মসজিদে হামলকারীর সঙ্গে অস্ট্রিয়ার উগ্রপন্থিদের আর্থিক সম্পর্ক ছিল
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে হামলাকারী ব্রেনটন ট্যারেন্টের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার উগ্রপন্থি ও শ্বেতাঙ্গবাদী আইডেন্টিটারিয়ান মুভমেন্টের আর্থিক সম্পর্ক ছিল।
বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে অস্ট্রিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, দেশটির চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ এই গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও বলা হয়, ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ট্যারেন্ট এবং অস্ট্রিয়ায় আইডেন্টিটারিয়ান মুভমেন্টের প্রধান মার্টিন সেলনারের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় দেড় হাজার ইউরো দান করেন বলে জানিয়েছে দেশটির গ্রাজ শহরের আইনজীবীদের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র।
এই মুখপাত্র বলেন, সোমবার করফাঁকির অভিযোগে সেলনারের ভিয়েনার বাসায় অনুসন্ধান চালায় পুলিশ। এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেয়া হয়।
একটি ইউটিউব ভিডিওতে সেলনার ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারীর কাছ থেকে অর্থ পাওয়া এবং তার বাড়ি বাসায় পুলিশের অভিযানের কথা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমি কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য না। আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কিছু করিনি, শুধু তার থেকে অনুদান নিয়েছে।
এদিকে বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর মসজিদে হামলাকারী ব্রেনটনের সঙ্গে সেলনারের কোনও সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে মৌলবাদী ইসলাম বা উগ্রপন্থি গোঁড়ামির মতো বিপজ্জনক আদর্শগুলো কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে আল নূর এবং লিনউড মসজিদে পরপর হামলা করে ৫০ জনকে নিহত এবং ৫০ জনকে আহত করেন ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেনটন ট্যারেন্ট।
হামলার ৩৬ মিনিট পর তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় স্থানীয় পুলিশ। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এটাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেন।
পরে তিনি দেশটির সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনে বলেন, মসজিদে হামলাকারীকে সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে। তিনি অনেক কিছু ভাবতে পারেন কিন্তু কুখ্যাতি ছাড়া কিছুই পাননি। আমি কখনোই তার নাম মুখে নেবো না।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন