নিউজিল্যান্ডে স্ত্রীর হত্যাকারীকে ক্ষমা করলেন বাংলাদেশি ফরিদ
ক্রাইস্টচার্চে হামলায় জীবিত ফেরত আসেন বাংলাদেশি নাগরিক ফরিদ আহমেদ। কিন্তু তার স্ত্রী হামলায় মারা যান। এরপরও হামলাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ফরিদ। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
ফরিদ বলেন, আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আমার স্ত্রীকে যে হত্যা করেছে তার প্রতি আমার অনুভূতি কী? জবাবে আমি বলেছি, সেই হত্যাকারীকে আমি ভালোবাসি কারণ সেও মানুষ। সে আমারই ভাই।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকারী যা করেছে তা আমি সমর্থন করছি না। সে ভুল করেছে। কিন্তু সে হয়তো কোনও কারণে বিষণ্ণ ছিল। হয়তো তার জীবনে এমন কিছু ঘটেছে যা তাকে এই কাজ করতে বাধ্য করেছে। কিন্তু দিনশেষে সে আমারই ভাই।
ফরিদের ভাষায়, “আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং আমি নিশ্চিত আমার স্ত্রী যদি বেঁচে থাকতো তাহলে সেও একই কাজ করতো।”
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফরিদ জানিয়েছেন কীভাবে তিনি এবং অন্যরা সেখান থেকে বের হয়ে এসেছেন। একইসঙ্গে তার স্ত্রীর মৃত্যুর কাহিনীও বর্ণনা করেছেন তিনি।
---------------------------------------------
আরও পড়ুন : ইন্দোনেশিয়ায় ব্রেক-আপ নিয়ে বিজ্ঞাপন
---------------------------------------------
ফরিদ আহমেদ জানান, তার স্ত্রী হোসনা আহমেদ অনেক মানুষকে বাঁচাতে সহায়তা করেছেন। হামলার সময় সেখানে থাকা মানুষদের উদ্দেশে চিৎকার করে তিনি বলেন, আপনার সন্তানদের ধরুন, এই পথে বের হয়ে আসুন।
অন্যদের নিরাপদ রাস্তা দেখানোর পর তিনি ছুটে যান হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী তার স্বামীকে বাঁচাতে। হোসনা জানতেন তার স্বামী সহজে বের হয়ে আসতে পারবে না। এ কারণে স্বামীর বের হওয়ার রাস্তা দেখাতে দ্রুত সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন হোসনা।
এরপর ফরিদ কারও সাহায্য ছাড়াই সেখান থেকে নিরাপদে বের হয়ে আসতে পারলেও তার স্ত্রী আর সেটা পারেনি। এর মাধ্যমেই প্রায় ২৫ বছরের একসঙ্গে থাকার সমাপ্তি ঘটলো তাদের।
আরও পড়ুন :
ডি/এমকে
মন্তব্য করুন