ট্রাম্প অভিশংসনেরও যোগ্য নয়: ন্যান্সি পেলোসি
হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসন’-এরও যোগ্য নন। মার্কিন একটি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ট্রাম্প সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেছেন পেলোসি। তিনি বলেন, সে দেশ চালানোর জন্য একেবারেই উপযুক্ত নন। কিন্তু তাই বলে তাকে ইমপিচ-ও করা যায় না। কারণ তিনি সেটারও যোগ্য নন।
সাক্ষাৎকারে পেলোসি বলেন, আমি ইমপিচমেন্টের পক্ষে নই। এটাই একটা খবর। আমি আর কোনও কাগজকে এতোদিন এ কথা বলিনি। আপনারা প্রশ্ন করলেন, তাই বলছি। আমিও এটা নিয়ে ভাবছিলাম। ইমপিচমেন্ট এমন একটা ব্যাপার, যা নিয়ে দেশ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যেতে পারে। তাই এমন একটা পদক্ষেপ তখনই করা যায় যখন তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় আসে। ট্রাম্পের জন্য দেশ দুই ভাগ হয়ে যাবে, এটা ভাবাই যায় না। উনি স্রেফ এর যোগ্য নন।
তিনি আরও বলেন, নৈতিকভাবে, বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে এবং আগ্রহের বিষয় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ট্রাম্প একেবারেই অযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে তাকে মেনে নেয়া যায় না।
-------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ব্রেক্সিট ইস্যুতে আবারও সংসদে মে’র পরাজয়
-------------------------------------------------
এর আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেছেন পেলোসি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের মতো ধারালো আক্রমণ স্পিকারকে এর আগে করতে দেখা যায়নি। এর কিছুদিন আগেই হাউসের বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান জেরি ন্যাডলার বড়সড় তদন্তের জন্য চিঠি দিয়েছেন ৮১ জনকে। সে চিঠি গিয়েছে হোয়াইট হাউজ, বিচার বিভাগ, উচ্চপদস্থ প্রচার অফিসার, ট্রাম্প প্রতিষ্ঠানের অফিসার এবং প্রেসিডেন্টের ছেলেদের কাছে। দুর্নীতি, বিচারকাজে বাধাদান এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ডেমোক্রেটদের দাবি, ট্রাম্পের প্রথম দুই বছরের মেয়াদে প্রশাসনিক কাজ সেভাবে খতিয়ে দেখাই হয়নি।
মেরিল্যান্ডের ডেমোক্রেট প্রতিনিধি জেমি রাসকিন বলেছেন, ঘুষ নেয়া, দেশদ্রোহ বা এই ধরনের বড় ধরনের অভিযোগ উঠলে সংবিধান অনুযায়ী, ইমপেচমেন্ট-এর দাবি ওঠে। তাই সংবিধান মেনে দেশের মানুষ সেই দাবি তুললে ইমপিচমেন্ট হতেই পারে। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আবার ইমপিচমেন্ট দেশকে একজোটও করেছে। রিচার্ড নিক্সনের বেলায় যেমনটা হয়েছিল।
আরও পড়ুন
এ
মন্তব্য করুন