• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভবনধসে নিহত ৬, নিখোঁজ ৪৮
কেনিয়ায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১৬৯
কেনিয়ায় অতিবৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত এক মাসে চলমান দুর্যোগে দেশটিতে মোট ১৬৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া এখনও অন্তত ৯১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।  স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ায় অতিবৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এ নিয়ে গত ১ মার্চ থেকে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৯ জনে। এছাড়া দেশটিতে এখনও ৯১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কেনিয়া সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মঙ্গলবারের অতিবৃষ্টিতে ভূমিধসের ঘটনায় বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ৪৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সারা দেশে ছয় শিশুসহ ৬৬ জনকে হারিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বন্যার কারণে কেনিয়ার ৩০ হাজার ২১৪টি পরিবারের ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রাজধানীর বাস্তুচ্যুতরা।’ এদিকে বন্যা মোকাবিলায় মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক আহ্বান করেছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো। দুর্যোগপূর্ণ এ পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে যে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের, বিশেষ করে মঙ্গলবার যারা ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের হাসপাতালের সব বিল বহন করবে রাষ্ট্র। এছাড়া বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোর আর্থিক বোঝাও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করছে কেনিয়া সরকার। এর আগে গত সোমবার কেনিয়ার নাকুরু কাউন্টিতে একটি বাঁধ ফেটে ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। রাজধানী নাইরোবি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার  উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নাকুরু কাউন্টির মাই মাহিউতে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবি, নিহত অন্তত ৫৮
সবার আগে যে দুই দেশে পালিত হলো ঈদ
কলেরার প্রাদুর্ভাবে দ্বীপ ছেড়ে যাত্রা, ফেরিডুবিতে নিহত বেড়ে শতাধিক
সৌদি ছাড়াও বুধবার যেসব দেশে ঈদ
এবার মরক্কোতে ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা
উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে আগামী ১০ এপ্রিল ঈদ উদযাপন করা হবে। সোমবার (৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে মরক্কোর ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্মবিষয়ক কমিটির সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন যে মরক্কোবাসী আগামী ৯ এপ্রিল রমজানের শেষ দিন পালন করবেন। এর ফলে পরের দিন ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। এ ছাড়া ৯ এপ্রিল শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা দেওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা জনগণকে জানাতে ধর্মীয় কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া। এদিকে অস্ট্রেলিয়ায়ও  আগামী ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। দেশটিতে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তবে স্থানীয় ও বৈশ্বিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে, আগামী ৯ এপ্রিল শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে। এর ফলে দেশটিতে ১০ এপ্রিল ঈদ উদযাপন করা হবে। সূত্র : মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু 
দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে গেছে যাত্রীবাহী একটি বাস। ৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে এতে। তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে একটি শিশু। খবর বিবিসির।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে। জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘটনাস্থলটি। দুর্ঘটনার শিকার সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।  জানা গেছে, বাসটি পথিমধ্যে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে অবস্থিত মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথের একটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ অবস্থায় সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। খাদে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনও ধরে যায় বাসটিতে।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন দেশটির পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা। একই সঙ্গে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে। এ সময় ইস্টার উইকএন্ড উপলক্ষে রাস্তায় মানুষের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বশীলভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
জাহাজ ছিনতাইয়ে শিশুদের কাজে লাগাচ্ছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্যতাসহ নানান কারণে জলদস্যুতার দিকে ঝুঁকছে দেশটির বাসিন্দারা। এমনকি কম বয়সী শিশু-কিশোররাও জলদস্যুতায় জড়িত হচ্ছে। ১৪ বছর আগে ‘এমভি জাহান মণি’ নামে একটি বাংলাদেশি জাহাজ সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেটিতে জিম্মি নাবিকদের যারা পাহারা দিতেন তাদের মধ্যে ১৬-১৮ বছর বয়সী সশস্ত্র কিশোররা ছিলেন। সবশেষ গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু সমেত সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এই জাহাজটি ছিনতাইয়ের সময় সোমালি জলদস্যুদের ব্যবহার করা আরেকটি ‘জাহাজ এমভি রুয়েন’ এর জলদস্যুদের মধ্যেও ছিল শিশু-কিশোররা। ভারতীয় নৌবাহিনীর ৪০ ঘণ্টার অভিযানে জাহাজটি থেকে ৩৫ জলদস্যুকে আটকের পর আদালতে তোলা হলে তাদের মধ্যে আটজন নিজেদের বয়স ১৮ বছরের কম বলে জানায়। এরপর আদালত তাদের পৃথক জুভিনাইল জাস্টিস বোর্ডে হাজির করানোর নির্দেশ দেয়। এতে করে সোমালিয়া উপকূলে ‘সমুদ্রপথের আতঙ্ক’ হিসেবে পরিচিত সশস্ত্র জলদস্যুদের দলগুলোতে শিশু-কিশোরদের থাকার বিষয়টি আবারও সামনে আসে।  দ্যা মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ ২০১৭ সালের মে মাসে ‘চিলড্রেন ইফেক্টেড বাই মেরিটাইম পাইরেসি: এ হ্যান্ডবুক ফর মেরিটাইম সিকিউরিটি সেক্টর এক্টরস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে ২০১৪ সালে সোমালিয়া উপকূলে গ্রেপ্তার হওয়া জলদস্যুদের মধ্যে ২০ শতাংশের বয়স ছিল ১৮ বছরের কম ছিল বলে তথ্য দেওয়া হয়। অন্যদিকে ২০১১ সালের ১৭ মার্চ টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদন বলা হয়, ওই সপ্তাহে আরব সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পর আটক ৬১ সোমালি জলদস্যুর মধ্যে ২৫ জনই ছিল শিশু, যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। এমনকি তাদের মধ্যে ৪ জনের বয়স মাত্র ১১ বছরের কিছু কমবেশি ছিল। সোমালিয়ার জলদস্যু দলে শিশু-কিশোরদের যুক্ত হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ উঠে এসেছে দ্যা জিওপলিটিক্স এবং দ্যা মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ এর প্রতিবেদনে।  এতে বলা হয়, জলদস্যুতার প্রবণতা বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণগুলো হল- সোমালিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা, উচ্চ মাত্রার দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও বারবার ঘটতে থাকা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যেখানে সোমালিয়ায় বছরে মাথাপিছু গড় আয় ৬০০ ডলারের মত। সেখানে জলদস্যুরা শুধু একটি জাহাজ ছিনতাই করে হাজার হাজার ডলার পেতে পারে।  ছোট নৌযান চালানো, ছোট জায়গা দিয়ে চলাচল করতে পারা এবং চটপটে স্বভাবের হওয়ায় জলদস্যু দলের প্রধানরা ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের এই কাজে প্রলুব্ধ করে। স্বাক্ষরতার হার কম হওয়ায় সহজে বেশি অর্থ উপার্জনের পথ হিসেবে শিশুরা এই কাজে আগ্রহী হয়।
ভূমধ্যসাগরে ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু
লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে রাবারের তৈরি নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে অন্তত ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এপি। প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার হওয়া নৌকাটি থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে তারা লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এসওএস মেডিটেরিয়ানি বলেছে, বুধবার ইতালির কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বিতভাবে ২৫ জনকে খুব দুর্বল অবস্থায় উদ্ধার করেছে গোষ্ঠীটি। দুই অচেতন ব্যক্তিকে হেলিকপ্টারে করে সিসিলিতে নেওয়া হয়। কিন্তু পরে তারা মৃত্যুবরণ করেন।  এসওএস মেডিটেরিয়ানি এক্স বার্তায় জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সাতদিন আগে লিবিয়া ছেড়েছিলেন। এর তিনদিন পর তাদের নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পানি ও খাবার ছাড়াই কয়েকদিন ভাসতে থাকেন তারা।  জীবিতরা জানিয়েছেন, এ যাত্রায় অন্তত ৬০ জন মারা গেছেন যার মধ্যে মহিলা এবং একটি শিশু রয়েছে। তারা সবাই ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায় মারা গেছেন। কেউ ডুবে মারা যাননি।   অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন বলেও জানান তারা। উদ্ধারকৃতরা সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে ১২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তারা সবাই সেনেগাল, মালি এবং গাম্বিয়ার অধিবাসী। এদিকে ইতালীয় কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) বলেছে যে তারা এই ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সামুদ্রিক টহল শক্তিশালী করতে এবং বিপর্যয় রোধ করতে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলেও এক্স বার্তায় জানায় সংস্থাটি।  অভিবাসনের জন্য বিশ্বের ভয়াবহতম প্রাণঘাতী রুটে পরিণত হয়েছে মধ্য ভূমধ্যসাগর। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর তথ্য অনুসারে, গত বছর এই রুটটি পাড়ি দিতে গিয়ে আড়াই হাজার অভিবাসীর মৃত্যু বা নিখোঁজ হয়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা ২২৬ জন।
যে দেশে রোজা না রাখলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ
ক্ষমার মহান বার্তা নিয়ে সমহিমায় হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। পবিত্র এই মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ রোজা পালন করেন। এমন অবস্থায় নাইজেরিয়ায় পবিত্র রমজান মাসে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেপ্তার করছে দেশটির ইসলামিক পুলিশ। ইতোমধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত আফ্রিকার এই দেশটির একটি প্রদেশে রোজার মাসে দিনের বেলা খাবার খেতে দেখার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়া ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও এখানকার ১২ প্রদেশে শরিয়া আইন চালু করা হয়। এই ১২ প্রদেশে মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকই সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এসব প্রদেশের মধ্যে একটি হলো কানো। আর এখানকার ইসলামিক পুলিশ ‘হিসবাহ’ নামে পরিচিত এবং প্রতি বছর রমজান মাসে তারা খাবারের দোকান এবং বাজারে তল্লাশি চালিয়ে থাকে। গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃত ১১ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং একজন নারী। গ্রেপ্তারের পর তারা আর ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা মিস করবে না বলে শপথ করার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। হিসবাহের মুখপাত্র লওয়াল ফাগে বিবিসিকে বলেছেন, আমরা মঙ্গলবার ১১ জনকে পেয়েছিলাম যার মধ্যে একজন নারীও ছিলেন, যিনি চিনাবাদাম বিক্রি করছিলেন এবং তাকে তার জিনিসপত্র থেকে খেতে দেখা গেছে এবং পরে কিছু লোক আমাদের এই বিষয়টি জানায়। তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে অমুসলিমরা এই অভিযানের আওতার বাইরে। লওয়াল ফাগে বলছেন, আমরা অমুসলিমদের গ্রেপ্তার করি না। কারণ এটি (রোজা) তাদের পালন করার বিষয় নয়। শুধু একটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেই আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করি। আর তা হচ্ছে, যাদের রোজা রাখার কথা, সেসব মুসলমানের কাছে বিক্রি করার জন্য যারা খাবার রান্না করে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের সম্পর্কে ইসলামিক পুলিশের এই মুখপাত্র বলেন, তারা এখন থেকে রোজা রাখা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুক্তি পেয়েছে এবং ‘তাদের মধ্যে কারও কারও পরিবার যেন তাদের পর্যবেক্ষণ করে, সে জন্য আমাদের তাদের আত্মীয় বা অভিভাবকদেরও ডাকতে হয়েছিল।
নাইজেরিয়ায় স্কুল চলাকালীন ২৮৭ শিক্ষার্থী অপহৃত
নাইজেরিয়ায় দুটি স্কুল থেকে ৩১২ জনকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। এর মধ্যে অপহরণকারীদের হাত থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে ২৫ জন। পালিয়ে আসাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও আছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুরিগায় এ ঘটনা ঘটে। স্কুল দুটিতে অ্যাসেম্বলি চলছিল ওই সময়। খবর বিবিসির।    প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুল প্রাঙ্গণে অ্যাসেম্বলি চলার সময় মোটরসাইকেলে করে সেখানে ঢুকে পড়ে কয়েকজন বন্দুকধারী। অপহৃত শিক্ষার্থীদের বয়স ৮ থেকে ১৫ বছর। কুরিগা শহরটি নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। এ রাজ্যের গভর্নর উবা সানি অপহরণের খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, একটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুল থেকে ১৮৭ জন ও প্রাথমিক স্কুল থেকে ১২৫ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষকও ছিলেন। পরে ওই শিক্ষকসহ ২৫ জন পালিয়ে আসেন। বাকি ২৮৭ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে আসা ওই শিক্ষক বলেন, স্থানীয় লোকজন অপহৃত শিশুদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন। তবে বন্দুকধারীদের সঙ্গে তারা পেরে ওঠেননি। এ সময় এক ব্যক্তি নিহতও হন। নাইজেরিয়ায় অপহরণকারী চক্রগুলো দস্যু বাহিনী হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কয়েকশো মানুষকে অপহরণ করেছে তারা। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অপহরণের ঘটনা বেশি ঘটেছে। এর আগে গত জানুয়ারিতে কুরিগাতে দস্যু বাহিনীর হামলায় একটি স্কুলের অধ্যক্ষ নিহত হন। সেইসঙ্গে তার স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়।
৫০ নারীকে একসঙ্গে অপহরণ করেছে আইএস!
নাইজেরিয়ার এক অঞ্চলে অন্তত ৪৭ জন মহিলাকে অপহরণ করা হয়েছে। অভিযোগের তীর জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের দিকে। প্রাথমিকভাবে ইসলামিক স্টেট ৫০ জন নারীকে অপহরণ করেছিল। ৩ নারী পালাতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের কাছ থেকেই বাকিদের এবং অপহরণকারীদের বিবরণ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই অঞ্চলে বোকো হারাম এবং ইসলামিক স্টেটের শক্ত ঘাঁটি আছে। কিন্তু নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বের এই অঞ্চল প্রযুক্তির দিক থেকে এতটাই পিছিয়ে যে, সেখান থেকে খবর আসতেও অনেকদিন সময় লেগেছে। ঘটনার কথা গতকল বুধবার জানাজানি হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকাটি মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন এবং চাদের সীমান্ত। সেখানে নারীরা জঙ্গলের কাঠ নিতে এসেছিল। সে সময়েই তাদের ঘিরে ধরে সন্ত্রাসীরা। তারা এমনভাবে গুলি চালাতে শুরু করে যে নারীরা বাধ্য হয় চাদের দিকে হাঁটতে। সে সময়েই ৩ জন কোনরকমে পালিয়ে বাঁচেন। তবে স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, ৫০ জনেরও বেশি নারীকে অপহরণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।