, শহীদদের প্রতি স্যালুট।’
পুলিশ বলছে, খুনের মূল পরিকল্পনাকারীকে খুঁজে বের করেছে তারা। তদন্তে জানা গেছে, এই হত্যা পূর্বপরিকল্পিত। অভিযুক্তদের অগ্রীম টাকা দেওয়া হয়েছিল কয়েকদিন আগে। এরপর তাদের অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল।
সিদ্দিকির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানায়, তিনি ১৫ দিন আগে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন এবং তাকে ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাটের একটি কারাগারে বন্দি আছেন। তবে, তার গ্যাং প্রায়ই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ আছে। ১৯৯৮ সালে দুই কৃষ্ণ হরিণ শিকার মামলার কারণে সালমান খানের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। কারণ, এই কৃষ্ণ হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় পবিত্র বলে মনে করে।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে এবার বড় পতন
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম একবারে ৪ শতাংশের বেশি কমেছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩ দশমিক ৩৩ ডলার বা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭০ দশমিক ৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩ দশমিক ২৮ ডলার বা ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৭৪ দশমিক ১৮ ডলার হয়েছে।
এর আগে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম অন্তত চার ডলার কমে তেলের দাম কমে সর্বনিম্ন হয়।
ইরানের তেল স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা না করার ঘোষণা এবং দুর্বল চাহিদার পূর্বাভাসের কারণে মঙ্গলবার তেলের দাম কমল।
আরটিভি/এসএপি
ভারত ভয়াবহ ভুল করেছে: ট্রুডো
ভারতের বিরুদ্ধে এই প্রথম পরিষ্কারভাবে কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেছেন, কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে ভারত ভয়াবহ ভুল করেছে।
আলজাজিরার খবর অনুযায়ী, ট্রুডোর অভিযোগ, তার দেশে সহিংসতা সংঘটিত করছে ভারতের সরকার। বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে একটি তদন্তে ট্রুডো এ অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি বলেন, শিখ ভিন্নমতাবলম্বীদের টার্গেটের মাধ্যমে ভারত কর্তৃক কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করার স্পষ্টতর ইঙ্গিত রয়েছে। ভারতের এই ধরনের কার্যকলাপ ভয়াবহ ভুল।
শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা নিয়ে কানাডা ও ভারতের একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কারের দুদিন পর এমন বক্তব্য দিলেন ট্রুডো।
বুধবারের তদন্তে ট্রুডো বলেন, নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড আরও বৃহত্তর ভারতীয় অভিযানের অংশ ছিল। এতে কানাডার অভ্যন্তরে ভিন্নমতাবলম্বীদের নিয়মিতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, কানাডিয়ানদের প্রতি সহিংসতা ভারতীয় সরকারের দ্বারা সক্ষম করা হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। যখন ভারতের কাছে এই অভিযোগগুলো উপস্থাপন করা হয়, তখন তারা কেবল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে।
কানাডার সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদারের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে না চাইলেও ট্রুডো বলেন, কানাডার সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে তিনি কোনোভাবেই পিছপা হবেন না।
ভারতে স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের সমর্থক হারদীপ সিং নিজ্জরকে গত বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সুরে এলাকায় একটি গুরুদুয়ারার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের বাইরে সবচেয়ে বেশি শিখ জনগোষ্ঠীর বাস কানাডায়। সেখানে ৭ লাখ ৭০ হাজারের বেশি শিখ থাকেন।
আরটিভি/একে-টি
ইতিহাসের সব রেকর্ড ভাঙল স্বর্ণের দাম
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে স্বর্ণের দাম সর্বকালে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
দুবাই জুয়েলারি গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বাজার খোলার সময় ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম গ্রামপ্রতি ৩২৪ দশমিক ২৫ দিরহামে উঠে গেছে, যা বুধবার বাজার বন্ধের সময় ছিল ৩২৩ দশমিক ৭৫ দিরহাম। ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম গ্রামপ্রতি ৩০০ দশমিক ২৫ দিরহামে খোলার সময় শূন্য দশমিক ৫০ দিরহাম বেড়ে যায়।
একইভাবে, ২২ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম গ্রামপ্রতি বেড়ে যথাক্রমে ২৯০ দশমিক ৭৫ ও ২৪৯ দশমিক ২৫ দিরহাম হয়ে যায়। খবর খালিজ টাইমসের।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ছিল প্রতি আউন্স ২ হাজার ৬৭৮ দশমিক ৫৮ ডলার, যা সকাল ৯টা ১০ মিনিটে (সংযুক্ত আরব আমিরাতের সময়) শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পেপারস্টোনের গবেষণা কৌশলবিদ ডিলিন উ বলেছেন, স্বর্ণে বিনিয়োগকারীরা শক্তি অর্জন করছে। অধিকাংশ জি-১০ মুদ্রায় স্বর্ণের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে ঐতিহাসিক উত্থানের ঠিক নিচের ধাপে রয়েছে। এই বৃদ্ধিটি শুধুমাত্র মুদ্রার গতিশীলতার পরিবর্তে প্রকৃত সোনার চাহিদাকে প্রতিফলিত করে। আমি মনে করি ২ হাজার ৭০০ ডলার স্তর অক্টোবরের শেষের আগে অর্জন করা সম্ভব।
মার্কিন অর্থনীতির অনিশ্চিত পরিস্থিতি স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে তুলছে। প্রাথমিক বেকারত্বের দাবিগুলো প্রত্যাশার চেয়ে বেশি এবং ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার সতর্ক করেছেন যে হারিকেন ও ধর্মঘটগুলো অক্টোবরের কৃষি-বহির্ভূত বেতন প্রায় এক লাখ কমাতে পারে, ভবিষ্যতে ফেডের সুদের হার বৃদ্ধিতে ভুল হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরটিভি/একে-টি
স্বর্ণের দামে বিশ্ব রেকর্ড, বাড়তে পারে দেশেও
বিশ্ববাজারে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৭১১.১৯ ডলার ছাড়িয়েছে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১২টা পর্যন্ত স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছিল ২ হাজার ৭১১.১৯ ডলারে। একদিনে ১৮.১০ ডলার বা শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে দাম বেড়েছে প্রতি আউন্সে।
মার্কিন নির্বাচন, ফেডারেল রিজার্ভের সুদ হার হ্রাস ও মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার কারণে এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৩ টাকা। এটিই দেশের বাজারে এখনো পর্যন্ত স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’
আরটিভি/এসএপি