• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থাকলে মৃত্যু হতে পারে ইউরোপের : ম্যাক্রোঁ
কমলা রঙের মেঘে ঢেকে গেছে গ্রিসের আকাশ
গ্রিসের আকাশ ঢেকে গেছে কমলা রঙের মেঘে। সূর্য্যের দেখা মিলছে না। এ যেন রঙিন কুয়াশায় ঢাকা পুরো আকাশ। সবকিছু যেন কমলা রং ধারণ করেছে। হঠাৎ মনে হবে, এ যেন কম্পিউটার স্ক্রিনের আলোর রং পরিবর্তনের মতো। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স ও অন্যান্য শহরে এমন দেথা গেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পরিস্থিতি প্রকৃত মেঘের কারণে হয়নি। আকাশ ঢেকে রেখেছে সাহারা মরুভূমি থেকে উড়ে আসা ধূলিকণা।  ধূলিকণার মেঘে বিপর্যস্ত গ্রিস। এতে কমে গেছে মানুষের দৃষ্টিসীমা। ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা। ২০১৮ সালের পর ফের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। এর আগে এথেন্সে গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বাতাস বইছিল। পরে মঙ্গলবার থেকে আকাশে ধূলিকণার মেঘ ওড়ে আসে। দেশটির আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা এথেন্স অবজারভেটরির গবেষণা পরিচালক কোস্টাস লাগোয়ার্দোস বলেন, কমলা রঙের এই ধূলিকণার আস্তরণ বিশেষ করে ক্রিট দ্বীপে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। চলতি বছর আরও দু’বার ধূলিকণার মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। উত্তর আফ্রিকা থেকে এসেছে এই ধূলিকণা। যা ছড়িয়ে পড়েছে সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের দক্ষিণের কিছু অঞ্চলেও। গ্রিসের আবহাওয়া সেবা সংস্থা জানায়, বুধবার থেকে দেশের আকাশ পরিষ্কার শুরু হতে পারে। লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার কয়েকটি অঞ্চলে দাবানলের ঘটনা ঘটেছে গ্রিসে। ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশটিতে ২৫টি দাবানলের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সাহারা মরুভূমি থেকে ধূলিকণার মেঘ ভেসে আসার ঘটনা নতুন নয়। বালুঝড়ে ধুলোবালি ওড়ে আশপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। অপেক্ষাকৃত ছোট ও হালকা ধুলো বায়ুমণ্ডলে ‘ধুলো মেঘের’ সৃষ্টি করে। প্রবল বাতাসে যার বেশিরভাগ ভেসে আসে ইউরোপের দেশে ।
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে আটক রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী 
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিল ইইউ
ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইইউ
গর্ভপাত বৈধ করার সুপারিশ জার্মান কমিশনের
১০০ বছর পর খুলল মসজিদ, ঈদের নামাজ পড়লেন মুসলিমরা
অটোম্যান শাসনামলে তৈরি গ্রিসের থেসালিনিকির ঐতিহাসিক ইয়েনি যামি মসজিদ ১০০ বছর পর নামাজের জন্য খুলে দিয়েছে গ্রিস সরকার। আর মসজিদটি খুলেই ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসলিমরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে এপি নিউজ, দি ইকোনোমিকস টাইমস, ওয়াসিংটনপোস্ট, ইরান প্রেস। জানা গেছে, মুসলিমরা ১০০ বছর আগে গ্রিসে যুদ্ধে হেরে যাওয়ায় অনেক মসজিদ বন্ধ করে দেয় অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ঐতিহাসিক ইয়েনি যামি মসজিদ। দেশটিতে গত শতক থেকেই বহাল থাকলেও সম্প্রতি মত পাল্টায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। ফলে বুধবার (১০ এপ্রিল)  খুলে দেওয়া হয় মসজিদটি। পরে মুসলিমরা এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এদিন ৭০ হাজার মুসল্লি  নামাজে অংশ অংশ নিয়েছেন। এক শতাব্দি পূর্বে ইহুদি থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল ডনমেহ সম্প্রদায়ের মানুষ। আর তাদের জন্য অটোম্যান শাসকরা এ মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৯০২ সালে তৈরি মসজিদটির স্থাপত্যে দেখা মেলে ইসলামিক কারুকার্যের। ইতালিয়ান স্থপতি ভিতালিনো পোসেলির হাত ধরেই গড়ে ওঠে মসজিদটি। ১৯২৩ সালে গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যে দুই দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিনিময় হয়। ফলে ইয়েনি যামি মসজিদটিতে নামাজ আদায় বন্ধ হয়ে যায়। পরে এটি কখনো ব্যবহার হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র, কখনো জাদুঘর হিসাবে। আবারও মসজিদটি খুলে দেওয়ায় দেশটির মুসলিমরা ফিরে পেয়েছেন হারানো ঐতিহ্য। এ প্রসঙ্গে এআই গ্রিসো নামের এক গ্রিস নাগরিক বলেন, আমাদের দেশে ৯৮ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ২ শতাংশ মুসলিম বসবাস করেন। এবারের ঈদে প্রায় এক শতাব্দী আগের বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রাচীন মসজিদ খুলে দেওয়ায় প্রমাণ করে গ্রিসে মুসলিম আর সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এ সময় এক মুসল্লি বলেন, গ্রিস সরকার জানিয়েছিল, একশো বছর পর মসজিদটির দরজা খুলে দেওয়া হবে। তাই নামাজ পড়তে এসেছিলাম। প্রায় ৬৩ বছর যাবৎ এখানে আছি, এতদিন এটাকে জাদুঘর হিসেবে চিনলেও, জানতাম না এটা একটা মসজিদ।  প্রসঙ্গত, অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ইউরোপের দেশটিতে ২০২০ সাল পর্যন্তও মুসলিমদের জন্য কোনো মসজিদ ছিল না। ভোটানিকোসে প্রথম সরকারিভাবে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয় ২০২০ সালে। যেটি পুরোপুরি চালু রয়েছে। এ ছাড়া এথেন্সের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশিসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মুসলিম কমিউনিটিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য মসজিদ রয়েছে।
তেহরানে সাময়িকভাবে বিমান বন্ধ করল লুফৎহানসা
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জার্মান বিমানসংস্থা লুফৎহানসা তেহরানে সাময়িকভাবে বিমান না চালানোর সিদ্ধান্ত নিলো। বুধবার লুফৎহানসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান অবস্থার জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তেহরানে বিমান চালাবে না তারা। ইরানের একটি সংবাদসংস্থা এর মধ্যে জানায়, তেহরানের ওপর আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সামরিক মহড়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই খবর নিয়ে হইচই পড়ে যায়। পরে তারা ওই রিপোর্ট সরিয়ে নেয় এবং জানায়, তারা এ রকম কোনো খবর দিতে চায়নি। লুফৎহাসনা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে তেহরানে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা সিরিয়ায় ইরানের কনসুলেটের ওপর ইসরায়েল আক্রমণ চালিয়েছিল। তারপর ইরান প্রত্যাঘাত করতে পারে মনে করে অ্যামেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি অত্যন্ত সতর্ক। এই ধরনের আক্রমণ হলে তারা কী করবে, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে ও প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই বলেছেন, ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আক্রান্ত হলে ইসরায়েল উপযুক্ত জবাব দেবে।
ইসরায়েলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রি বন্ধ চায় নিকারাগুয়া
ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে এবং ইউএনআরডাব্লিউএ-র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে জার্মানিকে নির্দেশ দিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত আইসিজেকে অনুরোধ করেছে নিকারাগুয়া৷ নিকারাগুয়ার কূটনীতিক কার্লোস খোসে আর্গুয়েলিও গোমেজ বলেন, গাজায় গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে৷ ইসরায়েলকে সমর্থন করে জার্মানি জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করছে বলে ১ মার্চ আইসিজেতে অভিযোগ করেছিল নিকারাগুয়া৷ এরপর সোম ও মঙ্গলবার শুনানির দিন নির্ধারণ করে আইসিজে৷ এর অংশ হিসেবে সোমবার নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করেন নিকারাগুয়ার কূটনীতিক গোমেজ৷ মঙ্গলবার নিজেদের যুক্তি তুলে ধরবে জার্মানি৷ এর কয়েক সপ্তাহ পর আদালত রায় দিতে পারে৷ অবশ্য আইসিজে কাউকে তার রায় মানতে বাধ্য করতে পারে না৷ তবে সরকারের উপর রাজনৈতিক ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে চাপ তৈরি করতে পারে এই আদালতের রায়৷ এর আগে জানুয়ারিতে দেওয়া এক রায়ে আইসিজে বলেছিল, গাজায় হামলার সময় ইসরায়েল জেনোসাইড কনভেনশনে নিশ্চিত করা কিছু অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে সাউথ আফ্রিকা যে অভিযোগ এনেছে, তা বিশ্বাসযোগ্য৷ হলোকস্টের সময় ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার পর এমন ঘটনা যেন আর কোনো দেশে না ঘটে সেজন্য ১৯৪৮ সালে জেনোসাইড কনভেনশন তৈরি করেছিল জাতিসংঘ৷ সুইডেনের স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রির হিসেব বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করা দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে জার্মানি৷ ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর জার্মানি ইসরায়েলকে অতিরিক্ত অস্ত্র সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে৷ এদিকে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ৷ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের উপর নির্বিচারে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে৷ ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, গাজায় সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি৷
জার্মান সেনাবাহিনীতে মুসলিমদের জন্য ইমাম
জার্মান সেনাবাহিনীর মুসলিম সদস্যরা এতকাল খ্রিস্টান বা ইহুদিদের মতো ‘পাস্টোরাল কেয়ার’ বা প্রয়োজনে নিজ ধর্মের বিশ্বাসী ইমামদের সহায়তা নেয়ার সুযোগ পাননি৷ এক সময় অবিশ্বাস্য শোনালেও এখন সেই অবস্থায় পরিবর্তন আসছে৷ জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর সংসদীয় কমিশনার এফা হ্যোগল সেনাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন৷ মার্চের মাঝামাঝি সময়ে তিনি তার তৃতীয় বাৎসরিক প্রতিবেদনে মুসলমানদের জন্যও মিলিটারি চাপল্যান্সি বা ধর্মগুরুর সহায়তার দিকে গুরুত্ব দেন৷ অতীতে যে দলই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিল, তারাই এই বিষয়টিকে অসম্ভব মনে করেছিল৷ ফলে বছরের পর বছর জার্মান সামরিক বাহিনীতে মুসলিম ধর্মগুরুদের সেবা দিতে দেখা যায়নি৷ মধ্যবাম সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির হ্যোগল এই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে চান৷ তিনি মনে করেন যে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী সেনাদের জন্য এটা না থাকাটা খুবই অসন্তোষজনক ব্যাপার৷ তাই তিনি দ্রুত এক্ষেত্রে যোগ্যদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ হ্যোগল গতবছর দক্ষিণপূর্ব তুরস্কে ভূমিকম্পের পর জার্মান সেনাদের সেখানে উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হওয়ার কথা স্মরণ করেন৷ সেখানে মোতায়েন করা সেনাদের মধ্যে মুসলমান সেনারাও ছিলেন৷ তাসত্ত্বেও সেখানে দুই অমুসলিম সামরিক ধর্মগুরু পাস্টোরাল কেয়ার দিয়েছেন৷  এক প্রশ্নের জবাবে জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ২০২৩ সাল অবধি প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বেশ কয়েকবছর ধরেই মুসলিম সেনাদের জন্য আলাদা পাস্টোরাল কেয়ার চালুর বিষয়টি জার্মান সামরিক বাহিনীতে আলোচিত হয়েছে৷ ক্যাথলিক এবং ইহুদি সামরিক ধর্মগুরুরাও এই প্রয়োজনীয়তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং নরওয়ের সামরিক বাহিনীতে ইসলামী ধর্মগুরু রয়েছেন৷ তাদের অধিকাংশের সামরিক ইমামও রয়েছে৷ জার্মানিতে এক্ষেত্রে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় ঘাটতি আছে কারণ এদেশে এমন কোনো সংগঠন নেই যেটি সব ইসলামি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে৷ সেই তুলনায় ২০১৯ সালে জার্মানির সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব জিউস এর সহায়তায় জার্মান সামরিক বাহিনীতে ইহুদি সামরিক ধর্মীয় সেবা চালু করা হয়৷ কাউন্সিলটি সব ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে৷ আর জার্মান সামরিক বাহিনীতে ৫০০-র মতো ইহুদি সেনা রয়েছে বলে ধারনা করা হয়৷ জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেন যে মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে সামরিক বাহিনীতে মুসলমানদের জন্য পাস্টোরাল কেয়ার চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে৷
তুরস্কে নাইট ক্লাবে আগুন, ২৯ জনের মৃত্যু
তুরস্কের একটি নাইট ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। এই অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন মানুষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিনের বেলা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে ওই সময় নাইট ক্লাবটি খোলা ছিল না। সেখান সংস্কার কাজ চলছিল। ইস্তাম্বুলের গায়রেত্তেপেতে অবস্থিত নাইট ক্লাবটি একটি ১৬ তলা আবাসিক ভবনের বেজমেন্টে ছিল। ইস্তাম্বুলের গভর্নর দাভুত গুল জানিয়েছেন, দুপুরের পর ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটিতে নির্মাণ কাজ চলছিল। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন নাইট ক্লাবটির ম্যানেজার এবং সংস্কার ব্যবস্থাপক। ইস্তাম্বুলের নবনির্বাচিত মেয়র একরেম ইমামোগ্লু এক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক জানিয়ে বলেছেন, যারা পরিবার-পরিজনকে হারিয়েছেন তাদের ওপর আল্লাহ দয়া করুক। যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আমি। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে ইস্তাম্বুল ফায়ার বিভাগের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দমকলকর্মীরা একাধিক ফায়ার ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। এ ছাড়া ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ভবনটির পাশে দাঁড়িয়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স। ওই সময় অন্তত একজন ব্যক্তিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে নিয়ে আসতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে এই অগ্নিকাণ্ডে ১৫ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। পরবর্তীতে জানানো হয় ভয়াবহ এ অগ্নি দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কিনা এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। সূত্র: স্কাই নিউজ
ভেনিস কি শেষ পর্যন্ত তলিয়ে যাবে
ইটালির স্বপ্নময় শহর ভেনিস গোটা বিশ্বের পর্যটক আকর্ষণ করে আসছে৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শহরের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন৷ একাধিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ভেনিসের সুরক্ষার উদ্যোগ চলছে৷ ১,৬০০ বছর আগে থেকেই ভেনিস গোটা বিশ্বের বিস্ময়ের কারণ৷ বন্যা ও কোনো এক সময়ে সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার ভয়ও ততই পুরানো৷ পানি থেকে সুরক্ষার সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ৭৮টি ইস্পাতের প্রাচীর সৃষ্টি করা হয়েছে, যা প্রয়োজনে উপহ্রদটিকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখবে৷ সেই ব্যবস্থার পোশাকি নাম এমওএসই বা মোজে৷ ভেনিসের বন্যা সুরক্ষা কমিশনর এলিজাবেতা স্পিৎস বলেন, মোজে না থাকলে ২০২২ সালের ২২শে নভেম্বর ভেনিস অপূরণীয় ধ্বংসলীলার শিকার হতো৷ ইতিহাসে দ্বিতীয় উচ্চতম বন্যার স্তর সত্ত্বেও কিছুই ঘটেনি৷ আমরা উপহ্রদ ও ভেনিস বাঁচাতে পেরেছিলাম৷ এলিজাবেতা ৫০ বারেরও বেশি ফ্লাড গেট খাড়া করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ মোজে বার বার কাজে লাগানো হচ্ছে৷ এবার সেটি পুরোপুরি চালু হয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, আমরা এখন জানি, যে মোজে এমন এক নমনীয় হাতিয়ার, যা সব সময়ে এবং একই সঙ্গে বন্ধ করা হয় না৷ আজ আমরা বন্যা ও বাতাস সম্পর্কে আরো বেশি জানি৷ সে কারণে আমরা বন্যার মোকাবিলা করতে পারি৷ উপহ্রদ ও সমুদ্রের মধ্যে পানির আদানপ্রদান নিশ্চিত করতে মোজে প্রণালী আংশিকভাবেও খাড়া করা যায়৷ বিশ্ব জলবায়ু পরিষদের পূর্বাভাস অনুযায়ী শহরের পানির স্তর চলতি শতাব্দীর শেষে ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে৷ গেয়র্গ উমগিসার নামের এক সমুদ্রবিজ্ঞানীর মতে, মোজে প্রণালীর মাধ্যমে ভেনিস শুধু কিছুটা বাড়তি সময় পেয়েছে৷ ভেনিস রক্ষা করতে মোজে কি যথেষ্ট। এই মুহূর্তে বা আগামী দশ, বিশ বা তিরিশ বছর পর্যন্ত অবশ্যই সেটা কাজে লাগবে৷ পানির স্তর ৫০ সেন্টিমিটার বেড়ে গেলে সেই প্রণালীকে ৩০০ থেকে ৪০০ বার খাড়া করতে হবে৷ অর্থাৎ দিনে একবার তো বটেই৷ তখন সেই প্রণালীর সীমা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ কারণ মোজে সেটা পারবে না৷ কাঠামো হিসেবে তো নয়ই, উপহ্রদের পক্ষেও সেটা সম্ভব হবে না৷ উপহ্রদে পানির আদানপ্রদান জরুরি৷ সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্রে মার্কো সিগোভিনিও উপহ্রদের ইকোসিস্টেম নিয়ে গবেষণা করছেন৷ জীববিজ্ঞানী হিসেবে তিনি মনে করেন যে মোজে প্রণালী কত ঘনঘন খাড়া করা হচ্ছে, উপহ্রদের উপর সেই সংখ্যা কোনো বড় প্রভাব ফেলছে না৷ কিন্তু আগামী দশকগুলিতে উপহ্রদ আরো ঘনঘন এবং আরো বেশি সময়ের জন্য সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন রাখলে সেই পরিস্থিতি বদলে যাবে৷ মার্কো মনে করেন, এমনও হতে পারে, যে এই উপহ্রদ লবণাক্ত রাখার অর্থ আছে কি না, কোনো এক সময়ে আমাদের সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রাখার কারণে সমুদ্র ও উপহ্রদের মধ্যে আদানপ্রদানের ছন্দ ভেঙে যাবে, যে চক্র ভেনিসের জন্য অত্যন্ত জরুরি৷ কারণ এভাবে উপহ্রদের তলদেশ সৃষ্টি হয়৷ কোন প্রাণী ও উদ্ভিদ সেখানে থাকতে পারে, সেটাও এভাবে স্থির হয়৷ আমাদের কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ বলা বাহুল্য, ভেনিসের মানুষ দুটোই চাইবেন৷ সেন্ট মার্ক্স স্কোয়্যার ভেনিসের সর্বনিম্ন অংশ৷ সেখানেই সবার আগে বন্যার পানি আসে৷ বর্তমানে সেই অংশটিকে উঁচু করার উদ্যোগ চলছে৷ গেয়র্গ উমগিসার বলেন, ধরা যাক, জায়গাটিকে ১১০ সেন্টিমিটার উঁচু করা হলো৷ তখন সেন্ট মার্ক্স চত্বর আর পানির নীচে চলে যাবে না৷ কারণ ১১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বন্যা এড়ানো যাবে৷ উচ্চতা আরো বাড়লে মোজে তা সামলে নেবে৷ মোটকথা সেন্ট মার্ক্স চত্বরে আর কখনো বন্যা দেখা যাবে না৷ সেই সঙ্গে সাহসেরও প্রয়োজন৷ উমগিসার মনে করিয়ে দিলেন, যে গত দেড়শো বছরে ভেনিস ২০ সেন্টিমিটার নেমে গেছে৷ অতিরিক্ত পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণেই এমনটা ঘটেছে৷ তবে সেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তরই ভেনিসকে সর্বনাশের হাত থেকে বাঁচাতে পারে৷ যে পানি পাম্প করে বার করা হয়েছে, সেটা আবার পাম্পের মাধ্যমে জমিতে ফিরিয়ে দিলে ভেনিস সত্যি আবার ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে যেতে পারে৷ অর্থাৎ গত দেড়শো বছরে আমরা যে ৩০ সেন্টিমিটার হারিয়েছি, হুবহু সেই আগের অবস্থা মানে শূন্যে পৌঁছানো যাবে৷ তবে এই সমুদ্র গবেষকের মতে, ভেনিস অনন্তকাল টিকে থাকতে পারবে না৷ কোনো এক সময়ে উপহ্রদটিকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই হবে৷ তখন ভেনিসের মানুষকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ এর কারণ ব্যাখ্যা করে উমগিসার বলেন, দুটিই রক্ষা করা সম্ভব নয়৷ কোনো একটির প্রতি মনোযোগ দিতে হবে৷ উপহ্রদ নাকি শহর হিসেবে ভেনিস রক্ষা করা উচিত? অবশ্যই ভেনিস৷ ভেনিস একটাই আছে৷ কঠিন সিদ্ধান্ত বটে৷ ভেনিসের মানুষ যত দেরিতে সম্ভব সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশা করছেন৷
স্পেনে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইন স্পেনের উদ্যোগে স্পেনের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মাদ্রিদের স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সরোয়ার মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মসজিদের সভাপতি খোরশেদ আলম মজুমদার, দূতাবাসের কাউন্সিলর মুতাসিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন মনির। রাষ্ট্রদূত সরোয়ার মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, প্রবাসে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ যেমন স্পেন ও স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পর্কে জানতে পারছেন। তেমনিভাবে প্রবাসী বাংলাদেশি তথা বিদেশিরা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারছেন। সংবাদকর্মীদের সকল ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে দূতাবাস সবসময় তাদের পাশে থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত আশ্বস্ত করেন। ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।