ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চৌধুরী মঈন উদ্দিনের মানহানির মামলা
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা করেছেন বাংলাদেশে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চৌধুরী মঈন উদ্দিন। তিনি ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নাগরিক।
আজ রোববার (১৯ জুলাই) ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয় প্রীতি প্যাটেল তার টুইটার থেকে মঈন উদ্দিনকে যুদ্ধাপরাধী বলে একটি টুইট করেছিলেন। এতে চৌধুরী মঈন উদ্দিনের মানহানি হয়েছে দাবি করে তিনি মামলা করেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চৌধুরী মঈন উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে আদালতে প্রমাণিত হয়। এবং তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড সাজা দেয়া হয়। তবে এসব অভিযোগ সব সময়ই অস্বীকার করে আসছেন তিনি।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে মঈন উদ্দিনের দাবি, গত বছর তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে একটি মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
মঈন উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটার একাউন্টে কমিশন ফর কাউন্টারিং এক্সট্রিমিজমের ডকুমেন্ট ‘চ্যালেঞ্জিং হেটফুল এক্সট্রিমিজম’ শেয়ার করা হয়েছে। ওই একাউন্টের ফলোয়ার প্রায় ১০ লাখ।
ওই টুইট বার্তা ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল, বিবিসির সাংবাদিক মিশাল হুসেইন, মানবাধিকার বিষয়ক ক্যাম্পেইনার পিটার ট্যাটচেলসহ অনেকেই রিটুইট করেছেন। ওই প্রতিবেদনে তাকে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়ে।
যুক্তরাজ্যে মুসলমানদের কাছে খুবই পরিচিত ‘মুসলিম কাউন্সিল অব গ্রেট ব্রিটেন’ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন চৌধুরী মঈন উদ্দিন। ২০০৩ সালে ইস্ট লন্ডন মসজিদের ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে যে ছবি তোলেন তা এখনও গণমাধ্যমে প্রচার পেয়ে থাকে।
চার সন্তানের জনক মঈন উদ্দিন নর্থ লন্ডনে বসবাস করেন। তিনি দাবি করেন, তিনি যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন। ১৯৭১ সালের সহিংসতায় জড়িতদের সঙ্গে তার কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। এমনকি জামায়াতে ইসলামীর ব্রিটিশ শাখার সঙ্গেও তার কোনও যোগসূত্র নেই বা তিনি কখনও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাও ছিলেন না।
২০১৩ সালের ১০ মার্চ চৌধুরী মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আদালত ফাঁসির রায় দেন।
এমকে
মন্তব্য করুন