ব্রিটেনের নির্বাচনে চার বাংলাদেশি নারীর জয়
ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী লেবার পার্টি ধরাশায়ী হলেও সে দল থেকে অংশ নেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চারজন প্রার্থীই জয়লাভ করেছে। আর জয়ী এই চারজনই নারী।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর লেবার পার্টি কোনও নির্বাচনে এতটা খারাপ ফলাফল করেনি। এর মধ্যেও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই প্রার্থীরা শুধু জয়লাভই করেননি, প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের তারা বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন। খবর বিবিসির বাংলার।
যে চারটি আসনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা লড়েছেন, সেখানে তাদের নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বীরা তাদের অর্ধেক ভোটও পাননি বলে দেখা যাচ্ছে।
টিউলিপ সিদ্দিক
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন এলাকা থেকে জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি ২৮,০৮০ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির জনি লাক পেয়েছেন ১৩৮৯২ ভোট।
টিউলিপ সিদ্দিক জয়লাভ করলেও গতবারের চেয়ে তিনি ১০ শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন। অন্যদিকে তার প্রতিন্দ্বন্দ্বী কনসারভেটিভ প্রার্থীও গতবারের চেয়ে আট শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার বড় মেয়ে তিনি। এ নিয়ে তিনি টানা তিনবার নির্বাচনে জয়লাভ করলেন।
রুশনারা আলী
বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে জয়লাভ করেছেন রুশনারা আলী। তিনি পেয়েছেন ৪৪,০৫২ ভোট। অন্যদিকে তার প্রতিন্দ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী নিকোলাস স্টোভোল্ড পেয়েছেন ৬৫২৮ ভোট।
প্রদত্ত ভোটের প্রায় ৭৩ শতাংশ পেয়েছেন রুশনারা আলী। তিনি ২০১০ সাল থেকে ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি।
আপসানা বেগম
আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আপসানা বেগম লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন পপলার অ্যান্ড লাইমহাউজ আসন থেকে। তিনি পেয়েছেন ৩৮,৬৬০ ভোট এবং কনজারভেটিভ প্রার্থী পেয়েছেন ৯৭৫৬ ভোট। যদিও উভয় প্রার্থীর ভোট গতবারের চেয়ে চার শতাংশ কমেছে।
রুপা হক
লন্ডনের আরেকটি আসন ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন থেকে জয়লাভ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুপা হক। তার প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে ২৮,১৩২ আর কনজারভেটিভ প্রার্থী জুলিয়ান গ্যালান্ট ১৪,৮৩২ ভোট পেয়েছেন।
এক্ষেত্রে উভয় প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট গতবারের কমেছে। রুপা হকের ভোট কমেছে ৮.৪ শতাংশ এবং কনসারভেটিভ প্রার্থীর ভোট কমেছে ৭.৭ শতাংশ। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন রূপা হক।
এ
মন্তব্য করুন