মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশনকে আইনি সহায়তা দিতে ঢাকা থেকে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সহকারী সচিব মো. মফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিদপ্তরের স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজর (অ্যাটর্নি জেনারেল এর সমমর্যাদার সুবিধাদি প্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট মো. এহসানুল হক সমাজীকে এ বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিকে জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় প্রসিকিউশনকে আইনি সহায়তা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিউকিউটর অ্যাডভাইজর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে তিনিও অংশ নেন।
শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মামলার অভিযোগপত্র, মূল আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীসহ অন্যান্য নথির ওপর ভিত্তি করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/২ ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধ), শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশ (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
আলোচিত এই মামলায় চারজনকে আসামি করে ৮ মার্চ শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে (৪৭) প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ (১৯), সজীব শেখের ছোট ভাই রাতুল শেখ (১৭) ও সজীবের মা রোকেয়া বেগমকে (৪০) আসামি করা হয়েছে। তারা চারজনই বর্তমানে কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৬ মার্চ শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেনটি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় গেল ১৩ এপ্রিল জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদনে মামলায় চার আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়।
আরটিভি/একে/এআর