ঢাকারোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

শিশুর দুধদাঁতের যত্নে করণীয়

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ , ০১:০০ পিএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দেওয়া জরুরি। আর নবজাতক শিশুর ক্ষেত্রে এ কথাটার গুরুত্ব অনেক বেশি। ছোট্ট সোনামনির দাঁত ও মাড়ির যত্নে অবহেলার কারণে দেখা দিতে পারে অনেক রকমের সমস্যা। শিশুর চোয়ালের গঠন, আকৃতি, স্থায়ী দাঁত সঠিকভাবে বের হওয়ার বিষয়টিও শিশুর দুধদাঁতের ওপর নির্ভরশীল। তাই শিশুর দাঁত ওঠার আগে ও পরে চাই যত্ন আর নিবিড় পরিচর্যা। 

বিজ্ঞাপন

দন্ত চিকিৎসকদের মতে, শিশুর দাঁতের যত্ন নেওয়ার সময় অবিভাবকরা বেশ কিছু ভুল করে থাকেন। যা শিশুর দাঁত সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাধা পায়।তবে শিশুর দাতেঁর যত্নে সচেতন থাকতে হবে অবিভাবকদের।

শিশুর দাঁতের যত্নে করণীয়-

বিজ্ঞাপন

  • দাঁত ওঠার আগে থেকেই নবজাতক শিশুর মুখ ও মাড়ি পরিষ্কার রাখা উচিত।
  • শিশুদের মাড়ি উঁচু হয়ে যেতে পারে ফিডারে দুধ খাওয়ালে। ফিডার ব্যবহারে শিশুর মুখে ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনও হতে পারে। তাই দুধ খাওয়ানোর পরপরই একটি আঙুলে পরিষ্কার সুতির কাপড় নিয়ে মুখ পরিষ্কার করে দিতে হবে। ফিডারের পরিবর্তে শিশুদের চামচ দিয়ে দুধ খাওয়ানোই বেশি ভালো। এ ছাড়া ফিঙ্গার ব্রাশ দিয়েও শিশুর মুখ ও দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার করে দিতে হবে।
  • শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো শেষ হলে পরিষ্কার, জীবাণুমুক্ত ও পাতলা সুতি কাপড় অথবা তুলা দিয়ে মাড়ির ওপর থেকে দুধের আবরণ পরিষ্কার করে দিন।
  • ভালো দাঁতের জন্য কিন্তু শিশুর খাওয়া-দাওয়ার ওপরেও নজর দিতে হবে৷ অতিরিক্ত মিষ্টি, চকলেট জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো৷ কারণ, মুখের লালারস দাঁত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে৷ বারবার মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে সেই সম্ভাবনাটা কমে যায়৷
  • শিশুরা যেকোনো কাজ করতেই আগ্রহী হয়। ঠিক তেমনই শিশুরা নিজে থেকে ব্রাশ করতেও বেশ আগ্রহী থাকে। কিন্তু শিশুরা আদৌ ঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করছে কি না, সেটা নজরে রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দন্ত চিকিৎসকদের মতে ছয় থেকে সাত বছর পর্যন্ত অবিভাবকরাই সেই দায়িত্ব পালন করলে সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ, শিশুরা নিজ থেকে সঠিকভাবে ব্রাশ করতে না পারলে দাঁত ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যায়। 
  • শিশুকে টিভি বা ফোন দিয়ে খাওয়আনোর অভ্যাস না করে সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে বাচ্চার চিবিয়ে খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হবে, এবং খাবার চিবিয়ে খেলে শিশুর দাঁতও মজবুত হবে।
  • শিশুদের কিছু অভ্যাসের মধ্যে একটি হলো সারাদিন মুখে আঙুল দিয়ে থাকা। এতে দাঁত উঁচু-নিচু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে শিশুর কথা বলার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যায়। শিশুর এই অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে।
  • শিশুকে নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা সেখান এবং তা খাবার গ্রহণের পর।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |