• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ব্রাজিলে গিয়ে অসুস্থ প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট
চীনা অর্থায়নে দক্ষিণ আমেরিকায় সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহস্পতিবার পেরুর চাঙ্কাই বন্দরের উদ্বোধন করেছেন। এটি দক্ষিণ আমেরিকায় চীনের অর্থায়নে তৈরি প্রথম সমুদ্রবন্দর। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অংশ হিসেবে তৈরি এই বন্দরটি লাতিন আমেরিকা এবং এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একে একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক সিল্ক রোড হিসেবে অভিহিত করেছেন। পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্ত চীনের সঙ্গে এই সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এই প্রকল্প আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতিফলন। শি জিনপিং পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের সঙ্গে লিমাতে বলেন, এটি পেরুর জন্য উল্লেখযোগ্য আয় এবং বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। শি স্থানীয় এল পেরুয়ানো পত্রিকায় প্রকাশিত একটি মতামত নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন যে, এই প্রকল্পটি বছরে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আয় সৃষ্টি করবে এবং আট হাজারের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করবে। পেরু-চীন রুটের লজিস্টিক খরচ ২০ শতাংশ কমিয়ে দেবে।   বোলুয়ার্ত বন্দরের সুযোগকে স্বাগত জানিয়ে চীনের প্রশংসা করে বলেন, আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নে চীন একটি বড় ভূমিকা পালন করছে। ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি চীনের বৃহৎ শিপিং কোম্পানি কস্কো দ্বারা পরিচালিত। ২০২৫ সালের মধ্যে চাঙ্কাই বন্দর বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্টেইনার জাহাজগুলোর হ্যান্ডলিং ক্ষমতা অর্জন করবে। এটি ব্রাজিলসহ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সয়াবিন ও লোহার আকরিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য রপ্তানি সহজতর করবে। প্রথম জাহাজটি আগামী সপ্তাহে চাঙ্কাই বন্দর থেকে যাত্রা করবে, যা দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়ার বাণিজ্য রুটের খরচ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেবে। এদিকে প্রকল্পটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বাসিন্দারা পরিবেশগত ক্ষতি এবং ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার স্থান হারানোর অভিযোগ তুলেছেন। ৭৮ বছর বয়সি জেলে জুলিয়াস সিজার বলেন, আমাদের মাছ ধরার স্থানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি চীনাদের দোষ দিই না, বরং আমাদের সরকারই আমাদের সুরক্ষায় ব্যর্থ। এর আগে মার্কিন সেনা কমান্ডের সাবেক প্রধান জেনারেল লরা রিচার্ডসন সতর্ক করেছিলেন যে, চাঙ্কাই বন্দরটি চীনের নৌবাহিনীর গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ লাতিন আমেরিকা কূটনীতিক ব্রায়ান নিকোলস লিমায় সতর্ক করেছিলেন যে, চীনের বিনিয়োগ সম্পর্কে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সতর্ক থাকা উচিত। চাঙ্কাই বন্দর দক্ষিণ আমেরিকায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং পেরুর মতো দেশগুলোর জন্য প্রধান বাণিজ্য অংশীদার হয়ে ওঠার উদাহরণ। চীনের রাষ্ট্রীয় গ্লোবাল টাইমস একটি সম্পাদকীয়তে লিখেছে যে, এই বন্দর চীন ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে বাস্তব সহযোগিতার সেতু এবং এটি কোনোভাবেই ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার হাতিয়ার নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যবহারের অভিযোগকে তারা মিথ্যা প্রচারণা বলে আখ্যায়িত করেছে। আরটিভি/এএইচ
আদালতের নির্দেশ না মানায় বন্ধ হতে পারে এক্স
মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করল ভেনিজুয়েলার সুপ্রিম কোর্ট
ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৬২ আরোহীর সবাই 
মাদুরোর বিরোধীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাদুরোর জয় ঘোষণায় বিক্ষোভে উত্তাল ভেনেজুয়েলা
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর জয় ঘোষণায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে নাগরিকরা। নির্বাচনকে বিতর্কিত দাবি করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন দেশটির হাজারো মানুষ। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান সহকারে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দিকে রওনা হন বিক্ষোভকারীরা। প্রথমে ফ্যালকন রাজ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পূর্বসূরি হুগো শ্যাভেজের একটি মূর্তি বিক্ষোভকারীরা ভেঙে ফেলার পরপরই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভেনেজুয়েলা জুড়ে। খবর বিবিসির। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলায় বিতর্কিত নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো জয়ের দাবি করেছেন। এর প্রতিবাদে হাজার হাজার ভেনেজুয়েলিয়ান তার প্রাসাদের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘স্বৈরশাসকের পতন চাই।’ প্রসঙ্গত, টানা ১১ বছর ধরে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতায় দেশটির নিকোলাস মাদুরো। এ সময়ে দেশের অর্থনৈতিক সংকট ঘিরে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দেশটির রাজধানী কারাকাসের অন্যতম দরিদ্র অংশ পেটারে এলাকায় বিক্ষোভকারীরা মাদুরোর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। সেসময় কিছু মুখোশধারী যুবক বর্তমান প্রেসিডেন্টের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। অনেকে স্লোগান দিতে থাকেন, ‘পড়ে যাচ্ছে, পড়ে যাচ্ছে। এই সরকারের পতন হতে চলেছে।’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভেনেজুয়েলার রাজধানীজুড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা টিয়ার গ্যাস ছোড়েন। এমনকি, মাদুরোপন্থি আধাসামরিক গোষ্ঠীগুলোও বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে বলে জানা গেছে। গত সোমবার (২৯ জুলাই) ভেনেজুয়েলার জাতীয় নির্বাচন পরিষদ (সিএনই) আনুষ্ঠানিকভাবে মাদুরোর জয় নিশ্চিত করে। সিএনই ‍মূলত মাদুরোর অনুগতদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এবারের নির্বাচনে ৩০ হাজার ভোটকেন্দ্রের সবকটি থেকে ট্যালি প্রকাশ করা হয়নি। মূলত এর ফলেই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ও জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধীদের দাবি, তারা ভোট গণনার যে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তাতে দেখা গেছে যে অ্যাডমুন্ড গনজালেস মাদুরোকে পরাজিত করছেন। সোমবার সন্ধ্যায় একটি সংবাদ সম্মেলনে বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া করিনা মাচাদো দাবি করেছেন, তার জোট ৭০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছে। একটি অনলাইন ডাটাবেজে এ তথ্য তালিকাভুক্তও করা হয়েছে।    
নির্বাচনে জালিয়াতির প্রতিবাদে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ, মৃত ১১
ভেনেজুয়েলা-জুড়ে প্রতিবাদ চলছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে রাস্তায় নেমেছেন মানুষ। সংঘর্ষে মৃত ১১। মৃতদের মধ্যে দুইজন কিশোরও আছে। বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। সাতশ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিরোধী দল ভোলানটাড পপুলার জানিয়েছে, তাদের জাতীয় আহ্বায়ক ফ্রেডি সুপারলানোকে আটক করা হয়েছে। ভেনটে ভেনেজুয়েলার প্রবীণ নেতা রিকার্ডো এস্তেভেজকেও আটক করা হয়েছে বলে তার দল জানিয়েছে। ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়াম সাব জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে দুইজন নিরাপত্তারক্ষী মরা গেছেন। ৪৮ জন পুলিশ ও সেনা অফিসার আহত হয়েছেন। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিক্ষোভ নিয়ে যা জানা গেছে ভেনেজুয়েলার জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিল(সিএনই) রোববার ঘোষণা করে প্রেসিডেন্ট মাদুরো ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেোছেন। তিনি তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। বিরোধীদের দাবি, তাদের প্রার্থী এডমুন্ডো গঞ্জালভেস উরুতিয়া যে জিতেছেন তার প্রমাণ তাদের কাছে আছে। ৭৩ শতাংশ ভোট যখন গণনা হয়েছিল, তখন বিরোধী প্রার্থী প্রচুর ভোটের ব্যবধানে জিতছিলেন বলে তাদের দাবি। গঞ্জালভেস বলেছেন, আমাদের কাছে ভোটের যে রিপোর্ট আছে, তা দেখাচ্ছে যে আমিই জিতেছি। এরপর বিরোধী সমর্থক ও সদস্যরা রাস্তায় নেমে আসেন। কিছু বিরোধী কর্মী রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের কাছেও জমায়েত হন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চায়। মাদুরোর পূর্বসূরি ও তার মেন্টর হুগোর একটি মূর্তি ভেঙে রাস্তায় নিয়ে এসে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। একজন বিক্ষোভকারী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ''আমরা পরিবর্তন চাই। এই সরকারকে নিয়ে আমরা পরিশ্রান্ত। আমরা স্বাধীন ভেনেজুয়েলা চাই। আমরা চাই, আমাদের পরিবার এখানে ফিরে আসুক। সাম্প্রতিক সময়ে ভেনেজুয়েলার এক তৃতীয়াংশ মানুষ দেশের বাইরে চলে গেছেন। বিক্ষোভকারী সেই প্রসঙ্গই তুলেছেন।'' আরেকজন বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, আমরা দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করব। আমাদের কাছ থেকে ভোট চুরি করা হয়েছে। সংবাদপত্রের রিপোর্ট বলছে, পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী কড়া হাতে বিক্ষোভের মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছেন, আমরা এই চিত্রনাট্য আগেও দেখেছি। নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিরক্ষা করবে। অতি-বামেরা যে সহিংসতা করছে তার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো লোপেজ বলেছেন,স্বৈরাচারী ও অতি-বামেরা বিদ্রোহ করতে চাইছে। তা সফল হবে না। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া অনেক দেশই ভেনেজুয়েলাকে বলেছে, তারা যেন ভোটাভুটির পুরো বিবরণ প্রকাশ করে। কে কত ভোট পেয়েছেন তা জানায়। অ্যামেরিকা জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটা অস্বচ্ছ। তাই ভেনেজুয়েলার উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন দাবি করেছেন, নির্বাচনের বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। পেরু ঘোষণা করেছে, তারা গঞ্জালভেসকেই ভেনেজুয়েলার ন্যায্য প্রেসিডেন্ট বলে মনে করে। কোস্টারিকা বিরোধী নেতাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে চেয়েছে। পানামা ভেনেজুয়েলার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাতিল করেছে। ভেনেজুয়েলাও সাতটি ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশ থেকে কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ভেনেজুয়েলায় বিতর্কিত নির্বাচনে আবারও প্রেসিডেন্ট মাদুরো
ভেনেজুয়েলায় টানা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো। যদিও ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গনজালেস। এ নিয়ে দেশটিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক।  বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন গত ২৫ বছর দেশটির ক্ষমতায় থাকা মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। তবে এবার তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গনজালেস ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন। তিনি নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন। তারপরও যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো। নিজ দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ দাবি করে মাদুরো বলেছিলেন, এবার যদি তিনি নির্বাচিত না হন, তাহলে ‘রক্তগঙ্গা’ বয়ে যাবে। বিবিসির জানায়, ভোট গণনায় যাতে কোনো কারচুপি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সারাদেশের ভোটকেন্দ্রগুলোতে হাজার হাজার ‘সাক্ষী’ মোতায়েন করেছিল। কিন্তু তাদেরকে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় বলে দাবি করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী গনজালেসের নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র। অনেকের দাবি, ক্ষমতায় দীর্ঘদিন থাকার সুযোগে নির্বাহী বিভাগের পাশাপাশি আইন ও বিচার বিভাগের ওপর একক নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে মাদুরোর দল। সেই প্রভাবেই নির্বাচন উতরে গেছে দলটি। দেশটির আইন অনুসারে, নির্বাচনে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করে ভোট হয়। তবে প্রতিটি ভোটের জন্য একটি কাগজের রসিদও প্রিন্ট করা হয়, যা পরে ব্যালট বাক্সে রাখা হয়। সেই ব্যালট গণনা করতে দলগুলো প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সাক্ষী নিয়োগ দিতে পারবে। গেল নির্বাচনে বিরোধীদের রসিদ গণনার কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে দাবি করে বলা হয়, মুদ্রিত রসিদের এক তৃতীয়াংশেরও কম অংশ সাক্ষীদের সামনে আনা হয়েছে।
অ্যামাজনে গত ছয় মাসে রেকর্ডসংখ্যক দাবানল
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অ্যামাজনে গত ছয় মাসে রেকর্ডসংখ্যক দাবানল জ্বলেছে। খরার কবলে পড়েছে অ্যামাজন। সোমবার প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, অ্যামাজনে ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে গতবছরের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি দাবানল হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পেস রিসার্চের তথ্য বলছে, বছরের প্রথমার্ধে ১৩ হাজার ৪৮৯টি দাবানলের কবলে পড়েছে অ্যামাজন। ১৯৯৬ সাল থেকে এই রেকর্ড রাখা হচ্ছে। সেখানে দেখা গেছে, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে বছরের প্রথম ছয় মাসে অ্যামাজনে বেশি করে দাবানলের কবলে পড়েছে। প্যানটানল ওয়াটারল্যান্ডসে এবার তিন হাজার ৫৪৮টি দাবানল সহ্য করতে হয়েছে, যা গতবছরের তুলনায় দুই হাজার গুণ বেশি। সেরাডো-কে ১৩ হাজার ২২৯টি দাবানলের মুখে পড়তে হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ও সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এত বেশি দাবানলের কবলে পড়েছে ব্রাজিল। গ্রিনপিস ব্রাজিলের মুখপাত্র রোমুলো বাতিস্তা বলেছেন, বৃষ্টি হচ্ছে না বলে অ্যামাজনের এই অবস্থা। শুকনো আবহাওয়ার কারণে গাছপালা শুকিয়ে গেছে। ফলে সেখানে আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে। প্যানটানলের মতো জলা জায়গা, যা জাগুয়ার, কুমির ও উদ্বিড়ালের জন্য বিখ্যাত, সেখানেও প্রবল খরা হয়েছে। ব্রাজিলের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭০ বছরে এত খারাপ অবস্থা আর হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তন এবং শক্তিশালী এল নিনোর ফলে এই ভয়ংকর অবস্থা দেখা দিয়েছে।
‘স্বর্গে জমি’ বিক্রি চলছে, প্রতি বর্গমিটার সাড়ে ১১ হাজার টাকা!
বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় আচার মেনে স্বর্গ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এবার সেই স্বর্গেই প্লট বিক্রির খবর পাওয়া গেল। যেখানে প্রতি বর্গমিটার জায়গা বিক্রি হচ্ছে ১০০ ডলারে (বাংলাদেশেই মুদ্রায় ১১ হাজার ৭৬৩ টাকা)। এমন অদ্ভুত ধরনের অফার দিয়েছে মেক্সিকোর একটি গির্জা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে মেক্সিকোর ওই গির্জার খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। এই খবরটি মেক্সিকোর বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। জানা গেছে, মেক্সিকোর ইগ্লেসিয়া দেল ফাইনাল দে লস টিমপোস গির্জা স্বর্গে প্লট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জমির চুক্তির মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার সংগ্রহ করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা গেছে, প্রতারক ধর্মপ্রচারকদের বিরুদ্ধে তাদের এই প্রচার। এই গির্জার পেজগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। ইগ্লেসিয়া দেল ফাইনাল দে লস টিমপোস গির্জার পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বর্গে প্রতি বর্গমিটার জমি পাওয়া যাচ্ছে ১০০ ডলারে। একজন ক্রেতা আমেরিকান এক্সপ্রেস, অ্যাপল পেসহ বিভিন্নভাবে লেনদেন করতে পারবেন। মেক্সিকোর বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই গির্জার যাজক ২০১৭ সালে ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাকে জমি বিক্রির নির্দেশ দিয়েছেন। এ খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আমি আশা করি একজন যাজক আমার কাছে স্বর্গে কিছু জমি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন।’ আরেকজন লেখেন, ‘আমার জানা দরকার কে কিনছে। আমি তাদের জানাতে চাই যে, আমি স্বর্গে জমি কম দামে বিক্রি করছি।’
ভেনেজুয়েলায় ৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রোববার (২৩ জুন) জার্মান রিসার্স সেন্টার ফর জিওসায়েন্সের (জিএফজেড) বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল আরাবিয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূমি থেকে ৯৩ কিলোমিটার গভীরে। তবে এতে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূমি থেকে ৮৭ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর দুলতে থাকা স্থাপনাগুলোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাজেট সংস্কার প্রস্তাব পাসে আর্জেন্টিনায় বিক্ষোভ-সংঘর্ষ
সংসদে বাজেট সংস্কারের প্রস্তাব পাসকে কেন্দ্র  করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায়।  মূলত, সংস্কার বাজেটে সরকারি পেনশন ও শ্রম অধিকারসহ নাগরিক বিভিন্ন সুবিধা হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। বিক্ষোভকালে  রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে পুলিশের সঙ্গে বড় ধরনের সংঘর্ষেও জড়ায় বিক্ষোভকারীরা।  বুধবার (১২ জুন) রাতে রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের সামনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। সংস্কারের অনুমোদন ঠেকাতে পেট্রোল বোমা ও পাথর নিক্ষেপ করেন তারা। এ ছাড়া দুটি গাড়িতে আগুনও দেন। ওই সময় তাদের সরিয়ে দিতে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর বিবিসির।  বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই সংস্কারের কারণে আর্জেন্টিনার লাখ লাখ নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।  আর্জেন্টিনার ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই এই সংস্কারের প্রস্তাব করেন। এর মাধ্যমে  তিনি মূলত দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিকে জাগ্রত করতে চাচ্ছেন। এই সংস্কারের মাধ্যমে আর্জেন্টিনায় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করা হবে এবং সরকারি পেনসন ও শ্রম অধিকার কমিয়ে দেওয়া হবে। প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের এই সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে দেশটির বিরোধীদল, শ্রম সংগঠন এবং সামাজিক সংস্থাগুলো। আর্জেন্টিনার সিনেটে সংস্কার প্রস্তাবটি ৩৬-৩৬ ভোটে আটকে ছিল। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়ারুয়েল তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রস্তাবটি অনুমোদন করান। ভোট দেওয়ার আগে তিনি বলেন, যেসব আর্জেন্টাইন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যারা অপেক্ষা করছেন এবং যারা চান না তাদের সন্তানরা দেশ ছেড়ে চলে যাক, তাদের জন্য আমার ভোট হলো- হ্যাঁ।  বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।  এরপর প্রস্তাবটি সংসদের নিম্নকক্ষে যাবে এবং সেখানে আইনে পরিণত হবে। ৩২৮ ধারার এই সংস্কার প্রস্তাবটি এখন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।  গত এপ্রিলে প্রথমে প্রস্তাবটি সংসদের নিম্নকক্ষে পাস হয়। তবে এর আগে এটিতে অনেক পরিবর্তন আনা হয়। গত বছর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই অবশ্য জাভিয়ের মিলেই বলেছিলেন সরকারি ব্যয় সংকোচন করবেন তিনি।