জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে গত মাসে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৈরি ধারণা ও তাদের সব অনুমান মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাক আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
সোমবার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাক আইএসপিআর প্রধান খাইবার-পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন রোববার (২৫ মে)। সেখানে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘাতে নিজেদের ঐক্যের বিজয় হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানি জাতি এবং তার সশস্ত্র বাহিনী সর্বদা বহিরাগত হুমকির মুখে একসঙ্গে দাঁড়িয়েছে এবং আগামীতেও দাঁড়াবে। ভারত ভেবেছিল, তারা আক্রমণ করবে আর পাকিস্তান কোনও প্রতিক্রিয়া জানাবে না। কিন্তু, তোমরা দেখেছো, কীভাবে তোমরা সবাই তোমাদের দেশের জন্য দাঁড়িয়েছিলে। সমগ্র পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং সর্বশক্তিমানের কৃপায় এই লৌহ প্রাচীরটি তৈরি হয়েছিল।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সময়োপযোগী এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়ায় নরেন্দ্র মোদির তৈরি করা ধারণাসহ ভারতের সমস্ত অনুমান সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তান সেনাপ্রধান (সিওএএস) ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনির ২৬টি ভারতীয় অবস্থান লক্ষ্য করে প্রতিশোধ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজাদ কাশ্মীরের (এজেকে) মুজাফফরাবাদে সাত বছর বয়সী শিশু ইরতাজাকে হত্যার জন্য ভারতীয় ইউনিটের ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করে দিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের আইএসপিআরপ্রধান এ সময় আরও বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী সব সময় আন্তর্জাতিক আইন এবং নিয়ম মেনে চলে। আমরা শান্তিপ্রিয়। তবে, আমরা ভারতকে সতর্ক করে দিয়েছি, এই ধরনের আগ্রাসনের পুনরাবৃত্তি হলে আরও কঠিন জবাব দেওয়া হবে।
পাকিস্তানে সংঘটিত সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে এরপর তিনি বলেন, পাকিস্তানসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং অর্থায়ন করছে ভারত। মসজিদে হামলা এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যায় যারা জড়িত, ইসলাম বা খাইবার পাখতুনখোয়া বা পশতুন সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর