• ঢাকা রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১
logo
আজই পদত্যাগ করতে পারেন জাস্টিন ট্রুডো
পদত্যাগ করলেন কানাডার অর্থমন্ত্রী, ট্রুডোকে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। সংসদে বার্ষিক আর্থিক আপডেট দেওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে নেওয়া তার এ সিদ্ধান্তকে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে ট্রুডো প্রশাসনের জন্য। ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের খবরে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে প্রকাশ্যে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারই দলের পাঁচজন এমপি। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড সোমবার তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-আরোপের হুমকির জবাবে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে সৃষ্ট মতবিরোধের কারণে পদত্যাগ করেছেন তিনি। বিবিসি বলছে, সোমবার ট্রুডোর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। সেখানে তিনি তাদের দুজনের কানাডার জন্য সর্বোত্তম পথের বিষয়ে মতবিরোধে এবং ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ নীতির জেরে উত্থাপিত গুরুতর চ্যালেঞ্জের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। ফ্রিল্যান্ড বলেন, গত সপ্তাহে ট্রুডো তাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি আর তাকে তার সরকারের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চান না এবং এরপরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কানাডার পার্লামেন্টে বার্ষিক আর্থিক সরকারি আপডেট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের এই খবর সামনে এলো। বিশ্লেষকদের মতে, ফ্রিল্যান্ডের এই পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই নড়বড়ে অবস্থানে থাকা ট্রুডোর সরকারকে আরও বিপদের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিতে পারে। ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি উঠেছে।  পোল ট্র্যাকার অনুসারে, ট্রুডো যখন প্রথম কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তখন লিবারেল এই নেতার জনপ্রিয়তার হার ৬৩ শতাংশ থাকলেও সেখান থেকে হ্রাস পেয়ে চলতি বছরের জুনে তা ২৮ শতাংশে নেমে গেছে। আরটিভি/এসএইচএম-টি
মাস্কের নিউরালিঙ্ককে মানব মস্তিষ্কে চিপ বসানোর অনুমতি দিলো কানাডা
শিখ নেতা নিজ্জর হত্যার বিষয়ে সব জানতেন মোদি: দাবি কানাডার
কানাডায় মানবদেহে প্রথম বার্ড ফ্লু শনাক্ত
মেক্সিকোয় চব্বিশ ঘণ্টায় দুই সাংবাদিক নিহত
কানাডায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য দুঃসংবাদ
কয়েক দশক ধরে উন্নত রাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য নির্ভরযোগ্য এক গন্তব্য কানাডা। অভিবাসন খাতে উদারনীতির জন্য বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটি। কিন্তু এবার সেই অবস্থান থেকে অনেকটা দূরে সরে আসছে কানাডিয়ান সরকার। আশঙ্কাজনকভাবে বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া অভিবাসন নীতিতে কঠোর হতে যাচ্ছে তারা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নিজেদের ইতিহাসে এ যাবতকালের সবচেয়ে কঠোর অভিবাসন কাটব্যাক উপস্থাপন করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার। নতুন সিদ্ধান্তে ২০২৫ সাল নাগাদ দেশটিতে স্থায়ীভাবে বাস করতে আসা মানুষের হার ২১ শতাংশ কমানোর কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ এতদিন স্থায়ী বাসিন্দাদের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ লাখ থাকলেও ২০২৫ সালে তা তিন লাখ ৯৫ হাজারে নামিয়ে আনা হবে। খবর বিবিসির।  শুধু স্থায়ী অভিবাসন নয়, অস্থায়ী অভিবাসনের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডার সরকার। এক্ষেত্রে অস্থায়ী বিদেশি কর্মীদের পাশাপাশি বিপাকে পড়ে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাও।  মূলত, জনসংখ্যা বৃদ্ধি থামানোর প্রচেষ্টা হিসেবেই অভিবাসন নীতিতে এ পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রুডো সরকার।   ১৯৭৭ সাল থেকে দেশে অভিবাসনের প্রতি কানাডিয়ানদের মনোভাব কেমন, তা পর্যবেক্ষণ করে আসছে এনভায়রনিক্স ইন্সটিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সবশেষ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের জরিপ থেকে জানা যায়, গত ২৫ বছরে প্রথমবারের মতো ৫৮ শতাংশ মানুষ বলেছে যে দেশটিতে অভিবাসনের সংখ্যা এখন অনেক বেড়ে গেছে। এর অন্যতম কারণ আবাসন সংকট। অভিবাসনের তুলনায় আবাসন সীমিত হয়ে পড়ায় স্থানীয় কানাডিয়ানরা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। একই সময়ে কানাডার বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশ। এসবের পাশাপাশি অর্থনীতি, অতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং অভিবাসন ব্যবস্থা কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সেটাও মানুষের মনোভাব পরিবর্তনের বড় কারণ। ট্রুডো এবং তার সরকার জনসেবা বা আবাসন নির্মাণ না করেই অভিবাসনের হার বাড়ানোয় সমালোচিত হয়েছে এবং অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে কানাডার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা আবাসন এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো জনসেবা খাতগুলোর উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করবে। ২০১৫ সালে জাস্টিন ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার সরকার বার্ষিক স্থায়ী বাসিন্দার লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ৭২ হাজার থেকে বাড়িয়ে চার লাখ ৮৫ হাজারে উন্নীত করে। তবে কোভিড-১৯ মহামারির পরে ২০২১ সালে অভিবাসনের হার সবচেয়ে বেশি বাড়তে দেখা গেছে।  কানাডিয়ান ব্যুরো ফর ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন অনুসারে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।  এদিকে, সরকারি তথ্য অনুযায়ী কানাডায় অস্থায়ী বিদেশি কর্মীর সংখ্যা গত পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। অভিবাসন নিয়ে কানাডিয়ানদের নেতিবাচক ধারণার আরেকটি বড় কারণ, তারা মনে করে কানাডার অভিবাসন ব্যবস্থা তার সততার জায়গা হারিয়েছে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ভারত ভয়াবহ ভুল করেছে: ট্রুডো
ভারতের বিরুদ্ধে এই প্রথম পরিষ্কারভাবে কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেছেন, কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে ভারত ভয়াবহ ভুল করেছে। আলজাজিরার খবর অনুযায়ী, ট্রুডোর অভিযোগ, তার দেশে সহিংসতা সংঘটিত করছে ভারতের সরকার। বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে একটি তদন্তে ট্রুডো এ অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি বলেন, শিখ ভিন্নমতাবলম্বীদের টার্গেটের মাধ্যমে ভারত কর্তৃক কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করার স্পষ্টতর ইঙ্গিত রয়েছে। ভারতের এই ধরনের কার্যকলাপ ভয়াবহ ভুল। শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা নিয়ে কানাডা ও ভারতের একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কারের দুদিন পর এমন বক্তব্য দিলেন ট্রুডো। বুধবারের তদন্তে ট্রুডো বলেন, নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড আরও বৃহত্তর ভারতীয় অভিযানের অংশ ছিল। এতে কানাডার অভ্যন্তরে ভিন্নমতাবলম্বীদের নিয়মিতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। তিনি বলেন, কানাডিয়ানদের প্রতি সহিংসতা ভারতীয় সরকারের দ্বারা সক্ষম করা হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। যখন ভারতের কাছে এই অভিযোগগুলো উপস্থাপন করা হয়, তখন তারা কেবল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। কানাডার সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদারের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে না চাইলেও ট্রুডো বলেন, কানাডার সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে তিনি কোনোভাবেই পিছপা হবেন না। ভারতে স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের সমর্থক হারদীপ সিং নিজ্জরকে গত বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সুরে এলাকায় একটি গুরুদুয়ারার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের বাইরে সবচেয়ে বেশি শিখ জনগোষ্ঠীর বাস কানাডায়। সেখানে ৭ লাখ ৭০ হাজারের বেশি শিখ থাকেন। আরটিভি/একে-টি    
ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিলেন কিউবার প্রেসিডেন্ট 
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবার উত্তর আমেরিকার দেশ কিউবাতে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন খোদ দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি ও ইসরাইলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল এবং কমিউনিস্ট-পরিচালিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির অন্যান্য নেতাদের নেতৃত্বে হাজার হাজার কিউবান নাগরিক রাজধানী হাভানায় মিছিল করেছেন। এই বিক্ষোভ-মিছিলে কিউবায় বসবাসরত প্রায় ৪৫০ জন ফিলিস্তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থীও অংশ নেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন দীর্ঘজীবী হোক’। এছাড়া মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ও তার সহযোগীরা ঐতিহ্যবাহী কেফিয়াহ স্কার্ফ পরেছিলেন।   বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়া মিশেল মারিনো নামে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এখানে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য দাবি, তাদের সার্বভৌমত্ব ও তাদের স্বাধীনতার প্রতি সংহতি জানাতে এসেছি। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনপন্থি এই বিক্ষোভ মিছিলটি গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হারিকেন ‘মিল্টন’ এর কারণে সেসময় এটি স্থগিত করা হয়। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাশাপাশি কিউবাতেও আঘাত হানে শক্তিশালী এই সামুদ্রিক ঝড়টি। আরটিভি/এসএইচএম  
শপথের সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই খুন হলেন মেক্সিকোর মেয়র
মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর চিলপানচিনগোর মেয়র আলেহান্দ্রো আরকোসকে শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মাঝে হত্যা করা হয়েছে। খবর এএফপির। সোমবার (৭ অক্টোবর) এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন গেরেরো রাজ্যের গভর্নর এভেলিন সালগাদো।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘চিলপানচিনগোর মেয়র আলেহান্দ্রো আরকোসের হত্যাকাণ্ড 'আমাদেরকে ক্রোধান্বিত করেছে’। তবে কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তিনি জানাননি। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আরকোসের শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোন আনুষ্ঠানিক তথ্য জানা যায়নি। চলতি বছর জুনে বিরোধী দলগুলোর জোটের প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচিত হন আরকোস। গত ১ অক্টোবর তিনি শপথ গ্রহণ করেছিলেন। জোটের অন্যতম শরীক ইনস্টিটিউশনাল রেভোলুশনারি পার্টি (পিআরআই) এই হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘কাপুরুষোচিত অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে।
শপথ নিলেন মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট 
মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শাইনবাউম শপথ নিয়েছেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি দেশে নারী অধিকার নিশ্চিত করা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নিজের দেশকে নিরাপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। খবর: ডয়েচে ভেলের। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শপথ নেওয়ার মাধ্যমে আগামী ছয় বছরের জন্য মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ক্লাউদিয়া। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, এখন পরিবর্তনের সময়। এবার নারীদের পালা।  ক্লাউদিয়া আরও বলেন, আমি একজন মা, দাদি, বিজ্ঞানী ও নারী এবং আজ থেকে মেক্সিকোর জনগণের ইচ্ছায় তাদের প্রেসিডেন্ট।  বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ বিনিয়োগের জায়গা হবে মেক্সিকো। মেক্সিকোতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে একবার ৬ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা যায়।   ডয়চে ভেলে বলছে, শাইনবাউমকে ১৯৮০ সালের পর সবচেয়ে বড় বাজেট ঘাটতি মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ক্লাউদিয়া শাইনবাউমকে রাজস্ব আয় বাড়াতে অবশ্যই কর ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে হবে। তবে শাইনবম বলেছেন, তিনি কর আদায়ের ওপর জোর দেবেন। তিনি বলেন, আমি সবার প্রেসিডেন্ট হবো এবং আমি নিশ্চিত করবো যেন আমি আমার অর্জিত জ্ঞান, শিক্ষা, শক্তি ও ইতিহাস এই দেশ ও দেশের জনগণের জন্য প্রয়োগ করতে পারি। আরটিভি/এআর
সুদানে বাঁধ ভেঙে প্রবল বন্যা, নিহত ৬০
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে একটি বাঁধ ভেঙে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে এবং এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। এতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি মহাসংকটে পড়েছে। সূত্র: আল জাজিরা। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে চারজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছিলেন। তবে পরের দিন সোমবার স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৬০ জনে পৌঁছেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে বার্ষাকালীন ভারী মৌসুমি বৃষ্টির কারণে পোর্ট অব সুদান শহরের উত্তর দিকের ‘আরবাত’ নামের একটি বাঁধ ভেঙে এ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বহু হতাহতের পাশাপাশি অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, সুদানে বাঁধভাঙা প্রলয়ংকরী বন্যায় অন্তত ২০টি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের অন্তত ৫০ হাজার বসতবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদান শহরের পানির মূল উৎস হিসেবে পরিচিত ‘আরবাত’ বাঁধটি লোহিত সাগর সংলগ্ন। এর তীরবর্তী পোর্ট অব সুদান শহরটি বর্তমানে সুদানের প্রশাসনিক রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কারণ মূল রাজধানী খার্তুমে যুদ্ধ চলছে। সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গত বছরের এপ্রিল থেকে যুদ্ধ করছে। এতে বহু মানুষ এরই মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সুদানে বেশ কয়েকটি বাঁধ রয়েছে, যার মধ্যে আরবাত অন্যতম। বন্যা মোকাবিলার প্রয়োজনেই বাঁধগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।  গত জুন থেকেই সুদানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যা হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ) বলছে, বন্যায় সুদানের ১৬টির রাজ্যে প্রায় ৩ লাখ ১৭ হাজার মানুষ (৫৬ হাজার ৪৫০ পরিবার) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর দারফুর, নীল নদ ও পশ্চিম দারফুর রাজ্যের বাসিন্দারা। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার বলেছে, জুন থেকে শুরু হওয়া বন্যায় সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদপত্র মেরদামীক জানিয়েছে, পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়ার পর যারা আটকে পড়েছিল তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে বিমানবাহিনী। সুদানের পানি কর্তৃপক্ষের পরিচালক ওমর ইসা তাহির স্থানীয় সংবাদ সাইট আখবারকে বলেছেন, বন্যা ‘পুরো এলাকা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে’। যুদ্ধকবলিত সুদানের আগে থেকেই মানবিক বিপর্যয় চলছিল। এর মধ্যে বন্যা এসে বিপর্যয় আরও প্রকট করেছে। খাদ্য সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কলেরাসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ–ব্যাধি।    
এবার ড. ইউনূসকে কানাডার সমর্থন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছে কানাডা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃ‌তিতে এ সমর্থনের কথা জানায় দেশটি। শ‌নিবার (১০ আগস্ট) এ তথ্য জানায় ঢাকার কানা‌ডিয়ান হাইক‌মিশন। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বিবৃ‌তিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকে স্বাগত জানা‌ন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলমান সংকটের সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এগিয়ে যেতে কানাডা সমর্থন করে। এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক শাসনের পথ প্রশস্ত করার পাশাপা‌শি শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রথম পদক্ষেপ। মেলানি জোলি আরও বলেন, এই পরিবর্তনের সময়ে এমন একটি প্রক্রিয়ায় কানাডা যুক্ত হতে চায়, যা হবে সবার অংশগ্রহণমূলক। ব্যাপক অর্থে সমাজের সব খাতের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ। তাতে থাকবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, যুব সমাজ, নারী ও অন্য সংখ্যালঘুরা।  মানবাধিকারের প্রতি সম্মান, আইনের শাসন মেনে গণতান্ত্রিক রীতি ও অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের নীতিতে সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে কানাডা সবাইকে শান্ত থাকারও আহ্বান জানায়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চর্চার জন্য ইন্টারনেট ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার পুরোপুরি সুযোগ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিও আহ্বান জানায় দেশটি।