গত তিনদিন ধরে ইরানে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। লাগাতার এসব হামলায় অন্তত ৪০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ইরানে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬৫৪ জন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থার বরাতে রোববার (১৫ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানে নিজেদের একটি আলাদা সূত্র আছে এই মানবাধিকার সংস্থাটির। সেই সূত্রের তথ্য ও ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতাহতের তথ্য ক্রসচেক করে হতাহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ বড় ধরনের হামলা করে বসে ইসরায়েল। এরপর সারাদিনই দেশটিতে হামলা অব্যাহত রাখে তারা। ভয়াবহ এ হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান জেনারেল হোসাইন সালামিসহ অন্তত ২০ জন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বাহিনীটির নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
দায়িত্ব নিয়েই ইসরায়েলের উদ্দেশে কঠিন হুঁশিয়ারি দেন নতুন আইআরজিসি প্রধান। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলার জবাবে শিশু হত্যাকারী জায়নবাদী শাসকের জন্য শিগগিরই জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে।
নতুন আইআরজিসি প্রধানের এ বার্তার কয়েক ঘণ্টা না যেতেই ইসরায়েলে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নামে এ অভিযান শুরু করে ইরান। এরপর থেকে একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা-পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষই। ক্রমেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে দুইদেশের এ সংঘাত।
রোববার মধ্যরাতে ইরান যেসব মিসাইল হামলা চালিয়েছে সেগুলোর বেশ কয়েকটি সরাসরি আঘাত হেনেছে ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত ও দুইশর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন ইসরায়েলে।
আরটিভি/এসএইচএম