• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১
logo
ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে যা লিখলেন ট্রুডো
ট্রাম্পকে বাইডেনের অভিনন্দন 
১৩২ বছরের রেকর্ড ভাঙা কী চাট্টিখানি কথা? কিন্তু সেটিই করে দেখিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে তিনি লিখেছেন নতুন ইতিহাস। এ অবস্থায় পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  এক ফোনকলের মাধ্যমে তিনি ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাকে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে আলাপের জন্য হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। খবর এপি’র। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিগগিরই ট্রাম্প ও বাইডেন বৈঠকের দিনক্ষণ জানানো হবে। এদিকে, নির্বাচনের ফল ও ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে বাইডেনের। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে হোয়াইট হাউজে জায়গা করে নিয়েছিলেন বাইডেন। এবারের নির্বাচনেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল, তবে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর দলের পরামর্শে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তার বদলে ডেমোক্রেটদের প্রার্থী হন বর্তমান সরকারে তার ডেপুটি কমলা হ্যারিস। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেরে ওঠেননি তিনি।  আরটিভি/আইএম
ট্রাম্পের জয় ও অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ
ট্রাম্পকে কমলার অভিনন্দন
কবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ট্রাম্প
ইলন মাস্ক রিপাবলিকান পার্টির ‘নতুন তারকা’: ট্রাম্প
মার্কিন নির্বাচনে জয়ী হয়ে রেকর্ড গড়লেন দুই মুসলিম নারী
মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে পুনরায় নির্বাচিত হলেন দুই মুসলিম নারী। এর মধ্যে রাশিদা তালিব চতুর্থ মেয়াদে এবং ইলহান ওমর তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হয়েছেন। বুধবার (৬ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসের নারী সদস্য রাশিদা তালেব। তিনি ডিয়ারবর্নের বৃহৎ আরব-আমেরিকান সম্প্রদায়ের সমর্থনে মিশিগানের প্রতিনিধি হিসাবে চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হয়েছেন। তিনি রিপাবলিকান জেমস হুপারকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। আর ইলহান ওমর সোমালি আমেরিকান। তিনি মিনেসোটাতে তৃতীয় মেয়াদের জন্য পুনরায় জয়ী হন। তার অধীনস্ত শহরের মধ্যে মিনিয়াপোলিস এবং বেশ কয়েকটি শহরতলিও রয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার কঠোর সমালোচক রাশিদা। সম্প্রতি ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে তার অবস্থানের জন্য সমর্থন দিতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি। ইলহানও গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের একজন কড়া সমালোচক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা একটি পোস্টে জয়ের জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইলহান। তিনি লিখেছেন, আমাদের কঠোর পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আমরা ১ লাখ ১৭ হাজার ৭১৬টি দরজায় কড়া নেড়েছি। আমরা ১ লাখ ৮ হাজার ২২৬টি ফোনকল করেছি এবং ১ লাখ ৪৭ হাজর ৩২৩টি বার্তা পাঠিয়েছি। এই বিজয় যারা সুন্দর ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় আস্থা রেখেছে তাদের সবার। রাশিদা-ইলহান দুজনই আইনপ্রণেতাদের একটি গোষ্ঠী ‘দ্য স্কোয়াড’ এর সদস্য। এই সংগঠনে আলেকজান্দ্রা ওকাসিও-কর্তেজসহ অন্যান্য প্রগতিশীল কংগ্রেস সদস্যরাও রয়েছেন। আরটিভি/একে/এসএ
স্ত্রীর প্রতি ট্রাম্পের আবেগঘন বক্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে ফ্লোরিডায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে ভাষণ দেওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় মঞ্চের পাশে দাঁড়ানো স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে জড়িয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প।  ডায়েসে ফিরে মেলানিয়াকে ফার্স্ট লেডি বলে সম্বোধন করে ধন্যবাদ জানান তিনি। একই সঙ্গে মেলানিয়া ট্রাম্পের লেখা বইয়ের প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বই রয়েছে তার। সম্প্রতি মেলানিয়ার লেখা স্মৃতিকথামূলক একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম ‘মেলানিয়া’। বইটিতে তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা অজানা কথা উঠে এসেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি (মেলানিয়া) দুর্দান্ত কাজ করেছেন। মানুষকে সাহায্য করার জন্য অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেন তিনি। এ সময় নিজের সন্তানদেরও ধন্যবাদ জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রত্যেক সন্তানের নাম উল্লেখ করে তারা আমার চমৎকার সন্তান। ট্রাম্পের ভাষণের সময় পাম বিচের জড়ো হওয়া জনতা ‘আমেরিকা’, ‘আমেরিকা’ স্লোগান দেন। সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, প্রত্যেক দিন আমি আপনারদের জন্য লড়াই করে যাব। গত জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় গুপ্তহত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি একটি মাত্র কারণে গুপ্তহত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে গেছি। জনতাকে তিনি বলেন, তার জীবন একটি কারণে রক্ষা পেয়েছে, সেটি হলো দেশকে রক্ষা করা। ট্রাম্প বলেন, তিনি হোয়াইট হাউসে প্রত্যেকের জন্য লড়াই করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং রক্ষা করাই হবে তার সরকার পরিচালনার মূলনীতি বলেও ঘোষণা দেন তিনি। আরটিভি/একে/এসএ
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাঙলেন ১৩২ বছরের রেকর্ড
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে শেষ পর্যন্ত রাজকীয় প্রত্যাবর্তনই হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ১৩২ বছরের এক রেকর্ড ভাঙলেন ট্রাম্প। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল ভোটের ল্যান্ডমার্ক পার করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলাকে পরিষ্কার ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সিনেটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হয়ে গেছে তার দল রিপাবলিকান পার্টির। দারুণ এ জয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠেছে রিপাবলিকান শিবির।  অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পকে ভালোই টক্কর দিচ্ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা। বড় স্টেটগুলোতে জিতে হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধারের দৌড়ে থাকা সাবেক প্রেসিডেন্টের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিলেন ডেমোক্র্যাটদের নারী কাণ্ডারি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুইং স্টেটের ফলাফলই কমলাকে ছিটকে দিলো দৌড় থেকে। নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া ও পেনসিলভানিয়া জয়ের পর মিশিগান এবং উইসকনসিনেরও ইলেকটোরাল ভোট ঝুলিতে পুরে জয় নিশ্চিত করলেন ট্রাম্প। সবশেষ আপডেট অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল ভোটের বিপরীতে ইতোমধ্যে ২৭৭ ভোট পেয়ে গেছেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২২৬টি ভোট। খবর ফক্স নিউজের।  ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কের মতো বড় রাজ্যগুলোতে জিতে রিপাবলিকান শিবিরে কিছুটা ভয়ের সঞ্চার করতে সক্ষম হলেও ব্যবধান গড়ে দিলো সাত সুইং স্টেটের ভোট, যেখানে নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া ও পেনসিলভানিয়ার পর মিশিগান এবং উইসকনসিনেও জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। অন্য দুই সুইং স্টেট অ্যারিজোনা ও নেভাদায় ভোটগ্রহণ এখনও চলছে, যেখানে ট্রাম্পই জয় পেতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।  এদিকে মিশিগান ও উইসকনসিনের ফলাফল নিশ্চিত হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে ফ্লোরিডায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে ভাষণ দেওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন তিনি। খবর বিবিসির।  ফ্লোরিডায় নিজের প্রচার শিবিরের সদর দপ্তরে সমর্থকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা আমাদের একটি অভূতপূর্ব এবং শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে। জনতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একদিন তারা (দেশের মানুষ) এই দিনের দিকে ফিরে তাকাবে এবং এই দিনটিকে “নিজেদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে একটি দিন” হিসেবে বিবেচনা করবে। জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে তিনশোরও বেশি ভোট পেতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন একজনই; গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। ১৮৮৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৮৮৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। কিন্তু সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী বেঞ্জামিন হ্যারিসনের কাছে হেরে যান ক্লিভল্যান্ড। পরবর্তীতে ১৮৯২ সালে আবার নির্বাচনে অংশ নেন। হ্যারিসনকে হারিয়ে আবারও হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় বসেন ক্লিভল্যান্ড। আমেরিকার ২২তম ও ২৪তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।  মূলত, বাইডেনের চার বছরের শাসনামলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কর্মসংস্থানের সংকট সৃষ্টির পাশাপাশি অব্যাহত মূল্যস্ফীতির কারণে পড়ে গেছে জীবনযাত্রার মান। অন্যদিকে, বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও অভ্যন্তরীণ কিছু নীতির কারণেও সেখানকার মুসলমান নাগরিকরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন ডেমোক্র্যাটদের প্রতি। বাইডেন প্রশাসনের বিগত দিনের ভুলগুলোর খেসারতই কমলাকে দিতে হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আরটিভি/এসএইচএম
মার্কিন নির্বাচন: কংগ্রেসে প্রথম রূপান্তরকামী সদস্য
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের পাশাপাশি ৩৩ জন সিনেটরের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে আমেরিকায়। প্রথম রূপান্তরকামী সদস্য নির্বাচিত হলেন সারাহ ম্যাকব্রাইড। গোটা পৃথিবীর চোখ এখন আমেরিকার দিকে। কমলা হ্যারিসকে টপকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের ক্ষমতা নির্ধারিত হবে সিনেটে এবং কংগ্রেসে তাদের পক্ষে কত ভোট আছে তার উপরে। অনেক সময়েই দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট যে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন, সিনেট এবং কংগ্রেস তা আটকে দিচ্ছে। ফলে সিনেট এবং কংগ্রেসের নির্বাচন প্রক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাচনের পাশাপাশি ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভের ৩৩ জন সিনেটরের। এই ৩৩ জন সিনেটরের উপর নির্ভর করবে হাউসে রিপাবলিকানদের পাল্লা ভারী হবে, না কি ডেমোক্র্যাটদের। প্রাথমিক ভোট গণনার পর একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে। সিনেট এবং কংগ্রেস দুই জায়গাতেই রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের থেকে অনেকটা এগিয়ে আছে। সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২। রিপাবলিকানদের সংখ্যা সেখানে ৫১। হাউসে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা ১৬৩। রিপাবলিকান ১৮৭। তবে ডেলাওয়্যার রাজ্য থেকে বিপুল ভোট জয়ী হয়ে কংগ্রেসের সদস্য হচ্ছেন প্রথম রূপান্তরকামী ব্যক্তি সারাহ। রাজ্যবাসীকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বস্তুত, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে রূপান্তরকামীদের সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন। তারপরেও তার এই জয় নিঃসন্দেহে আমেরিকার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সিনেটে নির্বাচনের পদ্ধতি প্রতি দুবছরে হাউসের মেম্বাররা নির্বাচিত হন। ২০২২ সালে শেষ মধ্যবর্তী নির্বাচন হয়েছিল। সে সময় হাউসে ডেমোক্র্যাটেরা রিপাবলিকানদের থেকে সংখ্যায় সামান্য বেশি ছিলেন। মার্কিন সিনেটে প্রতিটি রাজ্য থেকে দুই জন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। রাজ্যের আয়তন যত বড় বা ছোটই হোক না কেন! ১০০ জন সিনেটর ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হন। তবে এই সিনেটরদের মধ্যে আবার তিন রকমের ভাগ থাকে। এক-তৃতীয়াংশ সিনেটরকে দুই বছর পর পর নির্বাচনে লড়তে হয়। এবছর যারা ভোটে লড়ছেন, তারা প্রথম শ্রেণির সিনেটর। ২০১৮ সালে ট্রাম্পের রাজত্বে তারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে এই ৩৩ জন সিনেটরেরও নির্বাচন হচ্ছে। এবং তাদের উপর নির্ভর করবে সিনেটে কোন দল শক্তিশালী হবে। ফলাফলের ট্রেন্ড বলছে, সিনেটে রিপাবলিকানদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে। মার্কিন সংবিধানে সিনেট এবং হাউসের নির্বাচনে এই বৈচিত্র রাখা হয়েছে একটাই কারণে, ক্ষমতা যাতে কেন্দ্রিভূত না হয়। বিরোধীদের শক্তিও যাতে অটুট থাকে হাউসে। বিভিন্ন সময় ছোট ছোট করে এই নির্বাচনগুলি হওয়ার ফলে প্রেসিডেন্ট একচেটিয়া ক্ষমতা ভোগ করতে পারেন না। অনেক সময়েই দেখা যায়, যে দলের প্রেসিডেন্ট তার বিপক্ষ দলের প্রতিনিধিদের সংখ্যা কংগ্রেসে বেশি। আবার সিনেট এবং কংগ্রেসের মধ্যেও এই বৈচিত্র দেখা যায়। ফলে কোনো সিদ্ধান্তই এক তরফা নেওয়া যায় না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত চার বছরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একাধিকবার অস্ত্র আইন সংস্কারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হাউসের বিরোধিতায় শেষ পর্যন্ত তা তিনি করতে পারেননি। খেয়াল রাখতে হবে, হাউসে রিপাবলিকানদের প্রতিনিধিত্ব বেশি থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত পাশ হয়নি। অতীতে এমন আরো অসংখ্য উদাহরণ আছে। এখন যে ৩৩টি আসনের ফলাফল জানা যাবে, তার মধ্যে ১৯টি আসন ছিল ডেমোক্র্যাটদের দখলে। চারটি আসন ছিল নির্দল প্রার্থীদের কাছে। এই নির্দল প্রার্থীরা অধিকাংশ সিদ্ধান্তেই ডেমোক্র্যাটদের পাশে ছিলেন। অনেকেই মনে করছেন, এই ১৯টি আসন ডেমোক্র্যাটেরা ধরে নাও রাখতে পারেন। আসন কমতে পারে নির্দল প্রার্থীদেরও। সে ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারে রিপাবলিকানরা। আরটিভি/এএইচ
ট্রাম্পের ঐতিহাসিক জয়
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন হয়েছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ১৩২ বছরের এক রেকর্ড ভেঙেছেন ট্রাম্প। প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রয়োজন হয় ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ইতোমধ্যে ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প ২৭৭টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন। ফলে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসের দখল পাচ্ছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে সিনেটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হয়ে গেছে তার দল রিপাবলিকান পার্টির। দারুণ এ জয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠেছে রিপাবলিকান শিবির। সবশেষ আপডেট অনুযায়ী, ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোটের বিপরীতে ইতোমধ্যে ২৭৭ ভোট পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২২৬টি ভোট। খবর ফক্স নিউজের। সাত সুইং স্টেটের ভোট, যেখানে নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া ও পেনসিলভানিয়ার পর মিশিগান এবং উইসকনসিনেও জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। অন্য দুই সুইং স্টেট অ্যারিজোনা ও নেভাদায় ভোটগ্রহণ এখনও চলছে, যেখানে ট্রাম্পই জয় পেতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিশিগান ও উইসকনসিনের ফলাফল নিশ্চিত হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে ফ্লোরিডায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে ভাষণ দেওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন তিনি। খবর বিবিসির। ফ্লোরিডায় নিজের প্রচার শিবিরের সদর দপ্তরে সমর্থকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা আমাদের একটি অভূতপূর্ব এবং শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে। জনতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একদিন তারা (দেশের মানুষ) এই দিনের দিকে ফিরে তাকাবে এবং এই দিনটিকে ‘নিজেদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে একটি দিন’ হিসেবে বিবেচনা করবে। জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে তিনশোর বেশি ভোট পেতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন একজনই; গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। ১৮৮৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৮৮৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। কিন্তু সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী বেঞ্জামিন হ্যারিসনের কাছে হেরে যান ক্লিভল্যান্ড। পরবর্তীতে ১৮৯২ সালে আবার নির্বাচনে অংশ নেন। হ্যারিসনকে হারিয়ে আবারও হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় বসেন ক্লিভল্যান্ড। আমেরিকার ২২তম ও ২৪তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। মূলত, বাইডেনের চার বছরের শাসনামলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কর্মসংস্থানের সংকট সৃষ্টির পাশাপাশি অব্যাহত মূল্যস্ফীতির কারণে পড়ে গেছে জীবনযাত্রার মান। অন্যদিকে, বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও অভ্যন্তরীণ কিছু নীতির কারণেও সেখানকার মুসলমান নাগরিকরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন ডেমোক্র্যাটদের প্রতি। বাইডেন প্রশাসনের বিগত দিনের ভুলগুলোর খেসারতই কমলাকে দিতে হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পকে ভালোই টক্কর দিচ্ছিলেন। বড় স্টেটগুলোতে জিতে হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধারের দৌড়ে থাকা সাবেক প্রেসিডেন্টের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিলেন ডেমোক্র্যাটদের নারী কাণ্ডারি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুইং স্টেটের ফলাফলই কমলাকে ছিটকে দিলো দৌড় থেকে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে শুরু হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। আরটিভি/এফএ/এসএ
ট্রাম্পের জয়, যেভাবে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় চীন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন তিনি। তার এমন ঘোষণার পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তবে, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ট্রাম্পকে এখনও অভিনন্দন না জানালেও নতুন মার্কিন সরকারের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’ আশা করে চীন। বুধবার (৬ অক্টোবর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং উইন-উইন (জয়-জিত) সহযোগিতার নীতির ভিত্তিতে চীন-মার্কিন সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাব। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমাদের নীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ। চীনের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মাও নিং বলেন, আমরা আমেরিকান জনগণের পছন্দকে সম্মান করি। মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পর আমরা স্বাভাবিক অনুশীলনের মাধ্যমেই পরস্পরের মধ্যকার বিষয়গুলো পরিচালনা করব।  ২০১৬ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন চীনা পণ্য আমদানির ওপর অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এবারও তিনি চীনের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াবেন। এদিকে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে মোট ৫১৪টি ইলেকটোরাল ভোট। জেতার জন্য ২৭০টি ভোটের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে ২৬৭টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। আর কমলা পেয়েছেন ২২৪ ভোট। হােয়াইট হাউসের সিংহাসনে বসতে বিজয়ের একেরারি দ্বারপ্রান্তে ট্রাম্প। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পরপর তিনটি নির্বাচনে লড়াই করে প্রথম এবং তৃতীয় দফায় জয় পাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি হতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ১৮৯২ সালে একই কীর্তি দেখিয়েছিলেন দেশটির ২২তম প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ট্রাম্প। আরটিভি/আরএ
শুধু ইলেক্টোরালই নয়, এবার পপুলার ভোটেও জয়ী ট্রাম্প
ইলেক্টোরাল ভোটে বড় ব্যবধানে জিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এ খবর ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছে বিশ্বের প্রতিটি কোণায়। এবার জানা গেল, শুধু ইলেক্টোরাল ভোটই নয়, পপুলার বা জনসাধারণের ভোটেও নিজের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে তিনি। সিএনএন, ফক্স নিউজসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এ ব্যবধান অর্ধ কোটিরও বেশি।  যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজ নামের একটি বিশেষ নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটের মাধ্যমে। আবার ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট নির্ভর করে সাধারণ ভোটারদের ভোটের ফলাফলের ওপর। এই ভোটকেই বলা হয় পপুলার ভোট। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে মোট ৫১৪টি ইলেক্টোরাল ভোট আছে, যেখানে ২৭৭টি ভোট এরই মধ্যে চলে গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঝুলিতে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেছে তার হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনও। বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস আটকে গেছেন ২২৬ ভোটে। বাকি যে কয়টি ভোট বাকি আছে সেগুলোও ট্রাম্পের ঝুলিতেই যাচ্ছে, তা অনেকটাই নিশ্চিত।  সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, ইলেক্টোরাল ভোটের পাশাপাশি পপুলার ভোটেও কমলার চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। তিনি পেয়েছেন ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার ১০৬টি ভোট, আর কমলা পেয়েছেন ৬ কোটি ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮টি ভোট। অর্থাৎ কমলার চেয়ে ৫২ লাখ ৭০ হাজার ৭২৮ ভোট বেশি পেয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এই প্রথম এমন ঘটল। ২০১৬ সালের যে নির্বাচনে নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন তিনি, সেবার ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে এগিয়ে থাকলেও পপুলার ভোটে বেশ পিছিয়ে ছিলেন। হিলারির সঙ্গে তার প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ছিল ৩০ লাখেরও বেশি। আরটিভি/এসএইচএম