নন্দীগ্রামে পিছিয়ে থেকে এগিয়ে গেলেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। এ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রার্থীদের মধ্যে। ফলাফল দেখা যাচ্ছে প্রতিমুহূর্তে ওঠানামা করছে। শুরু থেকে ভোট গণনায় বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী এগিয়ে থাকলেও একাদশ রাউন্ডের শেষে এই প্রার্থীকে ৩ হাজার ৩২৭ ভোটে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রোববার (২ মে) আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছ এ তথ্য। প্রতিবেদনে জানা গেছে, সার্ভারে সমস্যা হওয়ায় ফল ঘোষণায় দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, ভোট গণনায় সামগ্রিকভাবে তৃণমূল। এদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ২০৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে মমতার দল। এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি ৮১ আসনে এগিয়ে। সংযুক্ত মোর্চা দুটিতে এবং বাকী দুই আসনে অন্যান্যরা এগিয়ে রয়েছেন।
এসআর/
মন্তব্য করুন
৪৮ ঘণ্টায় ১০ ভারতীয় বিমানে বোমাতঙ্ক
অনলাইনে পোস্ট করে বোমার হুমকির পর আজ নয়া দিল্লি থেকে শিকাগো যাওয়ার একটি এয়ার ইন্ডিয়ার সরাসরি ফ্লাইট কানাডার ইক্যালুইট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এ নিয়ে হুমকি পাওয়ার পর বোমাতঙ্কের ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে মোট ১০টি ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভির
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আজ সাতটি ভারতীয় প্লেনে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি প্লেন জরুরি অবতরণ করানো হয় কানাডায়। দিল্লি থেকে শিকাগোগামী এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেন বোমা হামলার হুমকি পেয়ে কানাডার ইক্যালুইট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
এ ছাড়াও মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুর থেকে বেঙ্গালুরুগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি প্লেনে বোমা হামলার হুমকি দিয়ে ফোন আসে। তড়িঘড়ি করে অযোধ্যা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় সেটিকে। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযান চালানোর পরেও কোনো বোমার সন্ধান পাওয়া যায়নি। সৌদি আরবের দাম্মাম থেকে লখনৌগামী ইন্ডিগোর প্লেনে একইভাবে বোমার হুমকি পেয়ে জয়পুরে অবতরণ করে। দ্বারভাঙা থেকে মুম্বইগামী স্পাইসজেটের প্লেন ও শিলিগুড়ি থেকে বেঙ্গালুরুগামী আকাসা এয়ারের প্লেনেও একই রকম হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) এমনই বোমা হামলার হুমকি পেয়েছিল তিনটি আন্তর্জাতিক প্লেনের কর্মকর্তারা। যা নিয়ে যাত্রী থেকে বিমানকর্মী সবার মধ্যেই ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। যদিও কোনো ক্ষেত্রেই সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।
বোমাতঙ্ক নিয়ে শোরগোল পড়েছে। কে বা কারা এই বোমাতঙ্ক ছড়ালেন তা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু পরপর প্লেনে বোমাতঙ্কের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়চড়ে বসেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয় বুধবার (১৬ আক্টোবর) উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা (ব্যুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি)।
সোমবার ও মঙ্গলবার, পরপর দু’দিন বেশ কয়েকটি ভারতীয় বিমান সংস্থার কাছে বোমা হামলার হুমকি পাঠানো হয়। মূলত, এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলকে ব্যবহার করেই ছড়ানো হয় এই বোমাতঙ্ক। তার মধ্যে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট এরই মধ্যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান এক তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছি। সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলো থেকেই বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
অতীতেও বেশ কয়েক বার প্লেনে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুধু প্লেন নয়, ‘হাসপাতাল, ট্রেনও বোমা মেরে উড়িয়ে’ দেওয়ার হুমকি পাঠানো হয়। তবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই তা ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু সোমবার ও মঙ্গলবারের এই বোমা হামলার ঘটনাকে হালকাভাবে নিতে নারাজ বিমান নিরাপত্তা সংস্থা।
আরটিভি/এমএ
এক হাসপাতালেই ২৪ ঘণ্টায় জন্ম নিলো ১৮ যমজ শিশু!
আশ্চর্যজনক এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালটিতে জন্ম হয়েছে ১৮ যমজ শিশুর। একই হাসপাতালে এমন ঘটনা অতীতে কখনও ঘটেছে কি না, তা ইতিহাস ঘেঁটে দেখার মতোই একটি বিষয়।
হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানিয়েছেন, নবজাতকদের মধ্যে ১১ জনই কন্যাকন্তান, বাকি ৭ জন পুত্রসন্তান। জন্মের পর থেকে কারও কোনও শারীরিক অসুস্থতা দেখা যায়নি এখন পর্যন্ত। সুস্থ রয়েছেন মায়েরাও। অবশ্য, চার শিশুর ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম রয়েছে। তাদের এনআইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। তবে, শারীরিক অবস্থা খারাপ নয়।
তিনি বলেন, যমজ শিশুর জন্ম সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই অসাধ্য সাধন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। এদিকে একেবারে ১৮ যমজ শিশুর জন্মে খুশির জোয়ারে ভাসছে পুরো হাসপাতালই।
হাসপাতালটির প্রসূতি বিভাগের প্রধান মলয় সরকার জানান, বর্ধমানের অনেক গর্ভবতীকেই এ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ফলে ভিড় থাকে প্রচুর। বহু ক্ষেত্রেই ঝুঁকিপূর্ণ প্রসব করাতে হয়। পরিসংখ্যান বলছে, গড়ে ৮০টি প্রসবের মধ্যে একটি ক্ষেত্রে যমজ সন্তান জন্মায়। কিন্তু এবারে ছবিটা একেবারে ভিন্ন। এছাড়া একটি ছাড়া বাকি সব প্রসব হয়েছে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে।
আরটিভি/এসএইচএম
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ভারত যা ভাবছে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত পালিয়ে যাওয়ার প্রায় আড়াই মাস হতে চলেছে। এরপর তাকে আর এক মুহূর্তের জন্যও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তার কোনও ছবি ‘লিক’ হয়নি, নানা কথিত ফোনালাপের অডিও ফাঁস হলেও সেগুলো যে তারই কণ্ঠস্বর তারও কোনও প্রমাণ মেলেনি। ভারতে এসে নামার পর থেকে তিনি যেন কার্যত হাওয়ায় মিলিয়ে গেছেন!
শেখ হাসিনা ও তার সঙ্গে ছোট বোন রেহানা দিল্লিতে নামার পর থেকে কীভাবে আছেন, কোথায় আছেন তা নিয়ে ভারত সরকারের মুখপাত্র, মন্ত্রী বা নীতি-নির্ধারকরা আজ পর্যন্ত একটি শব্দও খরচ করেননি। কোনও সাংবাদিক সম্মেলনেও না, কোনও সাক্ষাৎকারেও না।
তবে ভারত সরকার বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ও পরোক্ষে এটুকু শুধু জানিয়েছে যে তিনি এখনও ভারতেই অবস্থান করছেন। গত সপ্তাহে বিবিসি বাংলা যেমনটা জানিয়েছিল যে শেখ হাসিনার আমিরাত বা মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশে যাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, ফলে সেটুকু অন্তত এখন ভারত সরকারও অফিশিয়ালি ‘কনফার্ম’ করছে।
শেখ হাসিনার এ দেশে থাকা নিয়ে ভারত সরকার সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রাখতে সফল হয়েছে এটা যেমন ঠিক, তাকে কতদিন ভারতে রাখতে হবে সে ব্যাপারে দিল্লি কিন্তু এখনও পুরোপুরি অন্ধকারে।
দিল্লির সাউথ ব্লকের একজন শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তার ধারণা, বেশ লম্বা সময়ের জন্যই শেখ হাসিনাকে ভারতে থাকতে দিতে হবে এই বাস্তবতার জন্যই সরকার এখন ক্রমশ প্রস্তুত হচ্ছে।
তাহলে কি অতীতে যেভাবে তিব্বতি ধর্মগুরু দালাই লামা বা আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহর স্ত্রী-সন্তানদের ভারত ‘পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম’ বা রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল, শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে?
এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া না গেলেও বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে–
প্রথমত, ভারতের চোখে এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা হলেন একজন ‘গেস্ট, বাট আন্ডার কমপালশন!’ অর্থাৎ তিনি রাষ্ট্রের একজন সম্মানিত অতিথি– যাকে বিশেষ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ভারতে চলে আসতে হয়েছে। নিজ দেশে তার নিরাপত্তা বা সুরক্ষা বিপন্ন হয়ে উঠেছিল বলেই তিনি ভারতে এসেছেন, এটাও ভারত খুব ভালো করেই জানে। এখন এই ‘অতিথি’র স্ট্যাটাসেই তাকে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এ দেশে রেখে দেওয়া যেতে পারে– ভারতের তাতে কোনও অসুবিধা নেই। দেশের পুরনো বন্ধু ও অতিথি হিসেবে তিনি সব প্রাপ্য সম্মানই পাবেন।
দ্বিতীয়ত, পরে পরিস্থিতি অন্যরকম হলে অন্য কিছু ভাবা যাবে– কিন্তু এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় বা অ্যাসাইলাম দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা ভারতের নেই। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি নিজেও অ্যাসাইলামের জন্য কোনও আবেদন করেননি। কিন্তু যদি সত্যিই পরে সেরকম কোনও প্রস্তাব আসে, ভারত সরকার জানে এ ব্যাপারে দেশের সব দলই একমত হবে এবং শেখ হাসিনাকে অ্যাসাইলাম দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করা কোনও সমস্যাই হবে না। কিন্তু এখনই আগ বাড়িয়ে এরকম কোনও পদক্ষেপ দিল্লি নিতে চাইছে না।
ফলে এক কথায় বলতে গেলে, আপাতত ভারত শেখ হাসিনাকে ‘আতিথেয়তা’ দিতে চাইছে – ‘আশ্রয়’ নয়।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
আরটিভি/ ডিসিএনই
ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০০ মিটারের মধ্যে চলাচল নিষিদ্ধ
বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা। রাজ্যটির পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা প্রশাসক এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (২০ অক্টোবর) থেকে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে আগরতলা এবং মোহনপুর মহকুমাজুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০০ মিটার বরাবর জনসাধারণের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। আর এই নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির কারণে সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অন্য রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার সময় ত্রিপুরায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিককে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ কারণে দুই দেশের সীমান্তে মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা প্রশাসক ড. বিশাল কুমার।
তিনি বলেন, মানুষের জীবনের পক্ষে হুমকি এবং শান্তিতে ব্যাঘাত রোধ করতে সীমান্তে যাতায়াতের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী, কর্তব্যরত সরকারি কর্মকর্তা এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এই নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২২৩ ধারার অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এমএ/এআর
লণ্ডভণ্ড করতে পারে ঘূর্ণিঝড় ডানা, ডেঞ্জার অ্যালার্ট
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি আরও শক্তি ধারণ করে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। যা বুধবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মধ্যবর্তী অংশে। বুধ, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার প্রবল ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে ওইসব এলাকায়। পুরী লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আর এ কারণেই তড়িঘড়ি ‘ডেঞ্জার অ্যালার্ট’ জারি করেছে ওড়িশা প্রশাসন।
আগামী ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে প্রচুর বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস। বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে ওড়িশার পুরী, গঞ্জাম, জগৎসিংহপুর এবং ভদ্রক জেলায়।
গোপালপুর, পারাদ্বীপ এবং ধর্ম পোর্টে ‘ডেঞ্জার সিগনাল-১’ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত রিলিফ কমিশনার পদ্মনাভ বেহারা। এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘এক্সট্রিমলি আর্জেন্ট। অবিলম্বে গোপালপুর, পারাদ্বীপ এবং ধর্ম পোর্টে সতর্কবার্তা জারি করতে হবে।’
এদিকে ওড়িশার স্পেশাল রিলিফ কমিশনার ডিকে সিং ১৪টি জেলার স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুধবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন। গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর. কেন্দাপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানল, জজপুর, আঙ্গুল, খোরধা, নয়াগড় এবং কটকে স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আইএমডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে। যা ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া আইএমডি আপডেট অনুযায়ী, পারাদ্বীপ থেকে এই ঘূর্ণিঝড় ৭০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
সাগর দ্বীপ থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
স্থানীয় আবহওয়াবিদরা বলছেন, এই ঘূর্ণাবর্ত পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৩ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর সেটি অগ্রসর হবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। ২৪ অক্টোবর রাতে সেটি পরিণত হবে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে। ২৫ অক্টোবর সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। সূত্র: এই সময়
আরটিভি/একে/এসএ
তসলিমা নাসরিনের ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত
নির্বাসিত বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআই।
এর আগে, গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগামাধ্য ও মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে বার্তা দিয়েছিলেন তসলিমা।
বার্তায় তিনি বলেছিলেন, প্রিয় অমিত শাহ জী নমস্কার। আমি ভারতে বসবাস করছি, কারণ আমি এই মহান দেশকে ভালোবাসি। গত ২০ বছর ধরে এই দেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু গত ২২ জুলাইয়ের পর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমার রেসিডেন্স ভিসার মেয়াদ আর বাড়ায়নি। আমি খুবই উদ্বেগ বোধ করছি। আপনি যদি আমাকে এই দেশে থাকতে দেন, আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ থাকব।
এক্সে তসলিমার এই পোস্টের পর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং এ ব্যাপারে তাকে অবহিত করার পর মঙ্গলবার এক এক্স বার্তায় অমিত শাহ ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। সেই পোস্টে তিনি বলেছেন, অসংখ্য, অজস্র ধন্যবাদ।
গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমকে তসলিমা নাসরিন বলেছিলেন, তার রেসিডেন্স ভিসার মেয়াদ গত ২২ জুলাই উত্তীর্ণ হয়ে গেছে এবং তারপর থেকে আর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। তিনি আরও বলেছিলেন, ভিসার মেয়াদ বা রেসিডেন্সি পারমিট না বাড়ানো হলে খুবই বিপদে পড়বেন তিনি। কারণ এই মূহূর্তে তার অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে। বহুল আলোচিত ‘লজ্জা’ উপন্যাসে কট্টর ইসলামপন্থার কঠোর সমালোচনা করার অভিযোগে ১৯৯৪ সালে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার, সেই সঙ্গে তাকে দেশ ছাড়তেও বাধ্য করা হয়। ১৯৯১ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার জেরে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর সংঘটিত নির্যাতন ছিল লজ্জা উপন্যাসের মূল উপজীব্য।
বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পরবর্তী ১০ বছর সুইডেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন তসলিমা নাসরিন। এই সময়সীমার মধ্যে সুইডেনের নাগরিকত্বও নেন তিনি। ২০০৪ সালে কলকাতায় ফেরেন তিনি।
কিন্তু ২০০৭ সালে তাকে ভারত থেকে বিতাড়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে কলকাতার কট্টরপন্থি মুসলিমরা। পরিস্থিতি শান্ত করতে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্য সরকার তসলিমাকে কলকাতা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। সে সময় কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে চলে যান তিনি এবং সেখানে কয়েক মাস থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ বছর অবস্থানের পর ২০১১ সালে ফের নয়াদিল্লি ফিরে আসেন তসলিমা। তারপর থেকে সেখানেই থাকছেন তিনি।
আরটিভি/একে/এআর
ভারতে একদিনে ৫৪ বাংলাদেশি আটক
ভারতে একদিনে পৃথক পৃথক সীমান্ত এলাকা থেকে ৫৪ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্যটির পুলিশ ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ), যা পশ্চিবঙ্গের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।
সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে আসার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় প্রকাশ্যে না আনলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন সময় ভারতে কাজের সন্ধানে এসেছিলেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তথ্য মতে, ওসি মহম্মদ খুরশিদ আলমের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মুর্শিদাবাদ জেলায় দিবাগত রাতে গোপন অভিযান চালায়। এরপরই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন রানিতলা থানার অন্তর্গত নশিপুর গ্রাম থেকে ৪১ জন বাংলাদেশিকে আটক করেন পুলিশ।
ধৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আদালতে তোলা হয়। কি কারণে তারা অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে চায়। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
অপর একটি ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনা ভোমরা ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত সংলগ্ন সরুপনগর এলাকা থেকে ১৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ। বাহিনীর দাবি, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিথারী তাড়ালী ও কৈজুরী বিওপি এলাকা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের করেছিল তারা। বাহিনীর ১৪৩ নম্বর ব্যাটিলিয়নের সদস্যরা তাদের আটক করেছেন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ৭ শিশু, ৪ নারী এবং দু’জন পুরুষ। ধৃতরা প্রত্যেকে সাতক্ষীরা বাসিন্দা। ধৃতদের বসিরহাট আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরটিভি/একে/এআর