লবঙ্গ চায়ে চুমুক দিলেই পাবেন যে উপকার
চা আমাদের অনেকেরই প্রিয় পানীয়। অনেকের তো এক কাপ চা না পেলে ঘুমই ভাঙতে চায় না। এই পানীয় মুখে পড়লেই যেন দিন শুরু। তাই তো চা প্রতি বাড়িতেই প্রায় মজুত থাকে। তবে শুধু চা নয়, বরং আমরা এখন চায়ে নানা উপকরণ মিশিয়ে খেয়ে নিই। অনেকেই চায়ে তুলসী বা লবঙ্গ মিশিয়ে পান করেন। তুলসী চায়ের পাশাপাশি লবঙ্গ চায়ের রয়েছে নানা উপকারিতা। আমাদের চারপাশে রয়েছে বিভিন্ন জীবাণু। এরা আমাদের শরীরে সংক্রমণ তৈরি করে। তবে লবঙ্গ চা খেলে এই দিক থেকে আপনি নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।
লবঙ্গ চায়ে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভানয়েডস। এই উপাদানগুলো দেহের নানা সমস্যার সমাধান করে। এমনকী বহু অসুখ থেকে মানুষকে বাঁচায়। তাই তো এই মশলা চায়ে মেশানো দরকার।
চলুন নেওয়া যাক লবঙ্গ চায়ের উপকারিতাগুলো—
১) ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য লবঙ্গ উপকারী। গবেষণা জানাচ্ছে, লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই কমে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে লবঙ্গের মতো কার্যকরী উপকরণ কমই আছে।
২) লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পেটের গোলমাল ঠেকাতে লবঙ্গ সত্যিই খুব উপকারী। অনেক সময় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে নেওয়ার কারণে অস্বস্তি হয়। লবঙ্গ সেই অস্বস্তির জন্ম হতেই দেয় না।
৩) দাঁত ক্ষয়ের ঝুঁকি কমায় লবঙ্গ চা। দাঁতে ব্যথা, পোকা ধরার সমস্যা থাকলে খাবার খাওয়ার পর ভালো করে মুখ ধুয়ে লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। লবঙ্গ দাঁতের গোড়া শক্তিশালী করে। দাঁতের ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
৪) গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সকালে উঠে খালি পেটে তাই গ্যাসের ওষুধ খান। তবে লবঙ্গ চা খাওয়া শুরু করলে আর গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার দরকার হবে না। লবঙ্গ এক ধরনের এনজাইমের নিঃসরণ ঘটায়, যা হজমশক্তি উন্নত করে। শুধু ঠান্ডা লাগলে নয়, হজমের গোলমাল কমাতেও লবঙ্গের ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায়।
তৈরি করবেন যেভাবে: লবঙ্গ চা তৈরি তেমন একটা কঠিন কাজ নয়। এক্ষেত্রে সাধারণ লিকার চায়ের মতো করে প্রথমে বানানো শুরু করুন। সেখানে প্রতি কাপ পিছু একটি করে লবঙ্গ মেশান। তারপর নামিয়ে ফেলুন। চায়ে দুধ বা চিনি না মেশানোই ভালো। একান্তই মেশাতে হলে ফ্যাটলেস দুধ ও সুগার ফ্রি মেশাতে পারেন।
মন্তব্য করুন