দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে যে আলু
পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি আলু খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এই আলুর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ম্যাংগানিজ মেলে উপকারী মিষ্টি আলু থেকে। স্টার্চি এই সবজি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। মিষ্টি আলু শীতকালসহ সারা বছরই পাওয়া যায়। দেখতে আলুর মতো হলেও রঙে ও স্বাদে ভিন্ন এটি। অন্যদিকে এতে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম।
চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি আলু খেলে কী কী উপকার মিলে-
- মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন আছে, যা আমাদের দেহে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। এই ভিটামিন চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে
- বিটা ক্যারোটিনের অভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বিশেষ করে শিশু এবং প্রসূতিদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়।
- মিষ্টি আলুতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- এতে কোনও ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ নেই। আঁশজাতীয় মিষ্টি আলু খেলে ক্ষুধা লাগে না সহজে। ডায়েট চার্টে তাই এটি রাখতে পারেন সহজেই।
- গর্ভবতী মায়ের জন্য মিষ্টি আলু খুবই উপকারী। এটি গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি সহায়ক।
- প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে মিষ্টি আলুতে। পটাসিয়াম হার্টের রোগ থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি মাংসপেশির যত্ন নেয়।
- মিষ্টি আলুতে থাকা ফাইবার ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
- ত্বক ও চুল ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত খান মিষ্টি আলু।
- মিষ্টি আলুতে ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা পেট, কিডনি এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
- হৃদযন্ত্র ও স্নায়ুর সুস্থতা বজায় রাখে মিষ্টি আলু।
- কলার চাইতেও বেশি পটাসিয়াম পাওয়া যায় মিষ্টি আলু থেকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা খেতে পারেন এই আলু। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
মন্তব্য করুন
রাশমিকার সৌন্দর্যের সিক্রেট
দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও, বলিউডেও তার পরিচিতি কম নয়। অল্লু অর্জুনের বিপরীতে অভিনয় করে এর আগেই নজর কেড়েছিলেন। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘গুডবাই’ ছবির হাত ধরে সম্প্রতি বলিউডেও অভিষেক ঘটেছে নায়িকার। অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন রশ্মিকা মন্দানা। রাশমিকার ফিটনেসে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তার হাজারো নারী অনুরাগীদেরও।
শুধু কি ফিটনেস! রশ্মিকার ত্বকও যথেষ্ট ঈর্ষণীয়। রূপটানহীন ত্বকেও উজ্জ্বলতার কমতি নেই তার। একটি সাক্ষাৎকারে রশ্মিকা জানিয়েছেন, ত্বক যত্নে রাখতে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বিশেষ নজর দেন। যে খাবারগুলো থেকে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যথাসম্ভব সেগুলো এড়িয়ে চলেন। তেল-মশলাদার খাবার পাতে নেন না একেবারেই।
রাশমিকা মনে করেন রোগা থাকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভেতর থেকে সুস্থ থাকা। সপ্তাহে চারদিন নিয়ম করে কিকবক্সিং, লাফদড়ি, নাচ, সাঁতার, যোগাসন করে থাকেন অভিনেত্রী। বিভিন্ন ধরনের কার্ডিও করেন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলে মাঝেমাঝে ওজন তুলতেও দেখা যায়। সবল পেশী তৈরিতেও সমান ভাবে মনোযোগী এই দক্ষিণী নায়িকা। তবে প্রতিদিন একই পদ্ধতিতে শরীরচর্চা করার পরিবর্তে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করাতেই বেশি আগ্রহী তিনি।
শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করতে ভোলেন না রাশমিকা। নিয়মিত রূপচর্চার জন্য আলাদা করে সময় বের করে নেন। ত্বক ভালো রাখতে বারোমাস সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও নিয়ম করে ত্বকে ভিটামিন সি সিরাম লাগাতে ভোলেন না। ত্বক ভালো রাখতে ময়শ্চারাইজার যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিদিনের রূপরুটিনে নিজেও ময়েশ্চারাইজার রাখেন। শুটিংয়ের পর অনেকটা সময় নিয়ে মেকআপ তোলেন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সঠিক নিয়মে ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং করেন নায়িকা।
এ ছাড়াও ত্বকের যত্নে রাশমিকা ভরসা রাখেন ঘরোয়া টোটকার ওপর। ঠাকুমার বলে দেওয়া ফেস প্যাকেই ভরসা রাখেন নায়িকা। ভাত চটকে তার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নেন ফেস প্যাক। ত্বকের যত্ন নিতে তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকেন। শাকসবজি, ফলের মতো খাবার বেশি করে খান তিনি।
রাশমিকা তার এই নির্মেদ চেহারা ধরে রাখতে শুধু যোগাসন বা নিয়ম করে ব্যায়ামই করেন না, পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে খাওয়াদাওয়াও করে থাকেন। দক্ষিণী এই অভিনেত্রী তার সকাল শুরু করেন এক গ্লাস গরম পানি দিয়ে। বেলা বাড়লে ফল, দু’টি সেদ্ধ ডিম এবং অ্যাপেল সিইডার ভিনিগার খান।
আরটিভি/এফআই
প্রচুর ফল খেলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে জানেন
ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে উপস্থিত ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু কোনও খাদ্যদ্রব্য খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়, তা ফল হলেও। অতিরিক্ত ফল খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যদিও ফল স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ধরা হয়। তবে ফল মানে প্রাকৃতিক চিনির উৎস। তাই ‘ন্যাচারাল ক্যান্ডি’ হিসেবে পরিচিত এই খাবার অতিরিক্ত খেলে স্বাস্থ্যের ওপর বাজে প্রভাব পড়তেও পারে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান থাকা দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকে, যা স্থূলতা, দাঁত এবং হজমের সমস্যা হতে পারে। ওজন কমাতে বা সুস্থ থাকতে চাইলে শুধুমাত্র ফল না খেয়ে সম্পূর্ণ সুষম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা:
বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, অনেকেই দ্রুত ওজন কমাতে যতটা সম্ভব ফল খান। এটা ঠিক না। উল্টে, মনে করা হয় যে, অতিরিক্ত ফল খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। ফলের মধ্যে ফ্রুক্টোজ থাকে, যা স্থূলতা বাড়ায়।
বেশি ফল খেলে কী হয়:
খুব বেশি ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। খুব বেশি ফল খেলে পেট ফুলে যাওয়া, ডায়েরিয়া এবং হজমের সমস্যার মতো সমস্যা হতে পারে। ফলের মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং প্রাকৃতিক শর্করা যা, স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। শুধু তাই নয়, ফলের মধ্যে পাওয়া প্রাকৃতিক অ্যাসিড এবং চিনি দাঁতের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ কারণে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। ফলের মধ্যে পাওয়া প্রাকৃতিক শর্করার অতিরিক্ত পরিমাণ শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্যও বেশি ফল খাওয়া ক্ষতিকর।
নির্দিষ্ট কিছু রোগীর ক্ষেত্রে যে রকম প্রভাব ফেলে:
‘প্রিডায়াবেটিস’ ও ‘ডায়াবেটিস’য়ে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। আর ফলে প্রচুর পরিমাণে কার্ব থাকে।
‘টু-ডে ডায়াবেটিস ডায়েট’ বইয়ের মার্কিন লেখক ও পুষ্টিবিদ এরিন পালিনস্কি-ওয়েড এই বিষয়ে বলেন, যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও সাবধান থাকতে হবে। বেশিরভাগ ফলই কার্বোহাইড্রেইটে পরিপূর্ণ তাই সামঞ্জস্যতা রক্ষাই হল প্রধান চাবিকাঠি।
পরিমাণের পাশাপাশি কোন কোন ফল ও খাবার একসঙ্গে খাওয়া উচিত সেটা জানতে হবে।
পালিনস্কি-ওয়েড পরামর্শ দেন, যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা দিনে একবেলার খাবার হিসেবে বা নাস্তায় ফল খেতে পারেন। তবে অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে প্রোটিন, আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি বা তেল।
আবার যাদের ‘গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনল’ বা পেট ও অন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন তারা সকালে, দুপুরে বা রাতের খাবারের সময় ফল খেলেও জটিলতায় পড়তে পারেন। হতে পারে সেটা গ্যাসের সমস্যা বা ফোলাভাব।
পালিনস্কি-ওয়েড বলেন, আইবিএস’ সমস্যা একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হয়। তাই ফল খেয়ে জটিলতা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোন ফলগুলো বাজে প্রভাব রাখবে না, সেগুলো বাছাই করতে হবে।
দিনে কতটা ফল খাওয়া উচিত:
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ব্যক্তির দিনে মাত্র ৪-৫টি ফল খাওয়া উচিত। ফল, সবজি, আস্ত শস্য, মটরশুটি, উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের পাশাপাশি আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
আরটিভি/এফআই
শীতে যে চারটি বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটস শরীর উষ্ণ রাখবে
সারাবছরই কয়েকটি বাদাম এবং খেজুর নিয়মিত খাওয়া ভালো। নিয়মিত দুই থেকে তিনটি খেজুর খেলে অনেক এনার্জি পাবেন আপনি। তবে অন্যান্য মৌসুমে না খেলেও, শীতকালে অবশ্যই খেতে হবে চারটি বাদাম।
তালিকায় কোন কোন বাদাম রয়েছে এবং কেন সেগুলো খাওয়া জরুরি, জেনে নিন—
খেজুর- ন্যাচারাল সুইটনার হিসেবে জনপ্রিয় খেজুর। নিয়মিত দুই-তিনটি খেজুর খেলে ভরপুর এনার্জি পাবেন আপনি। পানিতে ভিজিয়ে খেজুর খেতে পারলে উপকার সবচেয়ে বেশি। শীতকালে খেজুর খেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় বজায় থাকবে। এছাড়াও যেহেতু খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে তাই এই ড্রাই ফ্রুট খেলে আপনার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকবে। হজমশক্তি ভালো করতেও বেশ ভালো কাজ করে ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর।
আমন্ড- প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিনটি বাদাম খান। আগের দিন রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন। তাহলে আর পেটের সমস্যা বা আমন্ড হজম করতে অসুবিধা হবে না। শীতকালে নিয়মিত আমন্ড খেতে পারলে সারাদিন ভরপুর এনার্জি পাবেন আপনি। ফলে কাজ করলে ক্লান্তি আসবে না সহজে। আমন্ডে রয়েছে ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন।
আখরোট- প্রতিদিন আখরোট খেতে পারেন, কিন্তু দুইটা বা তিনটার বেশি নয়। মস্তিষ্ক সজাগ এবং প্রখর রাখতে আখরোট খাওয়া উচিত। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে আখরোটের মধ্যে। আমাদের স্মৃতিশক্তি ভালো করতেও কাজে লাগে আখরোটের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ। হেলদ ফ্যাট থাকার কারণে শীতের দিনে আখরোট খেলে শরীর গরম থাকবে। এছাড়াও আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আখরোট। এটি একটি হেলদ স্ন্যাক্স।
কাজুবাদাম- কাজুবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। শীতকালে এমনিতেই ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করার জন্য কাজুবাদাম খেতে পারেন শীতকালে। তবে পরিমাণে তিন থেকে চারটি, তার বেশি নয়। কাজু যে খেতেই শুধু সুস্বাদু তা কিন্তু নয়। শীতের মৌসুমে আপনার শরীর গরম রাখতেও কাজে লাগে এই বাদাম।
আরটিভি/এফআই
ঘুরতে যাওয়ার আগে নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে
শীত মানেই ভ্রমণের মৌসুম। ভ্রমণ পিপাসুরা এই মৌসুমেই ঘুরতে বারবার ছুটে ছুটে যায় প্রকৃতির সান্নিধ্যে। সারদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হলে নিজেকে সুস্থ রাখাটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ঘুরতে গিয়ে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত খাওয়া দাওয়ার উপরেও। উলটো পালটা খেলে কিন্তু শরীর খারাপ হতে বাধ্য, তখন পুরো ট্যুরটাই নষ্ট।
জেনে নিন ঘুরতে গিয়ে ফিট থাকতে কী কী রাখবেন ডায়েটে:
ব্যাগ গোছানোর সময় শুকনো খাবার সঙ্গে নিতেই হবে। ড্রাই ফ্রুটস (যেমন -কাজু, কিশমিশ, পেস্তা বা আখরোট), কেক, বিস্কুট, চিঁড়ে ভাজা, মুড়ি, ছোলা ভাজা বা রোস্টেড মাখানার মতো খাবার নিতে পারেন। ট্রেকিং-এ গেলে সঙ্গে চকোলেট রাখতে পারেন। এতে এনার্জি পাওয়া যায়।
বেড়াতে গিয়ে অনেকেই সেখানকার স্ট্রিট ফুড বা স্থানীয় খাবার খেতে ভালবাসেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে পাহাড়ি মোমো বা চাউমিনের বেশ কদর রয়েছে। তবে না বুঝে উলটো পালটা জায়গা থেকে খেয়ে পেটের অবস্থা খারাপ যেন না হয়। স্থানীয় খাবার শরীরে সহ্য নাও হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
বেড়াতে গিয়ে হালকা খাবার খাওয়াই ভালো। দীর্ঘক্ষণ বাস, গাড়ি কিংবা ট্রেনে থাকতে গেলে হালকা খাবার খান। এছাড়া বেড়াতে গিয়ে তেল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে পেট ফোলা, গ্যাসের সমস্যা এড়াতে পারেন। ভাজাভুজি খাবারও এড়িয়ে চলুন।
সারাদিন রাস্তায় ঘুরেও ফিট থাকতে হলে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা ভীষণ জরুরি। সঙ্গে পানির বোতল রাখতে ভুলবেন না। পানি খেতেই হবে। পানির পাশাপাশি ফলের রস খেতে পারেন, এতে এনার্জি পাবেন।
বেড়াতে গিয়ে খাবার খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় থাকে না। অনেকে লাঞ্চ সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলেন। কিন্তু চেষ্টা করুন সঠিক সময়ে খাবার খেয়ে নেওয়ার। প্রয়োজনে ভরপেট ব্রেকফাস্ট করুন। আর সঙ্গে শুকনো খাবার রাখুন।
বেড়াতে গিয়ে ভালো থাকুন:
অনেকেরই নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়। কোনো ওষুধ রোজকার, কোনোটি সাপ্তাহিক। কোনোটি আবার প্রয়োজন হয় মাঝেমধ্যে। ট্যাবলেট, ক্যাপসুল তো বটেই, ইনহেলার বা ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় অনেকের। এই ওষুধগুলো সঙ্গেই রাখুন। কিছু ওষুধ (যেমন ইনসুলিন) নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। সেটির ব্যবস্থাও করতে হবে অবশ্যই। দেশের বাইরে গেলেও ওষুধ সঙ্গে রাখা ভালো, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রও সঙ্গে নিয়ে নিন দেশের বাইরে যাওয়ার সময়।
প্রাথমিক চিকিৎসার টুকিটাকি রাখুন নিজের সঙ্গেই।
সঙ্গে বাড়তি মাস্ক রাখা ভালো। জীবাণু ও ধুলাবালু থেকে সুরক্ষার জন্য মাস্ক যে কতটা প্রয়োজন, তা বোধ হয় নতুন করে আর বলার দরকার নেই। যেখানে–সেখানে মাস্ক ফেলবেন না।
নিয়মমাফিক হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির আদবকেতা মেনে চলা, যেখানে–সেখানে কফ-থুতু না ফেলাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। এমন জায়গায় না যাওয়াই ভালো, যেখানে খুব বেশি ভিড়।
আবাসিক হোটেলের কক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন অবশ্যই। আলো-বাতাস প্রবেশ করে, এমন কক্ষ বেছে নেওয়া ভালো।
যেখানে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব, যেমন বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণুবাহী মশা রয়েছে, সেখানে মশার কামড় থেকে বাঁচতে কিছু আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ফুলহাতা পোশাক মশার কামড় থেকে কিছুটা সুরক্ষা তো দেবেই। এ ছাড়া মশা প্রতিরোধী সামগ্রী ব্যবহার করুন। তবে শিশুদের এমন সামগ্রী দেওয়ার আগে জেনে নিন, সেটি শিশুর উপযোগী কি না। কিছু কিছু পণ্য তিন বছর বয়স হওয়ার আগে প্রয়োগ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ।
শরীরের ওপর খুব চাপ সৃষ্টি করে অল্প সময়ে অনেক জায়গা ঘুরে আসার প্রবণতা ভালো নয়। ‘অমুক জায়গায় সবাই ছবি তোলে বলে আমাকেও সেখানে যেতেই হবে’—এমন ভাবনা মনে ঠাঁই দেবেন না।
অত্যন্ত দুর্গম এলাকার দুর্লভ সৌন্দর্য দেখার আশায় নিজের জীবন ও সুস্থতাকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না। ঝোপ-জঙ্গলে ঢোকার ক্ষেত্রেও সাবধান। বেড়াতে গিয়ে অবশ্যই সেখানকার স্থানীয় দিকনির্দেশনা মেনে চলুন।
বেড়াতে গিয়ে মনের যত্ন নিতে ভুলবেন না। হাসি-আনন্দে সময় কাটান। বিষণ্নতাকে জায়গা দেবেন না। ব্যস্ততাকে ছুটি দিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কম দিন, সম্ভব হলে ‘ছুটি’ নিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেও। কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। মন ভালো থাকবে।
বেড়াতে গিয়ে আপনি কোনো জায়গা অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন রেখে আসছেন না কিংবা পরিবেশের ক্ষতি করছেন না—এগুলোও খেয়াল করুন। এটি আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবে।
আরটিভি/এফআই
কাঁচা নাকি রান্না, পেঁয়াজ যেভাবে খেলে পাবেন উপকার
পেঁয়াজ রান্নাঘরের একটি অপরিহার্য সবজি। পেঁয়াজ ছাড়া রান্না বাঙালির পক্ষে প্রায় অসম্ভব বললেও চলে। মাছ, মাংস, সবজি থেকে চচ্চড়ি বা ঝোল রাঁধতে গেলেও তার মধ্যে পেঁয়াজকুচি দেন। আবার অনেকে ফোঁড়নেও পেঁয়াজ দিয়ে থাকেন। এছাড়া ভাজাভুজির সঙ্গে আমরা অনেকে কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে থাকি। কিন্তু পেঁয়াজ কি রান্নায় দিয়ে খেলে বেশি উপকার? নাকি কাঁচা খেলেই এর থেকে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়?
কাঁচা পেঁয়াজ নাকি রান্না করা:
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁয়াজ কাঁচা খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো। কারণ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সালফার যৌগ থাকে। এই যৌগগুলো রান্নার সময় উচ্চতাপে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে পৌঁছায় না। সালফার শরীরের একাধিক উপকারে প্রয়োজন হয়। তাই এই বিশেষ যৌগটি নষ্ট হয়ে গেলে পেঁয়াজ থেকে আর তেমন পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় না। এই কারণেই পেঁয়াজ সবসময় কাঁচা খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য:
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া ভালো। কারণ পেঁয়াজের মধ্যে থাকা সালফার যৌগ কোয়ারসেটিন ও জৈব সালফার যৌগ অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার আরও উপকারিতা রয়েছে।
সর্দি-কাশি থেকে রেহাই দেয় অনেকটাই। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর পেঁয়াজ সাহায্য করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে। মজবুত করে হাড়ের স্বাস্থ্য।
ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে পেঁয়াজের রসের স্বাস্থ্যগুণ। হজমের সমস্যাও কম থাকে পেঁয়াজের দৌলতে।
তাপপ্রবাহ থেকে শরীরের অঙ্গকে রক্ষা করে। কাঁচা পেঁয়াজ খেলে শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো সুস্থ থাকে। তাপমাত্রা বাড়লেও সহজে ক্ষতি হয় না।
তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচিয়ে হিট স্ট্রোকের মতো বিপদকে প্রতিরোধ করে কাঁচা পেঁয়াজ। এছাড়াও, সান স্ট্রোক থেকে বাঁচায় এই সবজিটি।
সালফার যৌগ ছাড়াও, নানা জৈব যৌগ ও উপকারী খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ পেঁয়াজ। তাই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের এই আবহে শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই কাঁচা পেঁয়াজ খান। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
কাঁচা পেঁয়াজ শরীর ঠান্ডা রাখে। এর ফলে ব্রেনের থার্মোরেগুলেটরি অর্গ্যান শরীরকে গরমের সংকেত দেয় না। ফলে শরীর থেকে ঘাম বেরোয় না। যা ডিহাইড্রেশন ঠেকাতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা বলেন, কাঁচা পেঁয়াজে ভিটামিন ও সালফার যৌগ বেশি, তবে রান্না করা পেঁয়াজ হজম করতে সুবিধা।
রান্না করা পেঁয়াজে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বেশি হলেও ভিটামিন সি-এর যোগান কম। কারণ আগুনের উত্তাপে এই ভিটামিন অনেকটাই কমে যায়।
আরটিভি/এফআই
ডায়েট-জিম বাদেও ওজন কমানোর ৫টি উপায়
খেতে ভালবাসেন অনেকেই। কিন্তু, দেহের ওজন ঝরাতে গিয়ে তাদের সমস্ত লোভনীয় খাবার ত্যাগ করতে হয়, যা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের। আবার ইচ্ছা এবং সময় না থাকলেও অনেকে ব্যায়াম করতে বাধ্য হন। তবে জিম আর ডায়েটই ওজন কমানোর একমাত্র রাস্তা নয়। শরীরচর্চা এবং নিয়ম মেনে খাবার খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটাচলা করলেও ওজন কমানো সম্ভব। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানি খালি পেটে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। গরম পানি শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে দিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে এবং হজম শক্তিতেও দারুণ সাহায্য করে।
অস্ট্রেলিয়ার পুষ্টিবিদ রাইজ উইথ টিগান জানিয়েছেন জিমে না গিয়ে কোনও কড়া ডায়েট না করেই ১৯ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি। কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন তিনি? নিজের ইনস্টাগ্রামে সেই সিক্রেট ভাগ করে নিয়েছেন পুষ্টিবিদ।
রইল সহজেই ওজন কমানোর ৫ টিপস—
ক্যালোরি কমানো: নিজের সমাজমাধ্যমে টিগান জানিয়েছেন, তিনি দিনে ৫০০ কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন। যা তার নিজের শরীরের দৈনন্দিন চাহিদার থেকেও কম। সেই জন্যও ডায়েটেও বদল এনেছেন তিনি।
হাঁটা বাড়ান: মেদ ঝরাতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। তবে একদিনে অনেকটা হাঁটা যায় না। তাই ধীরে ধীরে সেই পরিমাণটা বাড়ান। প্রথমে ৫০০০ পা তারপর ১০,০০০ পা এইভাবে নিয়মিত একটু করে নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
বাড়িতেই শরীরচর্চা: মেদ ঝরাতে একটু ওয়ার্ক আউট করতেই হবে। তবে তার জন্য অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি শরীর না দিলে প্রতিদিন করতে হবে না। টিগান জানিয়েছেন তিনি সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ বার ৩০ মিনিটের জন্য কঠিন শরীর চর্চা করেন।
নিজের যত্ন নিন: রোগা হবেন নিজের শরীর, মন সম্পর্কে সচেতন হবেন না, যত্নশীল হবেন না তা কখনও হয় নাকি। টিগান জানান, মানসিক চাপ কমাতে, প্রতিদিন যোগা, শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যয়াম করা এবং ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা প্রতিদিন ঘুমোনো নিশ্চিত করতেই হবে।
নিজের দিকে মনোনিবেশ করুন: টিগান জানিয়েছেন, তিনি ওজন কমানোর প্রতিজ্ঞা করার পরে আর অন্যরা কী করছেন সেই দিকে নজর দেননি। এমনকি বাকিরা শুকিয়ে যাচ্ছে তিনি হচ্ছেন না সেই ভাবনাও ভাবেননি। কেবল নিজের জীবন, নিয়মের দিকেই মন দিয়েছিলেন। তার পরামর্শ নিজেরাও বাকিরাও তাই করুন, নিজের ওপর ভরসা রাখুন, আর নিয়ম মেনে চলুন, সাফল্য আসবে।
আরটিভি/এফআই
শীতের খসখসে চামড়ায় লাগান অ্যালোভেরার প্রলেপ
শীত এলেই ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়। আর ত্বকের সমস্যা কম-বেশি প্রায় সকলেরই রয়েছে। আমাদের একেক জনের ত্বকের প্রকৃতি একেক রকমের। কারও ত্বক তৈলাক্ত, তো কারও শুষ্ক। কারও ত্বক আবার অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের সমস্যা বেড়েই চলেছে। শুষ্ক, নিস্তেজ ও রুক্ষ ত্বকে প্রাণ এনে দিতে সক্ষম তাজা অ্যালোভেরা জেল। এমনকী স্পর্শকাতর ত্বকেও কোনও সমস্যা তৈরি করে না অ্যালোভেরা জেল।
শীতকালে আর কী কারণে ত্বকে অ্যালোভেরা জেল মাখবেন, জেনে নিন—
ব্রণ দূর করে: নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল মাখলে ব্রণর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন। এই প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে স্যালিসিলিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি ব্রণ দূর করে। এ ছাড়া অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি ব্রণর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ব্রণর ফোলা ভাব, ব্যথা, লালচে ভাবও এড়াতে পারবেন।
ক্ষত নিরাময় করে: ত্বকের যে কোনও ছোট কাটাছেঁড়ার ওপর অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। এমনকী রোদে পোড়া ক্ষতও সারিয়ে তোলে অ্যালোভেরা জেল।
ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়: অ্যালোভেরার মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে, যা ত্বকের জন্য অপরিহার্য। শীতকালে ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। নিয়মিত মুখে অ্যালোভেরা জেল মাখলে ত্বক নরম ও কোমল হয়ে ওঠে। এড়ানো যায় শুষ্ক ত্বকের সমস্যা। ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখায়। শীতকালে অ্যালোভেরা জেল না মাখলেও এমন ক্রিম মাখুন যার মধ্যে অ্যালোভেরার নির্যাস রয়েছে।
অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে: অ্যালোভেরার মধ্যে ভিটামিন সি ও ই রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ত্বককে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে মুক্তি দেয়। অ্যালোভেরা জেল ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং আর্দ্রতাও জোগায়। ত্বকের বয়স ধরে রাখতে অ্যালোভেরা জেল মাখুন।
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে: শুষ্ক ত্বকে একজিমা, সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা খুব কমন। এ সব সমস্যা শীতকালে এড়াতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, উপাদান রয়েছে, যা ত্বককে ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের হাত থেকে মুক্তি দেয়। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে শীতকালে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে।
আরটিভি/এফআই