আমিরাতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ফ্লাইট স্থগিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) রুটে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল ইনকামিং ও আউটগোয়িং ফ্লাইট স্থগিত করেছে। তবে পরবর্তীতে নির্ধারিত বুকিং ফ্রিতে পুনরায় কনফার্ম করা যাবে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ রুটেই ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে বিমান।
এক ঘোষণার মধ্যে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে বিদেশে অবস্থানরত ইউএইর রেসিডেন্সি ভিসাধারীদের আমিরাতে প্রবেশ স্থগিত করেছে। পরবর্তী দুই সপ্তাহের জন্য এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে ওই ঘোষণায়।
ইউএইতে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত করোনাভাইসে আক্রান্ত হয়েছে ১১৩ জন। তাদের মধ্যে ৮৭ জন চিকিৎসাধীন আছে। আর বাকি ২৬ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এ
মন্তব্য করুন
চলতি বছর কার হাতে উঠছে শান্তিতে নোবেল?
শুরু হয়েছে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা। কয়েক বছর ধরে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ, এক বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধ এবং সুদানে সংঘাতে লাখ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুতির ঘটনার মাঝে চলতি বছর কার হাতে উঠবে নোবেল শান্তি পুরস্কার, সেদিকে দৃষ্টি সবার।
আর কয়েকদিনের ভেতরেই ঘোষণা করা হবে ২০২৪ সালের শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম। বিশ্বের সবচেয়ে নন্দিত এই পুরস্কার কে পাচ্ছেন সেদিকে সারা বিশ্বের মানুষের নজর থাকে। সবচেয়ে বেশি আগ্রহের বিষয় শান্তিতে নোবেল। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির তালিকায় এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, চলতি বছরের তালিকায় সম্ভাব্য নামের মধ্যে সংস্থা হিসেবে রয়েছে ইউনাইটেড ন্যাশনস প্যালেস্টিনিয়ান রিফ্যুজি এজেন্সি। আছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের নামও। আর ব্যক্তি হিসেবে যার নামটি বেশি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
সংশ্লিষ্টদের বরাতে রয়টার্স অবশ্য একটি ভিন্ন কথাও বলছে। চলতি বছর নাকি বিস্ময়করভাবে শান্তিতে নোবেলজয়ী হিসেবে কাররও নাম না-ও ঘোষণা হতে পারে। এদিকে রাশিয়ার আলেক্সি নাভালনির নাম উচ্চারিত হচ্ছে কারও কারও মুখে। কিন্তু সেটি সম্ভব নয় কারণ কাউকে মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার রেওয়াজ নেই নোবেল কমিটির।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কিকে নিয়ে আলোচনা থাকলেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। তৃতীয় বছরে পড়া ইউক্রেনের যুদ্ধ কিংবা সুদানে এক কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে নোবেল কমিটি এ বছর এমন কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে পারে যিনি বা যেই সংগঠন বিশ্বে মানবিক সংকট কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এসব বিবেচনায় ইউনাইটেড ন্যাশনস প্যালেস্টিনিয়ান রিফ্যুজি এজেন্সি হতে পারে চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দাবিদার। গাজা যুদ্ধে সৃষ্ট মানবিক সংকট কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সংস্থাটি, এমনটাই মনে করেন অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হেনরিক উরডাল।
নোবেল কমিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৈরি হওয়া বিশ্ব্যব্যবস্থায় ওই সময়ে সৃষ্ট আন্তর্জাতিক সংগঠন জাতিসংঘকে বিবেচনা করতে পারে। সেক্ষেত্রে জাতিসংঘের মহাসচিব বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হতে পারেন চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল জয়ী। সেইসাথে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসও যৌথভাবে এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে বলে মনে করেন শান্তি নোবেল বিষয়ের ইতিহাস বিশারদ আসলে স্ভিন।
রয়টার্সকে এই ইতিহাসবিদ বলেন, গুতেরেস হলেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ প্রতীক। এবং ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের মূল দায়িত্ব হলো, বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করা। এরিমধ্যে রাশিয়ায় হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস। তাছাড়া গাজায় যেন কোনোভাবেই জেনোসাইডের মতো ঘটনা না ঘটে সে বিষয়েও ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে।
বলা হচ্ছে, নোবেল কমিটি এমন সিদ্ধান্তও নিতে পারে যে, চলতি বছর কেউই এই পুরস্কার পাবে না। নোবেল কমিটি যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেটি হবে পাঁচ দশক পর এমন কোনো ঘটনা।
সর্বশেষ ১৯৭২ সালে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নোবেল কমিটি৷ স্টেকহোমে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান ড্যান স্মিথ বলেন, চলতি বছর নোবেল পিস প্রাইজ কমিটি শান্তিতে পুরস্কার দেওয়া বন্ধ রাখতে পারে। বরং তারা বলতে পারে যে, এটি (পৃথিবী) একটি যুদ্ধে লিপ্ত গ্রহ।
উল্লেখ্য, চলতি বছর শান্তি পুরস্কারের জন্য ২৮৬ জন ব্যক্তি ও সংস্থার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জেলে বন্দি ইরানের নারী অধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মাদি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
আরটিভি/এএইচ
প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’, আঘাত হানবে যখন
মেক্সিকো উপকূলে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়টি এখন ক্যাটাগরি ৫ এ পৌঁছানোর কাছাকাছি রয়েছে।
সোমবার (৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে আবহাওয়াবিদদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার উপসাগরীয় উপকূলে বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরই মধ্যে ফ্লোরিডার মানুষকে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
আমেরিকার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’ ঘন্টায় ১৫৫ মাইল বেগে অগ্রসর হচ্ছে। আর ২ মাইল অতিক্রম করলে এটি হারিকেন ক্যাটাগরি ৫এ পৌঁছাবে। চলতি বছরে ‘বেরিল’ এর পর এটি হবে দ্বিতীয় হারিকেনের আঘাত।
ফ্লোরিডার গভর্নর আসে রন ডিসান্টিস টাম্পা উপকূলে হারিকেন মিল্টনের আঘাত হানার আগে উপসাগরীয় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আঘাত হানা মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক হারিকেন হেলেনের তাণ্ডব এবং ক্ষয়ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য ফ্লোরিডা। হারিকেন হেলেনের বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। এরই মধ্যে আরেক হারিকেন মিল্টন এগিয়ে আসছে রাজ্যটির দিকে।
আরটিভি/এসএপি
১০০ বছরের সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হতে পারে ‘মিল্টন’
গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’। এটি স্থানীয় সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে পারে।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ‘মিল্টন’ অঙ্গরাজ্যটির টম্পা থেকে ৫২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এরই মধ্যে এটি ক্যাটাগরি ৫ মাত্রায় ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে। মানুষ যেন এটির শক্তি বুঝতে পারে এ জন্য বিভিন্ন সতর্কতা দেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মিল্টনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে ফ্লোরিডার মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। সর্বশেষ এটি ক্যাটাগরি ৫ এ পৌঁছেছে। ঝড়টি মেক্সিকো উপসাগর হয়ে ফ্লোরিডায় আঘাত হানবে। যদি ঝড়টির গতিপথ একই রকম থাকে, এটি হবে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী। মিল্টন এখনো ফ্লোরিডা উপকূলের জন্য বিপর্যয়কর ঝুঁকি হিসেবে অবস্থান করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মানুষকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘মিল্টন গত ১০০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ফ্লোরিডাবাসীদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এটি এখন জীবন-মৃত্যুর বিষয়।’
এদিকে ফ্লোরিডার টম্পার মেয়র জেন ক্যাস্টর পশ্চিম উপকূলের সব মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে রাস্তায় ব্যাপক যানজট দেখা দেয়।
এরপরও যারা যাচ্ছেন না তাদেরকে মেয়র জেন ক্যাস্টর বলেছেন, ‘আপনারা যদি নির্দেশনা অনুযায়ী সরে না যান, তাহলে আপনারা নিশ্চিতভাবে মারা যাবেন। মানুষকে সরে যেতে হবে। সত্যি বলতে, আমি আমার জীবনে এমন কিছু আগে কখনো দেখিনি।’
আরটিভি/এসএপি
ভারতে বসে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
ভারতের সাথে প্রায়ই বাংলাদেশ ইস্যু আলোচনায় থাকে বলে জানিয়েছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোন আলোচনা হয়েছে কিনা?
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমি আপনাকে বলতে পারি, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক চলাকালে আঞ্চলিক ইস্যুতে কথা বলার সময় প্রায়শই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে আসে। এর বাইরে এই ইস্যুতে সুনির্দিষ্টভাবে বলার মতো কিছু আমার কাছে নেই।’
বাংলাদেশের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিতে চাচ্ছে সে বিষয়ে মিলারের কাছে জানতে চান ওই সাংবাদিক।
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীর মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে রেখে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং এই সমস্ত বিষয়ে অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য আমরা উন্মুখ।’
আরটিভি/এসএপি-টি
কে হবেন রতন টাটার ৩৮০০ কোটির সাম্রাজ্যের উত্তরসূরি?
ভারতের শিল্পপতি রতন টাটা মারা গেছেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে ৮৬ বছর বয়সে ৩৮০০ কোটির সম্পত্তি রেখে মারা গেছেন তিনি। তার উত্তরসূরি কে হবেন প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
ভারতের ধনকুবের রতন টাটা মুম্বাইতে জন্ম নেন ১৯৩৭ সালে। বুধবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘ জীবনকালে শিল্পপতি হিসেবে একের পর এক নজির গড়েছেন। তার ঝুলিতে রয়েছে ‘পদ্মভূষণ’ এবং ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মাননা। তথ্য বলছে, তিনি রেখে গেছেন ৩৮০০ কোটি রুপির সম্পত্তি।
বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টাটা ট্রাস্টের প্রাথমিক জনহিতকর অঙ্গসংস্থান স্যার দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট এবং স্যার রতন টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটার নিয়োগকে সমর্থন করেছিলেন রতন টাটা। এ ট্রাস্টগুলো টাটা পরিবারের দাতব্য কাজে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। টাটা পরিবারের তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে গ্রুপের পাঁচটি প্রধান জনহিতকর সংস্থায় বোর্ডের পদে রয়েছে।
লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটা হলেন রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার সন্তান। নোয়েল টাটা হলেন রতনের বাবা নেভাল টাটা এবং সৎ মা সিমোনের সন্তান।
মায়া টাটা
৩৪ বছর বয়সি মায়া টাটা গ্রুপে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছেন। বেইজ বিজনেস স্কুল এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মায়া টাটা অপরচুনিটিজ ফান্ড এবং টাটা ডিজিটালের প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। টাটা নিউ অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন মায়া।
নেভিল টাটা
মায়া টাটা ছাড়াও আরও একজনের নাম শোনা যাচ্ছে। ৩২ বছর বয়সি নেভিল টাটা পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। টয়োটা কির্লোস্কর গ্রুপ পরিবারের মানসী কির্লোস্করের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নেভিল। ট্রেন্ট লিমিটেডের অধীনে শীর্ষস্থানীয় হাইপারমার্কেট চেইন স্টার বাজারের প্রধান তিনি।
লিয়া টাটা
বয়সের দিক থেকে ৩৯ বছরের লিয়া টাটা সবার থেকে বড়। তিনি টাটা গ্রুপের হাসপিটালিটি সেক্টরে কাজ করেন। স্পেনের আইইতে পড়াশোনা করা লিয়া তাজ হোটেল রিসোর্টগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বর্তমানে ইন্ডিয়ান হোটেল কোম্পানির কার্যকলাপ তিনি পরিচালনা করেন।
রতন টাটার চলে যাওয়া এক যুগের অবসান ঘটিয়েছে, কিন্তু এখন সকলের নজর তার উত্তরাধিকারীর দিকে। টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ কে পরিচালনা করবেন—নোয়েল, নেভিল, লিয়া, না মায়া? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চলছে জল্পনা, এবং খুব শিগগিরই আমরা জানতে পারব এই ঐতিহাসিক সাম্রাজ্যের পরবর্তী কর্ণধার কে হতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রতন টাটা। বাবা নভল টাটার জন্ম গুজরাটের সুরাটে। পরে টাটা পরিবার তাকে দত্তক নেয়। রতন টাটার মা সুনি টাটা আবার সরাসরি জামশেদজি টাটার পরিবারের অংশ। রতন টাটার পিতামহ হরমসজি টাটা জন্মসূত্রেই ওই পরিবারের সদস্য। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। রতন টাটার নিজের এক ভাইও রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎ ভাই নোয়েল টাটা। নভল টাটা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সিমোন টাটাকে। নোয়েল তাদেরই সন্তান।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলতেন না রতন টাটা। তবে বেশ কবছর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে খানিকটা মন খুলে কথা বলেছিলেন তিনি। রতন টাটা বলেছিলেন, প্রেম করলেও বিয়ে করার সাহস আর পাননি। কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে পিছু হটেছেন। প্রথম প্রেমিকা ছিলেন এক মার্কিন তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রে তখন কাজ করতেন তিনি। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও তার সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে পারেননি। দ্রুত ভারতে ফিরে আসার কারণে সে সম্পর্ক পূর্ণতা পায়নি।
২০১১ সালে একটি সাক্ষাৎকারে রতন টাটা বলেছিলেন, তার জীবনে চার বার বিয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা কারণে পিছিয়ে আসতে হয় তাকে। একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি রতন টাটা। তাই শেষদিন পর্যন্ত কুমার থেকে গেলেন। ছোটবেলা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে বলে অনেকের ধারণা।
আরটিভি/একে/এআর
মৃত্যুর আগে শেষ পোস্টে যা বলেছিলেন রতন টাটা
ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি ও টাটা সন্সের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস রতন টাটা মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বুধবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
এদিকে মৃত্যুর মাত্র দুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে সেটিই ছিল তার সর্বশেষ পোস্ট। ওই পোস্টে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
মূলত নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর অনুগামীদের জন্য ওই পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মৃত্যুকালে রতন টাটার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। এজন্য নিয়মিত চেকআপেও থাকতে হতো তাকে। জানা গিয়েছিল, হেলথ চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন রতন টাটা।
কিন্তু বুধবার বিকেলে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করে, রতন টাটা শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, হঠাৎ রক্তচাপ নেমে যাওয়ায় কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শেষে বুধবার রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে, গত সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ খবর ছড়ায় রতন টাটা হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু এর কিছু পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, সেটা ভুল খবর। তিনি ঠিক আছেন।
মাত্র দুই দিন আগে গত সোমবার ভারতীয় এই শিল্পপতি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তার অনুগামীদের জন্য বার্তা দিয়ে তার স্বাস্থ্যকে ঘিরে ছড়িয়ে থাকা গুজবগুলোকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আমার কথা চিন্তা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
রতন টাটা তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছিলেন, আমি আমার স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রচারিত সাম্প্রতিক গুজব সম্পর্কে অবগত এবং সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই দাবিগুলো ভিত্তিহীন। আমি বর্তমানে আমার বয়স এবং সম্পর্কিত চিকিৎসা অবস্থার কারণে মেডিকেল চেক-আপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি ভালো আছি...।
৮৬ বছর বয়সী ভারতীয় এই শিল্পপতি তার শেষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছিলেন, আমি জনসাধারণ এবং মিডিয়াকে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রতন টাটা। বাবা নভল টাটার জন্ম গুজরাটের সুরাটে। পরে টাটা পরিবার তাকে দত্তক নেয়। রতন টাটার মা সুনি টাটা আবার সরাসরি জামশেদজি টাটার পরিবারের অংশ। রতন টাটার পিতামহ হরমসজি টাটা জন্মসূত্রেই ওই পরিবারের সদস্য। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। রতন টাটার নিজের এক ভাইও রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎ ভাই নোয়েল টাটা। নভল টাটা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সিমোন টাটাকে। নোয়েল তাদেরই সন্তান।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলতেন না রতন টাটা। তবে বেশ কবছর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে খানিকটা মন খুলে কথা বলেছিলেন তিনি। রতন টাটা বলেছিলেন, প্রেম করলেও বিয়ে করার সাহস আর পাননি। কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে পিছু হটেছেন। প্রথম প্রেমিকা ছিলেন এক মার্কিন তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রে তখন কাজ করতেন তিনি। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও তার সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে পারেননি। দ্রুত ভারতে ফিরে আসার কারণে সে সম্পর্ক পূর্ণতা পায়নি।
২০১১ সালে একটি সাক্ষাৎকারে রতন টাটা বলেছিলেন, তার জীবনে চার বার বিয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা কারণে পিছিয়ে আসতে হয় তাকে। একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি রতন টাটা। তাই শেষদিন পর্যন্ত কুমার থেকে গেলেন। ছোটবেলা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে বলে অনেকের ধারণা।
আরটিভি/একে/এআর
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে এবার বড় পতন
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম একবারে ৪ শতাংশের বেশি কমেছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩ দশমিক ৩৩ ডলার বা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭০ দশমিক ৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩ দশমিক ২৮ ডলার বা ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৭৪ দশমিক ১৮ ডলার হয়েছে।
এর আগে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম অন্তত চার ডলার কমে তেলের দাম কমে সর্বনিম্ন হয়।
ইরানের তেল স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা না করার ঘোষণা এবং দুর্বল চাহিদার পূর্বাভাসের কারণে মঙ্গলবার তেলের দাম কমল।
আরটিভি/এসএপি