ঈষদুষ্ণ পানি পানের উপকারিতা নিয়ে যা জানালেন পুষ্টিবিদরা
অনেক বিশেষজ্ঞই আজকাল সকালে উঠে ঈষদুষ্ণ পানিপান করার পরামর্শ দেন। তাদের কথায়, খালি পেটে এই পানীয়ে চুমুক দিলেই মিলবে একাধিক উপকার। এমনকী দূরে থাকবে নানাবিধ জটিল অসুখ। আর সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারদের এই বাণী শুনে অনেকে খারাপ-ভালো চিন্তা না করেই সকালে গরম পানিপান করছেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, সত্যিই কি প্রতিদিন সকালে ঈষদুষ্ণ পানিপান করলে শরীর থাকে সুস্থ-সবল? পুষ্টিবিদরা কি বলছেন এই বিষয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ঈষদুষ্ণ পানিপান কি উপকারী?
সকাল সকাল কুসুম গরম পানিপান অত্যন্ত উপকারী বলে জানালেন পুষ্টিবিদরা। তাদের কথায়, খালি পেটে এই পানিপান করলে শরীরকে ডিটক্সিফাই করা যায়। অর্থাৎ শরীরে উপস্থিত সব ক্ষতিকর উপাদান এই পানির গুণে অনেকটাই বেরিয়ে যায়। তার ফলে শরীরের ওপর হামলা চালাতে পারে না একাধিক জটিল অসুখ। তবে শুধু ডিটক্সিফিকেশনই নয়, এছাড়াও একাধিক উপকার করে এই পানীয়।
জেনে নিন উপকারগুলো—
রাতে খাবার খাওয়ার পর তার কিছুটা অংশ দাঁতে আটকে যায়। আর এসব খাবারের টুকরোই হলো ব্যাকটেরিয়ার আদর্শ খাবার। এই খাবারগুলো খেয়েই তারা বংশবিস্তার করে। যার ফলে পিছু নেয় ক্যাবিটিস থেকে শুরু করে একাধিক জটিল সমস্যা। তবে ভালো খবর হলো, আপনি যদি প্রতিদিন সকালে উঠে ঈষদুষ্ণ পানিপান করেন, সেক্ষেত্রে আপনার দাঁতের থাকবে সুরক্ষিত। তাই চেষ্টা করুন সকালে এই পানীয়ে চুমুক দিয়ে দিন শুরু করার।
আমাদের মধ্যে অনেকেই পেটের সমস্যায় নিত্যদিন ভোগেন। কিন্তু তারপরও তারা এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে পান না। তবে এমন পরিস্থিতিতে যদি প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি খাওয়া শুরু করে দেন, তাহলে পেটের সমস্যার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এমনকী এই পানির গুণে সকাল সকাল পেট পরিষ্কার হতেও সময় লাগবে না। তাই তো গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য– সব ক্ষেত্রেই নিয়মিত এই পানীয়ে চুমুক দিয়ে দিন শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আপনার ওজন কি স্বাভাবিকের থেকে বেশি? সেক্ষেত্রে নিয়মিত ঈষদুষ্ণ পানিপান শুরু করে দিন। কারণ, এই পানীয় প্রতিদিন খেলে দেহে মেটাবোলিজম রেট অনেকটাই বেড়ে যায়। আর বিপাকের হার বেড়ে যাওয়ায় হু হু করে কমতে থাকে মেদের বহর। তাই আপনার ওয়েট লস ডায়েটে এই পানীয়কে জায়গা করে দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে শুধু এই পানীয়ে চুমুক দিয়ে ওজন কমবে না। সেই সঙ্গে তেল সর্বস্ব খাবার খাওয়া ছাড়তে হবে। পাশাপাশি দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম হলো মাস্ট। ব্যস, তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
নিয়মিত গরম পানি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, কমে বলিরেখা। সেই সঙ্গে এই পানির গুণে ব্যথা-বেদনাও অনেকটাই প্রশমিত হয়। এমনকী যাদের খুব ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তারাও এই পানীয়ে আস্থা রাখতে পারেন। তাতেও সমস্যার ফাঁদ অনায়াসে এড়িয়ে যেতে পারবেন। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিপান করার।
মন্তব্য করুন