ভারতে মদ না পেয়ে হোমিও ওষুধ পানে ২ জনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে আরও দুই সপ্তাহ লকডাউনের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এবার ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গেল ২৪ মার্চ তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এমন পরিস্থিতিতে মদ না পেয়ে মাত্রাতিরিক্ত হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবন করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনলেন এক দল যুবক। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের। বাকি দুই জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদেনীপুরের কাঁথি এলাকায় ঘটেছে। মৃত দুই যুবকের নাম ভরত দাস (৩৩) ও পঙ্কজ দাস (৪১)। অন্যদিকে অসুস্থ দুই জনের নাম গৌতম দাস (৩৭) ও গঙ্গু দাস(৩০)।
মৃত এক যুবকের আত্মীয়র বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, তারা প্রত্যেকেই নিয়মিত মদ পান করতেন। অনেক দিন ধরে লকডাউন থাকায় কাঁথি এলাকার মদের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত মদ না পেয়ে হোমিওপ্যাথি ওষুধকেই বেছে নেন তারা।
মারিশদা থানার অন্তর্গত শিল্লিবাড়ি এলাকার ওই যুবকেরা হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকান থেকে নেশার জন্য ওষুধ কেনেন। আর সেই ওষুধ অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে হিতে বিপরীত হয়।
প্রাথমিকভাবে অনেকেই ভেবেছিলেন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা। তবে চিকিৎসকরা জানায়, হোমিওপ্যাথি ওষুধ এবং নেশার ট্যাবলেট মিশিয়ে খাওয়ার ফলেই বিষক্রিয়া হয়ে যায়। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবকেরা। কিছুক্ষণের মধ্যে দু’জনকে মৃত বলে করে চিকিৎসকরা।
পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘মদ না পেয়ে এভাবে আরও কেউ নেশা করার চেষ্টা করছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন