সমালোচনায় ফেসবুক নীতিমালা বদল করছেন জাকারবার্গ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানিমূলক পোস্ট ঘিরে আলোচনা চলছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। টুইটার থেকে এসব পোস্ট মুছে ফেলা হলেও ব্যবস্থা নেয়নি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
যা ভালো চোখে দেখেনি ফেসবুক কর্মরতরা। টুইটারে পোস্ট দিয়ে ঘটনাটির জন্য জাকারবার্গের সমালোচনাও করে তারা। অবশেষে নিজের অবস্থান থেকে সরে এলেন ফেসবুকের প্রধান এই কর্তা।
গেল ২৫ মে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে মৃত্যু হয় জর্জ ফ্লয়েড নামক এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির। এরপর উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটির রাজপথ। রাস্তায় নেমে আসেন হাজারো মানুষ।
প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘লুটপাট শুরু হলেই গুলি করাও শুরু হবে।’
এমন মন্তব্যের পর টুইটার এই পোস্টটিকে মুছে দেয়। পাশাপাশি তারা জানিয়ে দেয়, এমন শব্দের ব্যবহার উস্কানিমূলক, প্রতিহিংসা ছড়িয়ে দিতে পারে। যা সেবা দান বিধি লঙ্ঘন করেছে।
কিন্তু জাকারবার্গের এমন পোস্ট রাখার পক্ষে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি সরকার বলপ্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছে কিনা, তা জনগণের জানা উচিত।’
যদিও এতে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর পাশাপাশি একাধিক কর্মকর্তা এই নিয়ে তীব্র দ্বিমত প্রকাশ করেছেন।
এরপর শনিবার জুকারবার্গ বলেন, অনেকেই আমার কথায় কষ্ট পেয়েছেন। তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের প্ল্যাটফর্ম সমাজে ইতিবাচভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এদিকে ফেসবুতে কর্মরতদের প্রতিবাদ চিঠির জবাব দিয়েছেন তিনি। সেখানে ফেসবুক প্রধান বলেন, নীতিমালা পর্যালোচনা করতে যাচ্ছি। রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে যদি কোনও কিছু হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হয়, তা সংশোধনের প্রয়োজন হলে দরকার সেটা করব।
ওয়াই
মন্তব্য করুন