মুঠো ভর্তি চুল উঠছে, ভয়াবহ অসুখ কি না জানুন এই ৫ পরীক্ষায়
আবহাওয়ার পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ, অযন্ত এবং অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের কারণে অধিকাংশ মানুষই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই কথাও ঠিক যে, কয়েকটি বিশেষ শারীরিক সমস্যার কারণেও আপনার চুল পরার সমস্যা বাড়তে পারে। তাই তো অতিরিক্ত চুল ঝরতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি বলে জানালেন ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ, ডা. অপরাজিতা লাম্বা। সাম্প্রতিক তার একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করলেন তিনি।
জেনে নিন অতিরিক্ত চুল পরলে কোন বিষয়গুলো নজরে রাখবেন-
- শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকঠাক কাজ না করলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই হাইপোথাইরেয়ডিসম বা হাইপারথাইরয়েডিসমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। শরীরে এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে অন্যান্য উপসর্গ প্রকট হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত মাত্রায় হেয়ার ফলও শুরু হয়। তাই আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে চুল পড়তে দেখেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট করিয়ে নিন।
- চুলের জেল্লা বাড়াতে এবং গোড়া মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আয়রন। তাই আপনার শরীরে যদি আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়, তাহলে যে চুল পড়া বাড়বেই, সে কথা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো এমন কোনও উপসর্গ দেখলেই রক্তে আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিলেন ডা. লাম্বা।
- কোনও মহিলার শরীরে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থাকলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। আর তখনই বাড়ে হেয়ার ফল। তাই আপনিও যদি অকারণে এমন সমস্যার মুখোমুখি হন, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে USG করান।
এই ২ উপাদানের ঘাটতি আছে কি না জেনে নিন-
- চিকিৎসক জানালেন, শরীরে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও প্রচুর পরিমাণে চুল ঝরে যায়। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় চুল পড়তে দেখলে অবশ্যই রক্তপরীক্ষা করুন এবং দেখে নিন যে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ঠিক রয়েছে কি না।
- আসলে ভিটামিন ডি আপনার চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, একই সঙ্গে চুলের গোড়াও মজবুত করে।
মন্তব্য করুন
বাদাম-কাঁচামরিচ একসঙ্গে খেলে যা হয়
বাদাম আর কাঁচামরিচের মধ্যে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে। যেমন বাদামের মধ্যে ফাইবার থাকে। এই ফাইবার পেটের জন্য ভালো। অন্যদিকে কাঁচামরিচের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু দুটি একসঙ্গে খেলে পেটের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে কি না জেনে নেওয়া যাক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাদাম আর কাঁচামরিচ দুইই একাধিক পুষ্টিগুণে সম্পন্ন। তাই এই দুটি একসঙ্গে খেলে শরীরের ক্ষতি হয় না। কিন্তু খাওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরি কয়েকটি জিনিস।
বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। প্রতিদিন একমুঠ বাদাম খেলে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কম হয়। এতে থাকা উপকারী উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা উপকারী উপাদান স্বাস্থ্যের নানা ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। ওজন কমানো থেকে স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ থেকে নানা অসুখ প্রতিরোধ সমস্তই করতে পারে বাদাম।
কিন্তু বাহিরে যে বাদাম বিক্রি হয়, তা বেশিরভাগই সল্টেড বাদাম। সল্টেড বাদাম হাই প্রেশারের রোগীদের এড়িয়ে চলাই উচিত। নয়তো হঠাৎ করেই প্রেশার বেড়ে গিয়ে বিপদ হতে পারে।
অন্যদিকে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সায়েন্টিফিক সেশনের প্রাথমিক গবেষণা বলছে প্রতিদিন কাঁচামরিচ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ভালো। ক্যানসার বা কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কয়েক ধাপ কমে যাবে। মরিচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ক্যানসার প্রতিরোধক গুণাগুণ। মরিচের ঝাল গুণাগুনের জন্য দায়ী ক্যাপসাইসিন।
এ ছাড়াও কাঁচামরিচে থাকা একাধিক উপাকারি উপাদান রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে ফাইব্রিনোলেটিক অ্যাকটিভিটিকে বাড়িয়ে দিয়ে মস্তিষ্কে যাতে ব্লাড ক্লট না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে মরিচ। ফলে স্ট্রোকের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
তবে কাঁচামরিচ খাওয়ার আগে ধুয়ে নেওয়া একান্ত জরুরি। কারণ কাঁচামরিচ গায়ে একদিকে যেমন ময়লা লেগে থাকে, তেমনই অন্যদিকে থাকে সারের রাসায়নিক। বিক্রেতা এগুলো পরিষ্কার করেই বিক্রি করছেন এমন নিশ্চয়তা কিন্তু নেই!
তাই এই দুই দিকে খেয়াল রেখে খেতে পারলে বাদাম আর কাঁচামরিচ দুইই স্বাস্থ্যের উপকার করে। বিশেষ করে বাদাম হার্ট ভালো রাখতে, পেট ভরাতে উপকারী।
আরটিভি/এফআই
শীতের পোশাকে দুর্গন্ধ হবে না এই বিশেষ ট্রিকসে
শীতকালে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে, আমরা বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় ব্যবহার করি, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সোয়েটার এবং জ্যাকেট। ঠান্ডায় নিজেকে উষ্ণ রাখতে, প্রতিদিন সোয়েটার বা জ্যাকেট পরা হয়। যার কারণে শীতের কাপড়ে একটি অদ্ভুত গন্ধ হয়। এখন শীতকালে প্রতিদিন এগুলো ধোয়া সম্ভব হয় না কারণ এসব মোটা কাপড় ধোয়া কষ্টকর এবং সূর্যের আলোর অভাবে শুকাতেও চায় না। এমন পরিস্থিতিতে, অনেকেই পারফিউম প্রয়োগ করে পরিচালনা করে, যার কারণে জ্যাকেটটি আরও নোংরা দেখায় এবং দুর্গন্ধযুক্তও হয়। এমন পরিস্থিতিতে, কিছু দুর্দান্ত টিপসের সাহায্যে আপনি মিনিটের মধ্যে আপনার জ্যাকেট এবং মোটা সোয়েটারের গন্ধ দূর করতে পারবেন।
শীতের কাপড় না ধুয়ে গন্ধ দূর করার কিছু টিপস জেনে নেওয়া যাক—
ব্যবহারের পর এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন: আপনি যদি চান যে আপনার জ্যাকেট এবং সোয়েটারে দুর্গন্ধ না হয়, তবে প্রতিবার এই ছোট পদ্ধতিটি অনুসরণ করে আপনি আপনার কাপড়ের গন্ধ মুক্ত রাখতে পারেন। এ জন্য যখনই সোয়েটার বা জ্যাকেট ব্যবহার করবেন, এভাবে না রেখে খোলা বাতাসে ঝুলিয়ে দিন। আপনি এগুলো আপনার হ্যাঙ্গারে ছড়িয়ে দিতে পারেন এবং সঠিকভাবে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। যদি দিনের বেলা হয় তবে আপনার জ্যাকেট বা সোয়েটার কিছুক্ষণ রোদে বিছিয়ে রাখা ভালো। এতে কাপড়ের দুর্গন্ধ দূর হবে।
বেকিং সোডা আপনাকে সাহায্য করবে: বেকিং সোডা আপনার জ্যাকেট এবং সোয়েটারের গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করতে পারে। নোংরা ময়লা শুষে নিতে বেকিং সোডা খুবই কার্যকরী। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো রাতে আপনার নোংরা জ্যাকেট বা সোয়েটারে সামান্য বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন। এবার সকালে ভালো করে ব্রাশ করে পরুন। যদি সম্ভব হয়, জামাকাপড় কিছু সূর্যালোক উন্মুক্ত করুন। এতে গরম কাপড় থেকে আসা সব বাজে গন্ধ চলে যাবে।
ভিনেগারের ব্যবহারও কার্যকর: আপনার রান্নাঘরে রাখা ভিনেগারও খুব ভালো ক্লিনিং এজেন্ট। এটি প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্টের মতো কাজ করে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি আপনার জ্যাকেট বা সোয়েটারের দুর্গন্ধ দূর করতেও এটি ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য, একটি স্প্রে বোতলে সমান পরিমাণে ভিনেগার এবং পানি মিশিয়ে নিন। এবার কাপড়ে ভালো করে স্প্রে করুন। কিছুক্ষণের জন্য জ্যাকেটটি শুকানোর জন্য ছেড়ে দিন এবং আপনার জ্যাকেটটি আবার সুন্দর এবং তাজা গন্ধ পেতে শুরু করবে।
লেবুর খোসা ব্যবহার করুন: লেবুর রস ব্যবহার করার পরে এর অবশিষ্ট খোসা ফেলে দিতে পারেন, তবে এগুলো আপনার খুব কাজে আসতে পারে। আসলে লেবুর খোসা ফ্রেশনারের মতো কাজ করে। এতে সাইট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায় যা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং দুর্গন্ধও দূর করে। এর জন্য একটি সুতির কাপড়ে কিছু খোসা বেঁধে আলমারিতে রাখুন। এটি আপনার জ্যাকেট এবং সোয়েটারগুলো ধোয়া ছাড়াই তাজা গন্ধ তৈরি করবে।
আরটিভি/এফআই
ত্বকের সমস্যা দূর করবে এই ম্যাজিকাল ফেস মাস্ক
শীত অথবা গরম—ত্বকের যত্নের প্রয়োজন পড়ে সবসময়ই। তবে শীত শুরু হলেই ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও প্রাণহীন দেখাতে শুরু করে। আসলে, শুষ্ক বাতাসের কারণে, ত্বকের আর্দ্রতা কমতে শুরু করে, যার ফলে ত্বকে চুলকানি এবং আঁচড়ের সাথে সাদা খুশকি দেখা দেয়। আপনিও যদি ঠান্ডা শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার বিউটি রুটিনে দই ফেস মাস্ক অন্তর্ভুক্ত করুন। সুস্থ-সুন্দর দ্বাগহীন ত্বক পেতে দারুণ কাজ করে এই ম্যজিকাল ফেস মাস্ক।
দই শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, আপনার ত্বকের জন্যও অমৃতের মতো। তৈলাক্ত থেকে শুষ্ক ত্বক সব ধরনের ত্বকের জন্যই দই উপকারী, যা তৈরি করে মুখে লাগানো যায় নানাভাবে। আসুন জেনে নিই শীতের মৌসুমে মুখের আদ্রতার সাথে গোলাপি আভা বজায় রাখতে কীভাবে দই ফেস মাস্ক তৈরি করবেন এবং লাগাবেন।
দই ফেস মাস্ক তৈরির উপকরণ:
দুই টেবিল চামচ তাজা দই
এক চামচ মধু
এক চামচ নারকেল তেল
এক টেবিল চামচ ম্যাশ করা কলা
কীভাবে দই ফেস মাস্ক তৈরি করবেন: দই ফেস মাস্ক তৈরি করতে, প্রথমে একটি পাত্রে দই এবং মধু একসাথে মিশিয়ে একটি সুন্দর নরম পেস্ট তৈরি করুন। মুখে দই লাগালে আপনার ত্বক নরম ও হাইড্রেটেড থাকবে। এবার এই পেস্টে নারকেল তেল এবং ম্যাশ করা কলা ভালো করে মেশান যতক্ষণ না মিশ্রণটি মসৃণ ও ক্রিমি হয়ে যায়। এখন, তৈরি ফেস মাস্কটি চোখ এড়িয়ে মুখে পুরু স্তরে লাগান। ২০ মিনিটের জন্য মুখে মাস্ক রাখুন। মাস্ক পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর পর মুখে ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান।
মুখে দই দিয়ে তৈরি মাস্ক লাগালে উপকার পাওয়া যায়:
দই ফেস মাস্ক শুধু মুখের ময়লাই দূর করে না, ত্বকের মৃত কোষ কমাতেও সাহায্য করে এবং ব্রণ কমাতে এবং দাগ হালকা করতেও সাহায্য করে। এছাড়া এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।
আরটিভি/এফআই
যে লক্ষণে বুঝবেন প্রাক্তন জীবনে আবার ফিরতে চাচ্ছে
সম্পর্ক নেই বহু দিন হয়ে গিয়েছে, ব্রেকআপ মিউচুয়াল ছিল না। কিন্তু আপনি জীবনে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। প্রাক্তনকে হয়তো সম্পূর্ণরূপে ভুলে যাননি। কিন্তু তার কথা খুব একটা মনেও পড়ে না। অতীত সবারই থাকে। কিন্তু সেই অতীতকে, অতীতের মানুষের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বর্তমানে ভালো থাকাটা কঠিন। বিশেষ করে যেকোনো প্রেমের সম্পর্কেই নিজের প্রাক্তনকে ভুলতে না পারা, বর্তমান সঙ্গীর সঙ্গে থেকেও প্রাক্তনের স্মৃতিতে ডুবে থাকার মতো সমস্যা একসঙ্গে দুজন মানুষকে অসুখী করে ফেলতে পারে।
জেনে নিন লক্ষণগুলো—
বন্ধুদের থেকে খবর নেওয়া: আপনার বন্ধুদের থেকে আপনার খবর নেওয়ার অর্থ সে আপনার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। হঠাৎ করে আপনার বন্ধু বা আত্মীর পরিজনের সঙ্গে তার যোগাযোগ হলেই আপনার খবর নিচ্ছে। আপনি কেমন আছেন, কী করছেন, আপনার জীবনে কী চলছে—এই ধরনের খবর নিলে বুঝবেন প্রাক্তন আপনার জীবনে ফিরতে চাইছে।
সিঙ্গেল থাকা: ব্রেকআপের পর যদি মানুষটা সিঙ্গেল থাকে, বুঝবেন সে আপনাকে সত্যি তার জীবনে চায়। পাশাপাশি আপনার দেওয়া গিফট যদি সযত্নে রেখে দেয়, আপনাকে সম্মান দেয় এবং আপনি যাতে কষ্ট না পান, সেই মতো কাজ করা কিংবা আপনাকে খুশি রাখতে চাওয়া—এগুলোই বলে দেয় যে প্রাক্তন এখনও আপনাকে ভালোবাসে। সেই কারণেই আবার আপনার জীবনে ফিরতে চায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক করা: হঠাৎ করে দেখলেন আপনার প্রাক্তন আপনাকে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আনব্লক করে দিয়েছে। পাশাপাশি আপনার স্ট্যাটাস সিন করছে। নিয়মিত আপনার পোস্টে লাইক দিচ্ছে। এমনকী কমেন্ট করেছে মাঝেমধ্যেই। আপনি কখন কী পোস্ট করছেন, সব নজরে রয়েছে তার।
ক্ষমা চাওয়া: হঠাৎ করে আপনাকে টেক্সট করছেন তিনি। আপনাকে দেখা করার জন্য জোর করছেন। এমনকী নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইছেন। এমন কিছু হলে বুঝবেন আপনার প্রাক্তন আবার নতুন করে সম্পর্ক শুরু করতে চাইছে আপনার সঙ্গে। অতীতে যা কিছু ঘটেছে তা সব ভুলে আবার নতুনভাবে শুরু করতে চাইছেন সব কিছু।
আরটিভি/এফআই
পুরুষদের খাদ্যতালিকায় ৪০ এর পরে যেসব খাবার রাখতেই হবে
অফিস, সংসারের দায়িত্ব, বাইরের কাজ— সব কিছু সামলে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় সবসময় থাকে না। কিন্তু একটি বয়সের পর মহিলা এবং পুরুষ, উভয়েরই নিজের শরীরের প্রতি বাড়তি নজর রাখা উচিত। পুরুষরা অনেক ক্ষেত্রেই শরীরের যত্ন নিতে অবহেলা করেন। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পুষ্টির চাহিদারও পরিবর্তন হয়। দেহের শক্তি কমতে থাকে এবং বয়সজনিত নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
বাইরে থেকে পুরুষদের সুস্থ এবং সবল দেখালেও, অনেকেই আছেন যারা ভিতরে ভিতরে বেশ দুর্বল। কম বয়সে শারীরিক সমস্যা তেমন না দেখা গেলেও, বার্ধক্যে এর প্রভাব পড়ে। তাই বয়সকালে সুস্থ থাকার প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই। বিশেষ করে ৪০-এ পা রেখেই নিজের খাদ্যতালিকার দিকে নজর দিন। পাতে রাখুন এইসব খাবার।
চর্বিযুক্ত মাছ: মোটা তেলযুক্ত মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই রোজকার পাতে রুই, ইলিশ, পমফ্রেট, পাঙাশ, কাতলা, আর, বোয়াল মাছ রাখার চেষ্টা করুন।
সবুজ শাকপাতা: পালং, পুঁই, কলমি, বাধাকপি, লেটুশ ইত্যাদি যত রকম শাকপাতা পারবেন, রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলি শরীরের ভিটামিন এ, সি এবং কে-এর ঘাটতি মেটায়, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে। এর ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আস্ত শস্য: গম, ব্রাউন রাইস, যব, ওটস্, কুইনো ইত্যাদি গোটা শস্যগুলি ফাইবার এবং ভিটামিনে পরিপূর্ণ। হজমশক্তি বাড়াতে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কোলেস্টরল কমাতে এগুলি সাহায্য করে।
বাদাম ও বীজ: ব্রেকফাস্ট কিংবা বিকেলের স্ন্যাকসে আমন্ড, আখরোট, চিয়া বীজ, ফ্লেক্সসিড ইত্যাদি রাখুন। এগুলি শরীরকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং প্রোটিন সরবরাহ করে। আখরোটে রয়েছে উপকারী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
প্রতিদিন ফল খান: প্রতিদিন অন্তত একটা করে হলেও ফল খান। আপেল, পেয়ারা বা কোনও সিজ়নাল ফ্রুট কামড়ে খান। পাতে রাখতে পারেন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, আঙুল, বেদানার মতো ফলও।
টমেটে: পাতে রাখুন টমেটো। লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এই সবজি প্রস্টেটের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় টম্যাটো। পাশাপাশি হার্টের পক্ষেও এটি উপকারী।
চর্বিহীন প্রোটিন: রেড মিট বন্ধ করে মুরগির মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি খাবার বেশি করে খান। খাদ্যতালিকায় রাখুন মুসুর ডাল, ছোলা ইত্যাদি। পেশীর রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিপাকক্রিয়ার পক্ষে এগুলি উপকারী। ডিমে আছে উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং কোলিন। বিশেষ করে ৪০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের জন্য একটি অপরিহার্য খাবার।
কপি জাতীয় সবজি: সবুজ শাকসবজি ছাড়াও নিয়মিত ফুলকপি, ব্রোকোলি, ব্রাসেলস্ স্প্রাউট, বাঁধাকপি ইত্যাদি খান। এই সবজিগুলিতে গ্লুকোসিনোলেট নামে একধরনের যৌগ রয়েছে, যা পরোস্টেট ক্যান্সার সহ একাধিক ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে, শরীরের প্রদাহ কমায়।
ডার্ক চকোলেট: সাধারণ চকলেটের পরিবর্তে খান ডার্ক চকলেট। ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ এই চকলেট রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মাঝারি পরিমাণে ডার্ক চকলেট রক্তচাপ কমাতে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে মানুষের আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে।
আরটিভি/এফআই
শীতের শুরুতেই গোড়ালির ফাটলরোধে ঘরোয়া উপায়
আবহাওয়ায় এখন হালকা শীত শীত ভাব। এই সময়ে ফাটা ঠোঁট আর ফাটা গোঁড়ালির সমস্যায় নাজেহাল হন অনেকেই। কর্মব্যস্ত জীবনে সব সময়ে পার্লারে গিয়ে পায়ের পরিচর্চার করার সময় হয় না। অথচ বাড়িতেই মিনিট পাঁচেক খরচ করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন পায়ের ফাটা দাগ দূর করার ঘরোয়া টোটকা।
পেট্রোলিয়াম জেলি: ঠোঁট হোক বা গোড়ালি, শীতকালে ত্বকের যত্নে দুর্দান্ত কাজ দেয় পেট্রোলিয়াম জেলি। প্রতিদিন গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখলে পা ফাটার সমস্যা এড়াতে পারবেন। তবে অবশ্যই রাতে শোয়ার আগে এটি মাখুন। আর পরের দিন সকালে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। না হলে গোড়ালিতে নোংরা জমে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।
মাউথওয়াশ: ১ ভাগ মাউথওয়াশের সঙ্গে ২ ভাগ জল মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে পা ডুবিয়ে রাখুন। মাউথওয়াশ পায়ে থাকা সমস্ত জীবাণু পরিষ্কার করে দেয়। পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
নারকেল তেল: নারকেল তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়। নিয়মিত ত্বকে নারকেল তেল মাখলে চামড়া শুকিয়ে যায় না। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের তলায় নারকেল তেল মালিশ করুন। টানা কয়েক সপ্তাহ পায়ে নারকেল তেল মালিশ করলে পা ফাটার সমস্যা সহজেই এড়াতে পারবেন। সঙ্গে পায়ের গোড়ালিও হবে ঝকঝকে।
মধু: পা ফাটার সমস্যা দূর করতে মধুকেও কাজে লাগাতে পারেন। মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ফাটা গোড়ালিকে সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে।
কলার খোসা: ফাটা গোড়ালির উপর কলার খোসা ঘষতে পারে। এছাড়া কলার মেখে নিয়ে ফাটা অংশের উপর লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কলা গুণেও পায়ের চামড়া ভালো থাকবে।
আরটিভি/এফআই
শারীরিক দুর্বলতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সেরা ৭ খাবার
শীতকাল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। অনেকেই শারীরিক দুর্বলতার কারণে শীতে নিজেকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন এবং বিভিন্ন খাবারের ওপর নির্ভর করেন। তবে কিছুদিন পর দেখা যায়, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
শীতে শারীরিক দুর্বলতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাইট্রাস ফল, রসুন, দই ইত্যাদি। এই খাবারগুলো আপনাকে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এই বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। চলুন তাহলে একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
হলুদ: হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী সমৃদ্ধ। এতে থাকা কারকিউমিন উপাদান রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি জোগায় এবং লিভার ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। নিয়মিত হলুদ খেলে ক্লান্তি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
আদা: প্রাচীনকাল থেকেই নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি প্রদাহবিরোধী হিসেবে বিশেষ কার্যকারী। আদা খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজতর করে।
রসুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য রসুন একটি অতি কার্যকরী উপাদান। এতে থাকা অ্যালিসিন, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি সর্দি-কাশির সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
গ্রিন টি: গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য প্রসিদ্ধ, বিশেষ করে এতে থাকা ক্যাটিচিন উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে সজীব রাখে। ক্যাফিন শরীর ও মনকে চাঙা করার পাশাপাশি মানসিক অবস্থাও ভাল রাখতে সহায়তা করে। পরিমিত পরিমাণ গ্রিন টি পানে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
পালং শাক: এই শাকে ভিটামিন সি, ই, এবং বিটা-ক্যারোটিনসহ নানা খনিজ রয়েছে, যা ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখতে সহায়তা করে। পালং শাকের আয়রন রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর।
দই: দই হলো ভালো ব্যাকটেরিয়ার একটি পরিচিত ও স্বাস্থ্যকর উৎস। এর মধ্যে যুক্ত ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যে উপকারী। সুস্থ অন্ত্রের জন্য ইমিউন সিস্টেম জরুরি, আর দই সেই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।
সাইট্রাস ফল: লেবু, মোসাম্বি, কমলা, এবং আঙুর সাইট্রাস ফলের অন্তর্ভুক্ত। এই ফলগুলো ভিটামিন সি-এর সমৃদ্ধ উৎস, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
এ খাবারগুলো আপনার শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।
আরটিভি/এমএসআর/এস