ঠান্ডায় বাচ্চাকে ঘুমানোর সময় ভারী কিছু চাপা দিচ্ছেন, যা বলছেন চিকিৎসকরা
শীতের এবার কোনও ঠিকঠিকানা নেই। তাপমাত্রা কখন কি অবস্থায় থাকবে তা বোঝার যেনো কোন সুযোগই নেই। কখনও এক ধাক্কায় চারদিকে জমে যাওয়ার মতো ঠান্ডা, কখনও আবার এমন আবহাওয়া, গরম কালকেও হার মানায়। এ আবহাওয়ায় শিশুদের অবস্থা বেশ কাহিল। সর্দি-জ্বর লেগেই আছে। এমন সময় একেবারে সদ্যোজাত শিশুদের যত্নের সময় নানা রকম চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। গোসল করানো থেকে গরম-জামা পরানো, নানা বিষয় নিয়েই বাড়ির বড়দের মনে থাকে বিভিন্ন চিন্তা। অনেক অভিভাবক জানেন না শিশুকে ঘুম পাড়ানোর নিরাপদ উপায় কী হতে পারে। অনেকেই আবার নানা রকম ভুলও করেন যা সদ্যোজাত শিশুদের জন্য অনেক বিপদেরও কারণ হতে পারে।
জেনে নিন বিষয়গুলো-
>> অনেকেই সর্দি-কাশিতে ওষুধ না দিয়ে গরম তেল মালিশ করেন। অভিভাবকদের অনেকেরই ধারণা, বুকে-পিঠে তেল মালিশ করে দিলে বুঝি সর্দি উঠে যাবে। না, তা একেবারেই নয়। এতে সর্দি কাশি ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও উপকার হয় না।
>> যারা সরিষের তেল মাখাতে চান বাচ্চাকে, তাদের মনে রাখতে হবে, সব তেল শিশু শরীরের উপযুক্ত নয়। একবার বাচ্চার র্যাশ হয়ে গেলে কষ্ট কিন্তু কমার বদলে বেড়ে যাবে।
>> প্রতিদিন গোসল করাতে না চাইলেও অল্টারনেটিভ দিনে শরীর স্পঞ্জ করা প্রয়োজন। একদম সদ্য জন্মানো শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান অনেকেই। তবে নতুন মায়েরা সবসময় দক্ষভাবে সদ্যোজাতকে গোসল করাতে পারেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুর গা স্পঞ্জ করা যেতে পারে।
>> লেপ-কম্বল চাপা দেওয়া যায় সদ্যোজাতকে? উত্তর হবে না। এতে খেয়াল না রাখলে যে কোন বিপদ ঘটতে পারে। কম্বল চাপা দিলে যদি বাচ্চার কষ্ট হয়, তাহলে সে তো মুখ ফুটে বলতে পারবে না। বরং লেপ, কম্বলের ভারে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। যাকে বলে সিট (SID : Sudden Infant Deaths)।
>> শিশুকে লেয়ারে পোশাক পরাতে হবে। অর্থাৎ বিশাল একটা মোটা কিছু না পরিয়ে একাধিক পোশাক স্তরে স্তরে পরানো যেতে পারে তাপমাত্রা অনুসারে। তাহলে কতটা ঠান্ডা পড়ল, তা ভেবেই বাচ্চাকে ভীষণ ভারী কিছু পোশাক বা জামার ওপর জামা পরিয়ে দেবেন না।
>> যিনি শিশুর যত্ন করছেন তিনিই বুঝে নেবেন শিশুর কি শীত লাগছে নাকি মোটা মোটা জামাকাপড়ের নিচে সে ঘেমে গিয়েছে। তা বুঝে জামা পরাতে হবে বা খুলে দিতে হবে।
মন্তব্য করুন