একটানা হেডফোন ব্যবহারে হারাতে পারেন শ্রবণশক্তি
ঘরে, অফিসে, বাসে, ট্রেনে সব জায়গাতে স্মার্টফোনের সঙ্গে একটি জিনিস খুবই কমন থাকে যা হলো ইয়ারফোন। ইয়ারফোন বা ইয়ারবাড ব্যবহারের অভ্যাস সাম্প্রতিক কালে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাভেল করার পথে বা বাড়িতে সারাক্ষনই কানে হেডফোন রাখতে পছন্দ করে অনেকেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই অভ্যাস ভালো নয়। এই অভ্যাসের ফলে শরীরে একাধিক সমস্যা হতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য। কী বলছে গবেষণা?
চলুন জেনে নেওয়া যাক—
বিএমজে হেলথ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করার ফলে হারাতে হতে পারে শ্রবণ শক্তি। শুধু তাই-ই নয় এই গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বেশ কিছু অজানা তথ্য।
এ ছাড়াও গবেষণায় ধরা পড়েছে বেশিরভাগ মানুষই ১০৫ ডেসিবেলের কাছাকাছি ভলিউমে গান শোনেন। যা স্বাভাবিক ভলিউমের থেকে অনেকটাই বেশি। বিশ্বের প্রায় ০.৭-১.৪ বিলিয়ন মানুষ শ্রবণশক্তি হারানোর পথে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
এতে কী-কী ধরনের সমস্যা হতে পারে:
অত্যধিক কোলাহল পূর্ণ জায়গায় কথা শোনার ক্ষমতা হারাতে পারেন। দীর্ঘক্ষণ কারও কথা শুনতে শুনতে একটা সময়ের পর আর শুনতে পারবেন না।
হঠাৎ অত্যধিক আওয়াজ শোনার ফলে কান সংবেদনশীল হয়ে যেতে পারে। জোরে আওয়াজ কান পর্যন্ত নাও পৌঁছতে পারে। দূরের আওয়াজ ভেঙে-ভেঙে কানে পৌঁছতে পারে। কিংবা আওয়াজ অনেকটা চাপা শোনাতে পারে।
একই কথা শুনতে না পাওয়ার দরুণ, তা শোনার জন্য বারেবারে লোকজনকে বিরক্ত করতে পারেন। কানের ভিতর সমানে কিছু একটা বেজে চলেছে এমনটা মনে হতে পারে।
এবার প্রশ্ন হলো এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন?হেডফোন বা ইয়ারবাড ব্যবহার করার সময় ৬০ ডেসিবেলের ওপর ভলিউম বাড়াবেন না। ভলিউমের পরিমাণ ৬০ থেকে ৮০-এর ঘরে পৌঁছলেই তা শ্রবণ শক্তি হারানোর ঝুঁকি বাড়াতে পারে
ইয়ারফোন কানের ভিতর পর্যন্ত ঢুকে থাকে। অন্যদিকে হেডফোন ইয়ারড্রামের সঙ্গে খানিক দূরত্ব বজায় রাখে। যা ইয়ারফোনের থেকে বেশি উপকারি। তাই ইয়ারফোনের পরিবর্তে হেডফোন ব্যবহার করুন।
একইভাবে হেডফোন ব্যবহার করবেন না। মাঝে-মাঝে বিরতি নিন। সহজ হিসেব, ৩০ মিনিট একইভাবে হেডফোন ব্যবহার করার পর ৫ মিনিটের ছোট্ট একটা বিরতি নিন। ৬০ মিনিট ইয়ারফোন ব্যবহার করলে বিরতি নিতে হবে ১০ মিনিট।
কারও সঙ্গে হেডফোন বা ইয়ারফোন শেয়ার করবেন না। এতে সমস্যা বাড়তে পারে। হেডফোন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই তা স্যানিটাইজ় করুন।
এছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে আরও একটি বিষয়। সবসময় চেষ্টা করুন নয়েজ ক্যান্সেলেশনযুক্ত হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার। এতে কান বেশি সুরক্ষিত থাকবে।
মন্তব্য করুন