জীবনকে সুস্থ রাখতেই প্রয়োজন হাত ধোয়া
হাত পরিষ্কার থাকলে রক্ষা পাবে জীবন, এই সূত্রটি বর্তমানে প্রমাণিত। অদৃশ্য করোনাভাইরাস আসার পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা দেন হাত পরিষ্কার করতে হবে ২০ সেকেন্ড সময় ধরে, তাহলে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
বিশ্বহাত ধোয়া দিবস প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর তারিখ বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে। জনসাধারণের মধ্যে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে রোগের বিস্তার রোধ করার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার উদ্দেশ্যে এই দিবসটি পালন করা হয়।
সাবান দিয়ে হাতধোয়ার বৈশ্বিক এবং স্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করার জন্য বিশ্ব হাত ধোয়া অংশীদার (GHP)। ২০০৮ সালে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস হিসবে চালু হয়।
বিশ্ব হাতধোয়া দিবসের মূল লক্ষ্য হলো,
১. সমাজের সব স্তরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার একটি সাধারণ সংস্কৃতির সমর্থন ও প্রচলন করা। ২. প্রতিটি দেশে হাত ধোয়ার বিষয়ের নজর দেয়া। ৩. সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
হাত পরিষ্কার করার অভ্যাস প্রত্যেকটি মানুষের থাকা দরকার। জীবনকে সুস্থতার জন্যই জরুরি হাত ধোয়া। তবে মানুষের মাঝে হাত ধোয়া প্রবণতা খুব কম দেখা যায়। যা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য কখনও কাম্য নয়। প্রতিটি কাজের পর হাত ধোয়া খুব জরুরি প্রয়োজন। খাওয়ার শুরুতে হাত ধোয়া দরকার, ঠিক তেমনি খাবার বানাতে বা পরিবেশন করতেও হাত ধোয়া জরুরি। খাবার বা যে কোনও কাজ শেষ করার পর হাত ধোয়া এবং হাত ধুয়ে মোছার তোয়ালেটাও পরিষ্কার থাকা উচিত। এখন সাবান সহজলভ্য। তাই মাটি বা ছাই নয় অবশ্যই সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত ধোয়া উচিত সবার।
যে কোনো রোগ প্রতিরোধে হাত ধোয়ার ভূমিকা এখন শুধু হাসপাতালে সীমাবদ্ধ নয়, বরং স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রেস্তোরাঁ সবস্থানেই স্বীকৃত। হাত ভালোভাবে না ধুয়ে খাদ্য খেলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে।
যে সয়ম হাত ধোয়া উচিত:
১. খাওয়ার আগে
২. অসুস্থ কারও সেবা করার আগে এবং পরে
৩. খাবার তৈরি কারার আগে ও পরে
৪. পায়খানা প্রস্রাবের পরে
৫. শিশুর ডায়পার বদলানো বা পায়খানা পরিষ্কারের পর
৭. দেহের কাটাছেঁড়া বা ক্ষতের চিকিৎসা করার আগে এবং পরে
৮. পোষা জীবজন্তুর খাবার ধরার পরে
৯. বাহির থেকে কাজ শেষ করে ঘরে প্রবেশ করার আগে
১০. নাক ঝাড়া বা কফ ফেলা এবং হাঁচি দেবার পরে
১১. আবর্জনা ধরার পরে
১২. যে কোন জিনিসে হাত দেওয়ার পর
কোন উপায়ে হাত ধোয়া উচিত
১. পরিষ্কার পানিতে হাত ভেজাতে হবে সাবান দিয়ে
২. দুহাত ঘষে ফেনা তৈরি করতে হবে, আঙ্গুলের ফাকে, নখের মাঝে পরিষ্কার করা
৩. ২০ সেকেণ্ড সময় ধরে হাত পরিষ্কার করা
৪. পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে
হাত ধোয়ার কারণে যে কোন রোগ জীবাণু থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যায়। সুন্দর জীবন, শান্তির পড়ন্ত ভাবনা কে ভালো রাখার মন্ত্র হলো বেশি বেশি হাত পরিষ্কার রাখুন সুস্থ থাকুন।
জিএম/ এমকে
মন্তব্য করুন