কাশ্মীরের হাসপাতালের রোগীরা এখনও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন
ভারতের কেন্দ্রশাসিত কাশ্মীরের বেশকিছু অঞ্চলে ল্যান্ডলাইন ফোন সার্ভিস আবার চালু হয়েছে। ১২ দিন পর শনিবার ৫০ হাজার টেলিফোন সার্ভিস চালু হয়েছে।
জম্মুতে আগেই মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়। এদিন অনেক জায়গার ইন্টারনেট চালু হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালের রোগীরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন আছে।
এমনকি সন্তান জন্মানোর খুশির খবরও বাড়িতে পাঠাতে পারছে না বলে যুক্তরাজ্যের সংবাদ গণমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে অনেক মানুষ।
সোপিয়ান জেলা থেকে শ্রীনগরের লাল ডেড হাসপাতালে সন্তান প্রসবের জন্য বোনকে নিয়ে আসা বিলাল আহমেদ জানান, তিনি তিনদিন ধরে হাসপাতালে আছেন।
তিনি জানান, নিজের গাড়িতে করেই বোনকে নিয়ে এসেছিলেন। বহু জায়গায় নিরাপত্তারক্ষীদের নথিপত্র দেখাতে হয়েছে। কিন্তু এখন তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, নিহত ৬৩
---------------------------------------------------------------------
তিনি আরও জানান, বোনের একটা মেয়ে হয়েছে। এই খবর বাড়িতে পাঠানোর কোনও উপায় নেই। ছোট শিশুটাকে পরিবারের কেউ দেখতে আসতেও পারেনি।
এই হাসপাতালেই বোনকে নিয়ে আসা সোপিয়ান জেলার আরেক বাসিন্দা রশিদ হুসেইন জানান, তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। কিন্তু এখন বাড়ি নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই।
তিনি জানান, কোনও অ্যাম্বুলেন্স নেই। গাড়িও ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। টিভিতে দেখানো হচ্ছে এখানে সবকিছু স্বাভাবিক। কিন্তু কোথায় কী! জীবন তো পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে আছে।
আটদিন আগে হাসপাতালটিতে চাচির চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসা শাহিল আহমেদ জানান, চাচি এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন কিন্তু বাড়ির কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।
তিনি জানান, কেউ হাসপাতালে চাচিকে দেখতে আসতে পারেনি। এখান থেকেও বাড়ি যাওয়া সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তাবাহিনী তো দুজনের বেশি একসঙ্গে যেতেই দিচ্ছে না।
এদিকে প্রশাসনের প্রধান সচিব রোহিত কনসাল জানান, শনিবার সকাল থেকে কাশ্মীর উপত্যকার মোট ৩৫টি থানা এলাকা থেকে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।
কে
মন্তব্য করুন