• ঢাকা রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
স্বেচ্ছামৃত্যুর বিলে সমর্থন দিলেন ব্রিটিশ এমপিরা
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতিতে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য
ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদিত হওয়ার পর পরই পৃথক বিবৃতিতে একে স্বাগত জানায় ইসরায়েলের ঘনিষ্ট দুই মিত্র দেশ। খবর আল জাজিরার। বুধবার (২৮ নভেম্বর) থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যকার এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এর মধ্যদিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে।  এই যুদ্ধবিরতিকে ‘সুসংবাদ’ বলে অভিহিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই চুক্তির উদ্দেশ্য ‘শত্রুতা স্থায়ীভাবে বন্ধ’ করা। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানিজ সেনাবাহিনী ‘তাদের নিজস্ব অঞ্চলের’ নিয়ন্ত্রণ নেবে। সেইসঙ্গে একটা প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, চুক্তিটি ভঙ্গ হলে ইসরায়েল তার ‘আত্মরক্ষার’ অধিকার চর্চা করবে। এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি বেসামরিক জনগণকে কিছুটা স্বস্তি দেবে।  এরপর তিনি ‘দীর্ঘ সময় ধরে’ চলা এ শত্রুতা বন্ধের প্রশংসা করেন এবং যুদ্ধবিরতিকে ‘লেবাননে একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানে পরিণত’ করার আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে একইরকমভাবে গাজায়ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সামাজিক যগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির দিকে এগোতে হবে। সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার ওপর থেকে বিধিনিষেধ অপসারণ করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের এক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনের গাজায় বড় ধরনের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। একই সময়ে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গেও সংঘাত শুরু হয় তাদের। প্রথমদিকে সংঘর্ষের মাত্রা তীব্র না হলেও চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে লেবাননে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। এরপর অক্টোবরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী এবং হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করে। হিজবুল্লাহও পাল্টা জবাব দেয়। এর মধ্যদিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দেয়। যুদ্ধের ভয়াবহতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে হতাহতের সংখ্যা।  সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুদ্ধবিরতি কার্যকরে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে হিজবুল্লাহ ও লেবানন সরকার। রোববার (২৪ নভেম্বর) এ প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মতি জানায় ইসরায়েল। এদিন রাতে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকের পর সম্মতি জানান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপর মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন নেতানিয়াহু। বৈঠকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা চুক্তি কার্যকর করব। তবে চুক্তির কোনো লঙ্ঘন হলে জোর প্রতিক্রিয়া জানাব।’  ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয় সাপেক্ষে আমরা সামরিক তৎপরতা বন্ধ রাখব। তবে যদি হিজবুল্লাহ চুক্তি লঙ্ঘন করে বা ফের সশস্ত্র হওয়ার চেষ্টা করে, আমরা আঘাত করব।’  আরটিভি/এসএইচএম  
বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস
যুক্তরাজ্যে পা দিলে গ্রেপ্তার হতে পারেন নেতানিয়াহু
ইংলিশ চ্যানেলে ৪ জনের মৃত্যু
সাইফুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করে বাংলাদেশে পাঠাতে ব্রিটিশ এমপি আপসানার চিঠি
আলজাজিরার অনুসন্ধান / যুক্তরাজ্যে ৩ হাজার কোটির সম্পত্তি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে এই তথ্য। বুধবার (১৮  সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কীভাবে সরকারি বেতন পেয়েও ভিনদেশে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই মন্ত্রী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ২৫ কোটি ডলার খরচ করে ৩৬০টি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমান। ব্রিটেন ছাড়াও নিজের রিয়েল স্টেট ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করেছেন দুবাই, নিউইয়র্ক, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া পর্যন্ত। সবমিলিয়ে তিনি পাঁচ শতাধিক বাড়ি কিনেছেন। যেগুলোর মূল্য প্রায় ৭০ কোটি ডলার। আল-জাজিরা বলছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে সখ্যতা ছিল সাইফুজ্জামানের। গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওতে তাকে নিজেই এই স্বীকারোক্তি দিতে দেখা যায়। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমার বাবা শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক ছিলেন। আমিও তার কাছের লোক… শেখ হাসিনা আমার বস… তিনি জানেন যুক্তরাজ্যে আমার ব্যবসা আছে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১৭ সালের দিকে সম্পত্তি কেনা বাড়িয়ে দেন। ২০১৯ সালে যখন তিনি মন্ত্রী হন, তখন এটি আরও বাড়ে।  গত বছর বিনিয়োগকারীর ছদ্মবেশে তাদের সাংবাদিক সাইফুজ্জামানের ১৪ মিলিয়ন ডলারের বাড়িতে যায়। ওই সময় ‘ছদ্মবেশী’ সাংবাদিকদের সাইফুজ্জামান বড়াই করে জানান, তিনি কুমিরের চামড়ার হাতে তৈরি জুতার ওপর হাজার হাজার ডলার খরচ করেন এবং লন্ডনের সবচেয়ে দামী দোকান থেকে ইতালিয়ান স্যুট তৈরি করে পরেন। এ ছাড়া ওই সময় লন্ডনের নিজের বাড়িও ঘুরিয়ে দেখান তিনি। যেটিতে রয়েছে সিনেমা হল, জিম, ব্যক্তিগত এলিভেটর এবং নতুন রোলস রয়েলস গাড়ি রাখার নিরাপদ আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং এরিয়া। সাইফুজ্জামান আল-জাজিরার কাছে দাবি করেছেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাতে নিজের বৈধ ব্যবসার মাধ্যমে এই সম্পদ কিনেছেন তিনি।  এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ এনে তদন্ত শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন ইউসিবিএল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এছাড়া ছাত্র-জনতার প্রবল বিক্ষোভের মুখে যখন শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান তখন সাইফুজ্জামানও দেশে ছেড়ে চলে যান। আরটিভি নিউজ/এএএ    
যুক্তরাজ্যে ট্রেন চালক সমিতি ও সরকারের সমঝোতা
দীর্ঘ দুই বছর ধরে দফায় দফায় চলা কর্মবিরতি ও ধর্মঘট নিরসনে যুক্তরাজ্যের ট্রেন চালক ইউনিয়ন ও সরকার একটি বেতন প্রস্তাবের বিষয়ে একমত হয়েছে৷ দুই পক্ষই আশা করছে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকটের অবসান হবে৷ দেশটির সরকার এই চুক্তিকে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বর্ণনা করে অবশেষে রেল ধর্মঘটের অবসান ঘটতে চলেছে বলে বিবৃতি দিয়েছে৷ ট্রেন চালকদের ইউনিয়ন (এএসএলইএফ) জানায়, ২০২২/২৩ এর জন্য ৫%, ২০২৩/২৪ এর জন্য ৪.৭৫% ও ২০২৪/২৫ এর জন্য ৪.৫% বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব তাদের দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ৷ সংস্থাটি মনে করে, সদস্যদের এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া উচিত৷ ঐতিহাসিকভাবে শ্রমিকবান্ধব হিসেবে পরিচিত লেবার পার্টি গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর নতুন সরকার এএসএলইএফ-এর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে৷ এএসএলইএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মিক ভেলান বলেন, আমরা আনন্দিত যে, অবশেষে আমরা একটি নতুন লেবার সরকার পেয়েছি, যারা রেলপথের কর্মী, যাত্রী ও করদাতাদের জন্য কাজ করতে চায়৷ এএসএলইএফ গত বছর চালকদের নিয়োগকারী ১৬টি ট্রেন সংস্থার একটি প্রস্তাবকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রত্যাখ্যান করে দেয়৷ এতে বলা হয়, ২০১৯ সাল থেকে চালকদের বেতন বৃদ্ধি হয়নি, যার ফলে পরবর্তীতে বেতন কাটা হয়েছে৷ রেল ধর্মঘট ও ভ্রমণ পরিকল্পনায় ব্যাঘাত গত দুই বছরে ব্রিটিশ জীবনের একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছিল৷ দুই বছরে ট্রেন চালকরা সর্বমোট ১৮ দিন ধর্মঘট পালন করেছেন৷ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের জুন থেকে ধর্মঘটের কারণে রেলওয়ের রাজস্ব প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন পাউন্ড (১.০৯ বিলিয়ন ডলার) কম আদায় হয়৷
লন্ডনে ১১ বছরের শিশুকে ছুরিকাঘাত
লন্ডনের লাইচেস্টার স্কয়ারে ছুরিকাঘাতে ১১ বছরের এক নারী শিশু গুরুতর আহত হয়েছে৷ হামলার ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ হামলায় শিশুটির মা-ও সামান্য আহত হয়েছেন৷ পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার (১২ আগস্ট) করা শিশুটির আঘাত প্রাণঘাতী নয়৷ পুলিশ মনে করছে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা৷ ছুরিকাঘাতের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করছেন তারা৷ মধ্য লন্ডনের এই এলাকাটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়৷ ছুরিকাঘাতের পরপরই সেখান থেকে ৩২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ৷ এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, এখন একটি জরুরি তদন্ত চলছে এবং গোয়েন্দারা ঠিক কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কাজ করছেন৷ ঘটনার আলামত দেখে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না যে, সন্দেহভাজন ও ভুক্তভোগীরা একে অপরের পরিচিত ছিল৷ আগস্টের শুরুতে উত্তর ইংল্যান্ডে এক হামলায় তিন নারী নিহত হন৷ সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে ইসলামপন্থী অভিবাসী হিসাবে ভুলভাবে চিহ্নিত করে অনলাইনে গুজব ছড়ানো হয়৷ সেই ঘটনার পরপর সৃষ্ট দাঙ্গার কারণে ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের পুলিশ উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে৷
বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন: যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র।  সোমবার  (৫ আগস্ট) লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসিয়াল মুখপাত্র জানান, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনায় ‘গভীরভাবে দুঃখিত’। তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি যে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যেন গণতন্ত্র রক্ষা পায় এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র এমন সময় এ বক্তব্য দিলেন, যখন দেশত্যাগের পর শেখ হাসিনার সম্ভাব্য গন্তব্য নিয়ে জল্পনা চলছে। প্রসঙ্গত, দুপুরে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। সূত্রমতে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে রাজধানী নয়াদিল্লিতে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা। ইন্ডিয়া টুডে জানায়, নয়াদিল্লির গাজিয়াবাদে সেনাবাহিনীর হিন্ডন এয়ারবাসে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৬ মিনিটে অবতরণ করেন তিনি। সেখান থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। এর আগে দুপুরে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর গণভবন দখল করে নেয় ছাত্র-জনতা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও দখল করে নেয় তারা। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যান। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।
গুজবের জেরে ইংল্যান্ডের মসজিদে হামলা, আহত ৩৯ পুলিশ
ইংল্যান্ডের সাউথপোর্টে শিশুদের নাচের কর্মশালায় হামলার ঘটনার পর হামলাকারীর পরিচয় ঘিরে গুজবে বিশ্বাস করে একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ একদল লোক। তাদের থামাতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হয়েছে পুলিশও। এতে অন্তত ৩৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর বিবিসির।  সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে সাউথপোর্টে শিশুদের একটি নাচের কর্মশালায় ছুরি হাতে অতর্কিত হামলা চালায় ১৭ বছর বয়সী এক তরুণ। এতে দুই শিশু প্রাণ হারানোর পাশাপাশি আরও ৭ জন শিশু আহত হয়। তাদের সবার বয়স ৬ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে এ সময় আহত হন আরও দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  হামলাকারী তরুণকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। তবে ব্রিটেনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই তরুণের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি।  এরই মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, হামলাকারী ওই তরুণ মুসলিম। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় নিহতদের স্মরণে শোক মিছিল করে ঘটনাস্থলে যান হতাহতদের স্বজন ও সাধারণ লোকজন। তার কাছাকাছিই অবস্থিত একটি মসজিদ। হতাহত শিশুদের স্বজনদের শোক মিছিল শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর একদল উগ্র লোক মসজিদটিকে লক্ষ্য হামলা চালান। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর আক্রমণ করেন হামলাকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে অজস্র ইট-পাটকেল ও বোতল ছোড়েন তারা। এতে অন্তত ৩৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য আহত হন।  কয়েক ঘণ্টা সংঘাতের পর দাঙ্গাকারীদের সরিয়ে দিতে সক্ষম হয় পুলিশ। ওই এলাকার পরিস্থিতি এখনও থমথমে বলে জানিয়েছে বিবিসি। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, এই দাঙ্গাকারীরা ইংলিশ ডিফেন্স লীগ নামের একটি উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক দলের কর্মী। এই দলটি এর আগেও মুসলিমদের লক্ষ্য করে একাধিকবার হামলা করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে পুলিশের রেকর্ডে। মার্সিসাইড পুলিশের মুখপাত্র এবং অ্যাসিসটেন্ট চিফ কনস্টেবল অ্যালেক্স গস এক বিবৃতিতে বলেন,  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাউথপোর্ট পুলিশকে গুরুতর সহিংসতা মোকাবিলা করতে হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। দাঙ্গাকারীদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মারও। বুধবার (৩১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি বলেন, সাউথপোর্টের জনগণ এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। আমাদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। যারা শোকার্ত জনগণের একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সহিংস ও গুণ্ডামিতে পরিপূর্ণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
যুক্তরাজ্যে নাচের ওয়ার্কশপে ছুরিকাঘাতে ২ শিশুর মৃত্যু, আহত ৯
যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্টে একটি নাচের ওয়ার্কশপে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই শিশু। এ ছাড়া ৭ শিশুসহ আরও ৯ জন আহত হয়েছে এ হামলায়। সোমবার (২৯ জুলাই) শহরের হার্ট স্ট্রিটে টেলর সুইফট ইয়োগা ও ডান্স ওয়ার্কশপে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির। মার্সিসাইড পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শিশুদের রক্ষা করার চেষ্টার সময় ছুরিকাঘাতে ওই দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিও আহত হন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া চার শিশুর অবস্থাও গুরুতর।  হামলার পর হত্যা ও হত্যাচেষ্টার সন্দেহে ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্যাঙ্কস থেকে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, কেন এই হামলা চালানো হয়েছে, তা অস্পষ্ট।  একজন প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাটিকে ভয়ঙ্ককর বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন ঘটনা তারা আগে কখনও দেখেননি। ঘটনার বর্ণনায় মার্সিসাইড পুলিশের চিফ কনস্টেবল সেরেনা কেনেডি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একটি বিদ্যালয়ে শিশুরা টেলর সুইফট থিম নাচের ওয়ার্কশপে অংশ নেয়। এ সময় হামলাকারী তরুণ ছুরি হাতে বিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে এবং শিশুদের আঘাত করতে শুরু করে। হামলার শিকার শিশুদের বয়স ৬ থেকে ১০ বছর।  তিনি আরও বলেন, জরুরি কল পাওয়ার পর ১৩টি অ্যাম্বুলেন্স, সশস্ত্র যানবাহন ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। শিশুদের ওপর এমন হিংসাত্মক আক্রমণ যুক্তরাজ্যে বিরল। জরুরি কলগুলোতে সাড়া দেওয়া কর্মকর্তারা তাই বিষয়টি জানতে পেরে অবাক হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সেরেনা কেনেডি।  এদিকে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও আক্রান্তদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।   
যুক্তরাজ্যের ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ সিদ্দিককে পালন করতে হবে যেসব দায়িত্ব 
যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারের ‘সিটি মিনিস্টার’ নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। ব্রিটেনের সিটি মিনিস্টার নিযুক্ত হওয়া টিউ‌লিপ সি‌দ্দিক আর্থিক পরিষেবা খাতের তত্ত্বাবধায়কের দা‌য়িত্ব পালন কর‌বেন।  মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ব্রিটিশ সরকারের এক বিবৃতিতে এই নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে। ব্রেক্সিট ও ইউ‌ক্রেন যুদ্ধসহ নানান কার‌ণে অর্থনৈতিকভা‌বে চা‌পের মু‌খে থাকা ব্রিটে‌নের অর্থনী‌তি খা‌তের পুনর্গঠন নতুন সরকা‌রের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি। গত সপ্তাহে নির্বাচনে ভূমিধস বিজ‌য়ের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার টিউ‌লিপ‌কে এই গুরুত্বপূর্ণ প‌দে দা‌য়িত্ব দেন। এবা‌রের মন্ত্রিসভা গঠ‌নের শুরু থে‌কে মূলত মন্ত্রী‌দের কাজ করার যোগ্যতা‌কে প্রাধান্য দি‌য়ে পদায়ন ক‌রে আস‌ছি‌লেন প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাজ্যের সিটি অব লন্ডন এবং বৃহত্তর আর্থিক পরিষেবা শিল্পের দায়িত্বশীল সি‌টি মি‌নিস্টারের পদ‌টির দায়িত্বগুলোর মধ্যে আর্থিক প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ, ক্রিপ্টো সম্পদ এবং ঋণ ব্যবস্থাপনা নীতি অন্তর্ভুক্ত। সিটি মিনিস্টারের পদ হলো যুক্তরাজ্য সরকারের মধ্যম স্তরের মন্ত্রীর পদ। ‘সিটি মিনিস্টার’ পদ‌টি  গর্ডন ব্রাউন ২০০৮ সা‌লে সৃ‌ষ্টি ক‌রেন। লর্ড মাইনার্স ২০০৮ থে‌কে ২০১০ সাল পর্যন্ত এ প‌দে দায়িত্ব পালন করেন। ৪১ বছর বয়সী টিউ‌লিপ একজন পেশাদার রাজনী‌তি‌বিদ। দ‌লের ভেত‌রে একজন প্রজ্ঞাবান মেধাবী রাজনী‌তি‌বিদ হি‌সে‌বে তি‌নি প‌রি‌চিত। ছায়া সি‌টি মি‌নি‌স্টার হি‌সে‌বে লেবার পার্টি বি‌রোধী দ‌লে থাকা অবস্থায় দা‌য়িত্ব পালন ক‌রেন টিউ‌লিপ। দল ক্ষমতায় আসার পর এ প‌দেই মন্ত্রীর দা‌য়িত্ব পে‌লেন তিনি। সিটি মিনিস্টার হিসেবে যেসব দায়িত্ব পালন করবেন টিউলিপ:  সিটি মিনিস্টার যুক্তরাজ্য সরকারের মধ্য-স্তরের এইচএম (হিজ ম্যাজেস্টি) ট্রেজারিতে মন্ত্রী পদ, যেখানে ‘সিটি মিনিস্টার’ ব্রিটিশ আর্থিক পরিষেবা খাতের দায়িত্বে থাকেন। ব্রিটিশ আর্থিক পরিষেবা খাত সাধারণত ‘সিটি’ নামে পরিচিত।  সিটি মিনিস্টার এর কাজ হলো, ব্রিটিশ সরকারের জাতীয় অর্থব্যবস্থা কার্যকর করা এবং অর্থনৈতিক নীতিমালার বিকাশ ঘটানো। ব্রিটিশ 'সিটি মিনিস্টার' পদটি আর্থিক পরিষেবা খাতের তত্ত্বাবধানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।  ব্যাংকিং, বীমা এবং আর্থিক বাজারকে প্রভাবিত করে এমন নীতিমালা নিয়ে কাজ করাই ‘সিটি মিনিস্টার’ এর দায়িত্ব। সিটি মিনিস্টার আর্থিক শিল্পকে সমর্থন করতে এবং ভোক্তাদের সুরক্ষার জন্য ট্রেজারি ও অন্যান্য সরকারি বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন।  এ পদে দায়িত্ব পাওয়া টিউলিপ সিদ্দিক এখন থেকে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আর্থিক সেবা খাতের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করবেন। যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবা খাতের বিভিন্ন নীতিমালা নির্ধারণ ও প্রণয়নে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। অর্থনৈতিক খাতের প্রযুক্তি ও ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রণ এবং ঋণ ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণের দায়িত্ব পালন করতে হবে টিউলিপ সিদ্দিককে।