শতভাগ শারীরিক ফিট স্বামীই পছন্দ নারীদের
স্ত্রীরা স্বামীদের কাছ থেকে একটি সুস্থ-স্বাভাবিক পারিবারিক জীবন চায়। স্পষ্ট করে বললে স্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক চায়।কিন্তু যখন এই সম্পর্কে অস্বাভাবিকতা তৈরি হয় তখনই পরকীয়াসহ অসামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। যে কারণে হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে প্রবাসীর স্ত্রীরা পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ছেন। এমনকি সন্তান নিয়েও ঘর ছাড়ছেন পরকীয়ার প্রেমিকের সঙ্গে।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিয়ের পর যৌনতা সবচে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারো মনোযোগ আকর্ষণ করে ঘর বাঁধা যায়, কিন্তু শারীরিক সম্পর্ক ভালো না হলে সে সম্পর্ক মধুর হয়ে উঠে না।
তারা আরও বলছেন, যৌনতার দিক থেকে যে সঙ্গী বেশি আকর্ষণীয় তাদের সঙ্গে সুখী সংসার করতে নারীরা বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করেন। সেক্ষেত্রে অন্য অনেক দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকলেও দিব্যি সংসারটা চলে যায়। কিন্তু যৌন ব্যাপারে উদাসীন হলে সংসার চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন স্ত্রী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করার জন্য যৌনতা সবচে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যৌনতার ফলে সম্পর্ক অনেক গাঢ় হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে সঙ্গী একাকীত্বে ভুগতে পারেন, এমনকি স্বামীকে ছেড়ে চলেও যেতে পারেন। স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়ে ফেললে তার প্রতি ভালোবাসা যেমন কমে যায়, এমনকি ওই নারী তার স্বামীকে অনেক সময় বিশ্বাসও করে না।
বিশেষষজ্ঞরা সে কারণে বারবার গুরুত্ব দেন সম্পর্কটা আরও গাঢ় করার ব্যাপারে। তারা পরামর্শ দেন, স্ত্রীকে নিজের সামর্থ্যটা দেখানো। কারণ, একজন নারী যেমন নিরাপত্তা চায়, তেমনি চায় শারীরিক শক্তিসম্পন্ন পুরুষ। এছাড়া স্ত্রীকে বেশি বেশি সময় দিলেও সম্পর্ক ভালো থাকে। এটা অনেকটা গাছের যত্ন নেওয়ার মতো। তার সঙ্গে হাস্যেজ্জ্বলভাবে কথা বলতে হবে। কথা বলার সময় যেন আপনাকে আত্মবিশ্বাসী দেখায়। কারণ ভীরু স্বভাবের পুরুষকে তেমন পছন্দ করে না নারীরা। তারা চায় সঙ্গীর প্রতি যেন আস্থা রাখা যায়।
-
আরও পড়ুন : শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর প্রাপ্য অধিকার
তাছাড়া সম্পর্ক ভালো রাখতে হলে সবসময় সৎ থাকা প্রয়োজন। কারণ, একবার বিশ্বাস ভেঙে গেলে নারীরা আর তাকে পছন্দ করে না। স্ত্রীর বিশ্বাসের অমর্যদা করলে তাকে সুখী রাখা যাবে না। সংসার সুখের রাখতে চাইলে বিষয়টি মাথায় রেখে চলা দরকার।
জীবনে কোনও পরিকল্পনা নেওয়ার সময় স্ত্রীর পরামর্শ চান। এমনকি রাতে কী করবেন তার কাছে পরামর্শ চাইতে পারেন। নিজে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেই কাজটি করতে পারেন। এতে স্ত্রী সন্তুষ্ট থাকবে। সংসার সুখের হবে।
সূত্র: এবেলা
জেবি
মন্তব্য করুন