আইএস ‘খেলাফাতের’ চূড়ান্ত পতনের ঘোষণা
মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ বলছে, সিরিয়ার বাঘুসের পতনের মধ্য দিয়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-র পাঁচ বছরের ‘খিলাফতের’ অবসান হয়েছে। এটি ছিল আইএসের শেষ ঘাঁটি।
আইএস একসময় প্রায় ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতো যেখানে বাস করতো প্রায় ৮০ লাখ মানুষ। খনিজ তেল ছাড়াও চাঁদা, ডাকাতি আর অপহরণ থেকে অর্থ আয় করতো তারা। খবর বিবিসি বাংলার।
তবে অবস্থান হারালেও আইএসের স্থায়ী নিঃশেষ হওয়ার নিশ্চয়তা কতোটা সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেছে। তাই আপাতত হারলেও তাদের পুনর্গঠিত হওয়ার সুযোগ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যেও।
হোয়াইট হাউজ আগেই জানিয়েছে যে তারা ৪০০ শান্তিরক্ষী সিরিয়ায় রাখবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
----------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : চীনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধের মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের
----------------------------------------------------------------
ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘ মহাসচিবের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরাকে গোপনভাবে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে জিহাদিরা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংগঠিত হচ্ছে আইএস জঙ্গিরা। মরুভূমি ও পার্বত্য এলাকাগুলোতে তারা কাজ করে যেখানে যাতায়াত ও হামলার পরিকল্পনা তাদের জন্য সহজ।
আইএস নেটওয়ার্ক সিরিয়াতেও ইরাকের মতো করেই দেখা দিতে পারে। ইউফ্রেতিস উপত্যকায় ইদলিব প্রদেশের উত্তর পশ্চিমে তাদের কিছুটা উপস্থিতি আছে। এমনকি রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে ও দক্ষিণ পূর্ব সিরিয়াতেও।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ধারণা জঙ্গিদের হাতে এখনও ভারী অস্ত্র আছে এবং তারা দেশজুড়ে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে সক্ষম। এমনকি জঙ্গিদের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব আছে তাদের নেতাদের। তাদের মূল নেতা আবু বকর আল বাগদাদীর অবস্থান এখনও অজানা।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিবের দেয়া তথ্য মতে, বড় ধরনের পরাজয় হলেও এখনও ১৪ থেকে ১৮ হাজার জঙ্গি ইরাক ও সিরিয়ায় রয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি আছে তিন হাজারের মতো।
যদিও মার্কিন হিসাবে এ সংখ্যা ১৫ থেকে ২১ হাজার। যাদের অনেকেই কাজ করে স্লিপার সেল হিসেবে।
অন্যদিকে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ প্রায় এক হাজার বিদেশি যোদ্ধা আটক করেছে। আরও এক হাজার ইরাকে আটক আছে বলে জানা গেছে।
এ
মন্তব্য করুন